অনলাইন ইনকামওয়েবসাইট নলেজটেক নলেজ

অনলাইনে কিভাবে টাকা আয় করা যায়, How to Make Money Online In Bangladesh

অনলাইনে কি কি কাজ করে টাকা ইনকাম করা যায়

অনলাইনে ইনকাম করার উপায় সকল, অনলাইনে কি কি কাজ করা যায়, অনলাইন আয়ের কৌশল, অনলাইনে আয় করার পদ্ধতি, অনলাইনের মাধ্যমে কি কি ভাবে ইনকাম করা যায়, ঘরে বসে টাকা আয় করতে চাই, অনলাইনে আয় করার নিশ্চিত উপায়, অনলাইনে ইনকাম করার উপায়, অনলাইনের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে, এই প্রশ্ন গুলো যদি আপনার হয়ে থাকে তাহলে আর্টিকেলটি পড়ুন।

আমাদের এই জেনারেশন অনেকটাই প্রযুক্তি নির্ভরশীল হয়ে পরছি। এই প্রযুক্তির সময়ে অনলাইনের মাধ্যমে আয় করারও অনেক সুযোগ তৈরি হয়েছে। আজকের এই দিনে মানুষ লাখ লাখ টাকা ইনকাম করছে অনলাইনের মাধ্যমে। অনেকের পরিবারের মূল ইনকাম এই অনলাইনের মাধ্যমেই করে থাকে। অনলাইন ইনকামের মাধ্যমে লাখ লাখ মানুষ আজ স্বাভলম্বি হয়েছে। ঘরে বসে আয় করার অনেক পদ্ধতি তৈরি হয়েছে।

কথা হল কিভাবে ইনকাম করা যায় অনলাইনের মাধ্যমে, তা নিয়ে আজকে আলোচনা করব। তবে এক কথায় যদি আমরা বুঝতে চাই তাহলে আমাদের বুঝতে হবে অনলাইনে যা কিছুই আমরা দেখিনা কেন সেগুলো কেউ না কেউ তৈরি করেছে বা এগুলো পরিচালনা কেউ না কেউ করে থাকে এগুলো অবশ্যই কেউ ফ্রিতে করে না, কোন না কোন ভাবে তার কাছে ইনকাম হয় বলেই অনলাইন সেক্টর চলছে। তবে কেউ টাকা বা লাভ ছাড়া কিছুই করে না এটা আমাদের ভালভাবে বুঝতে হবে। তবে আজকে সহজভাবে পয়েন্ট আকারে বলব কি কি ভাবে ইনকাম করা যায় অনলাইনের মাধ্যমে। তবে আপনিও যদি চান ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব, টিকটক এসব সোস্যাল মিডিয়ার নিউজ ফিড অযথা না ঘুরে সময়কে কাজে লাগাতে তাহলে আপনার জন্যই আজকের এই লেখাটি। এই লেখাটি সম্পূর্ণ পড়লে আপনি জানতে পারবেন অনলাইনের মাধ্যমে কি কি ভাবে ইনকাম করা যায়। তবে এই আর্টিকেলে ১২টি পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করব যেগুলোর মাধ্যমে অনলাইনে ইনকাম করা যাবে। 

প্রথমেই এক নজরে দেখে নিন কি কি বিষয় নিয়ে এই লেখায় আলোচনা করা হবেঃ

১। ইউটিউবিং করে আয়

২। ব্লগিং করে আয়

৩। ফ্রিলায়েন্সিং করে আয়

৪। এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়

৫। ছবি বিক্রি করে আয়

৬। ভিডিও দেখে টাকা আয়

৭। ব্যবসা করে আয়

৮। সার্ভে করে আয়

৯। ফেসবুক এর মাধ্যমে আয়

১০। ডিজিটাল মার্কেটিং করে আয়

১১। ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আয়

১২। মোবাইলের মাধ্যমে আয়

১। ইউটিউবিং করে আয়ঃ

ইউটিউবে কিভাবে আয় করে, ইউটিউব এর মাধ্যমে কিভাবে আয় করা যায় যদি এই প্রশ্নটি থাকে তাহলে বলব ইউটিউবের মাধ্যমে অনেক ভাবে ইনকাম করা যায়। প্রথমত আপনার একটি চ্যানেল খুলতে হবে তারপর আপনার যে নিশ ভাল লাগে সে নিশ নিয়ে কাজ করতে পারেন, নিশ হলো বিষয়, যেমন-টেকনোলজি, খেলাধুলা, রান্না-বান্না, ফানি, কোন কিছু তৈরি করা দেখানো, নিউজ ইত্যাদি এধরনের যত রকমের বিষয় আছে আপনার যে বিষয়টি ভাল লাগে বা আপনি যে বিষয়টি বুঝেন সে বিষয়টি ভিডিও তৈরি করতে পারেন, এই বিষয়গুলোকেই নিশ বলা হয়। তারপর পারফেক্ট ভাবে ভিডিও চ্যানেলে আপলোড দেওয়ার পর চ্যানেলটিকে মুনিটাইজ করতে হবে, মনিটাইজ হলো ভিডিও চলাকালীন সময় যে এড সো করে সেটার জন্য চ্যানেলকে পারফেক্ট করা, এক্ষেত্রে আপনাকে গুগল এডসেন্স এ একাউন্ট খুলে ইউটিউবের সাথে লিংক করে দিতে হবে যেন আপনার ভিডিওতে এড সো করিয়ে দেয় এবং এই এড (বিজ্ঞাপন) এর মাধ্যমে ইনকাম হবে। এই ইনকাম গুলো এডসেন্স একাউন্টে জমা হবে যা ১০০ ডলার হলে আপনাকে ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে পেমেন্টে করবে।

ইউটিউবে যে শুধু মাত্র এই বিজ্ঞাপন সো করার মাধ্যমেই যে ইনকাম হয় তা কিন্তু নয়, আপনি দেখে থাকবেন একজন ইউটিউবার ভিডিওর মাধ্যমে একটি মোবাইল সম্পর্কে বলছে মোবাইলটি কেমন কোন জায়গা থেকে কিনবেন। এই যে ভিডিওটি করল এই ভিডিওটি করার জন্য মোবাইল কোম্পানীর পক্ষ থেকে টাকা দিয়ে থাকে। এরকমভাবে যত ধরনের প্রোডাক্ট আছে সবগুলোর প্রোডাক্টের ভিডিও করার জন্য টাকা দিয়ে থাকে, এটাকে স্পন্সর ভিডিও বলা হয়।

তারপর ইউটিউবের ডিসক্রিপশনে দেখবেন বিভিন্ন লিংক দেওয়া থাকে প্রোডাক্ট কেনার জন্য এগুলোকে বলে এফিলিয়েট, মানে কেউ যদি ওই লিংকের মাধ্যমে কোন ওয়েবসাইট থেকে কোন কিছু কিনে তাহলে যার লিংকের মাধ্যমে গিয়ে কিনল সে কিছু কমিশন পাবে।

আরো অনেক পন্থা আছে ইউটিউবারদের ইনকাম করার, যত বেশি সাবস্ক্রাইবারের চ্যানেল হবে এবং বেশি বেশি পপুলার ইউটিউবার হবে তার তত ইনকামের সোর্স বাড়বে। তখন তার ইনকাম সম্পর্কে জানতে হবে না, তাকেই ইনকাম খুজবে।

২। ব্লগিং করে আয়ঃ

ব্লগিং করেও প্রচুর আয় করা যায়। ব্লগিং হলো কোন ওয়েবসাইটে যে কোন বিষয়ের উপর লিখা। আপনি যে বিষয়টি পারেন বা বুঝেন সে বিষয় নিয়ে লিখতে পারেন, যেমন-খেলাধুলা, রান্নাবান্না, চিকিৎসা, টেকনোলজি, ধর্মীয় বিষয়সহ যে যেবিষয় নিয়ে লিখতে চাই, যেমনটি পত্রিকার কাগজে লিখা হয় তেমনি ব্লগিং হলো অনলাইনে তেমনি ভাবে লিখাকে বুঝায়।

ব্লগিং করার জন্যও আবার কয়েকটি পন্থা আছে যেমন আপনি চাইলে নিজের একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে লিখতে পারেন, সেক্ষেত্রে আপনাকে ডোমেইন, হোস্টিং ও ওয়েবসাইট এর দরকার পরবে তখন নিজের ওয়েবসাইটে লিখতে পারবেন যেমনটি এই যে লিখাটি পরছেন সেটিও একটি ব্লগ বা আর্টিকেল এবং এই লেখাটি পোষ্ট করার আগে আমাকে ডোমেইন হোস্টিং কিনে ও ওয়েবসাইট তৈরি করিয়ে নিতে হয়েছে। মূল কথা হলো নিজের ওয়েবসাইটেও লিখতে পারেন আবার অন্যকারো ওয়েবসাইটে লিখেও আয় করতে পারেন, আজকাল অনেক ওয়েবসাইট আছে যাদের এখানে লেখা দিলে তারা পেমেন্ট করে থাকে আর যদি আপনি ইংলিশে আর্টিকেল লিখতে পারেন তাহলে ইন্টারন্যাশনালিভাবে ভাল ডলার আয় করতে পারবেন। আর নিজের ওয়েবসাইটে ব্লগিং করে আয় করার রাস্তা হলো ঐ ইউটিউবের যে পন্থা গুলো বলা হয়েছে ঠিক সেই রকমভাবেই ওয়েবসাইট থেকে আয় করা যায়। এখানেও বিজ্ঞাপন দেয় এডসেন্স এপ্রোবের মাধ্যমে এবং এফিলিয়েট লিংক ব্যবহার করতে পারেন আবার অন্যান্য কোম্পানী গুলোও তাদের প্রোডাক্ট সম্পর্কে বলার জন্য বা বিজ্ঞাপন দেওয়ার মাধ্যমে ইনকাম করা যায়। 

৩। ফ্রিলায়েন্সিং করে আয়ঃ

অনলাইনের আয় করার বেশ ভাল একটা এমাউন্ট এই ফ্রিলায়েন্সি করে ইনকাম করে থাকে মানুষ, বিশেষ করে বাংলাদেশের ইয়াং জেনারেশন আজকের দিনে চাকুরীর পিছে না ঘুরে ফ্রিলায়েন্সিং এর মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে। ফ্রিলায়েন্সিং হল স্বাধীন পেশাকে বুঝায়, যেমন আপনি কারো অধিনে চাকুরী করবেন না কিন্তু স্বাধীনভাবে কাজের এপ্লাই করবেন এবং কাজ নিয়ে কাজের দক্ষতা দিয়ে কাজটি করে দিবেন তার বিনিময়ে টাকা পাবেন।

ফ্রিলায়েন্সিং এ কি কাজ করা যায়ঃ কথা হলো কি কি কাজ করা যায় ফ্রিলায়েন্সিংয়ে, আসলে ফ্রিলায়েন্সিং এ এরকম কোন নির্দিষ্ট করা নেই যে, আপনি শুধু মাত্র কয়েকটা কাজই শিখতে হবে বা পাবেন। তবে বেশির ভাগ ফ্রিলায়েন্সাররা যে কাজ গুলো করে থাকে তা হলো- গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ, ডাটা এন্টির কাজ, ওয়েবসাইট ডিজাইন এন্ড ডেভোলাপমেন্ট, ভিডিও এডিটিং, এনিমেশন ভিডিও তৈরি করা ইত্যাদি এই কাজ গুলো বেশির ভাগ করে থাকে।

কি কি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফ্রিলায়েন্সিং করা যায়ঃ যেসব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বেশিরভাগ ফ্রিলায়েন্সিং করে থাকে বা মানুষ যেসব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কাজ পেয়ে থাকে তার মধ্যে সবচেয়ে পপুলার হলো- ফাইভার, আপওয়ার্ক, ফ্রিলায়েন্সার এছাড়াও আরো অনেক এ ধরনের সাইট আছে যেগুলোর মাধ্যমে ফিলায়েন্সিং করা যায় বা ফিলায়েন্সিং করার কাজ পাওয়া যায়।  

৪। এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়ঃ

এফিলিয়েট মার্কেটিং করে খুব সহজেই ইনকাম করা সম্ভব। সারা বিশ্বে এই এফিলিয়েট এর পদ্ধতিটি খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই এফিলিয়েট করেও লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করা সম্ভব। এফিলিয়েট জানলে এই কাজ করা বেশি একটা কঠিন কিছু নয়।

এফিলিয়েট মার্কেটিং কিঃ এফিলিয়েট অর্থ হলো যেকোন ই-কমার্স এর হয়ে তাদের প্রোডাক্ট অন্য জনের কাছে বিক্রি করে দেওয়া, সেক্ষেত্রে আপনাকে তাদের প্রোডাক্ট এর লিংক আপনার আইডি দিয়ে জেনারেট করে ওই লিংক নিয়ে ওয়েবসাইট ইমেইল সোস্যাল মিডিয়া সহ যেকোন পন্থায় সেই লিংকটিকে অন্যজনদের কাছে পৌছানো, ওই লিংকের মাধ্যমে যারা প্রোডাক্ট কিনবে এফিলিয়েটরকে একটা পারসেন্টিস দিবে প্রোডাক্টের কোম্পানী গুলো।

এফিলিয়েট মার্কেটিং সাইট সমূহঃ এফিলিয়েট করার জন্য অ্যামাজন, ইনভাটো সবথেকে জনপ্রিয়। তাছাড়া বাংলাদেশেরও এখন অনেক কোম্পানী এই এফিলিয়েট সুবিধা দিয়ে থাকে তার মধ্যে বিডিশপ, ডায়নাহোস্ট এ ধরনের অনেক সাইট আছে যারা এফিলিয়েট করার পদ্ধতি রেখেছে।

কিভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং করবেনঃ এফিলিয়েট করার জন্য প্রথমেই যেকোন ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখবেন ওই ওয়েবসাইটের নিচের দিকে বা যেকোন জায়গায় এফিলিয়েট নামের একটি ক্যাটাগরি আছে সেখানে ক্লিক করলে এখানে রেজিস্ট্রেশন করতে বলবে আপনার ইনফরমেশন দিতে বলবে তথ্য দেওয়া হলে এই সাইটে আপনার নিজের একটি আইডি তৈরি হবে, ঐ আইডির মাধ্যমে তাদের প্রোডাক্টের লিংক জেনারেট করতে হবে বা আপনার একটি নিজস্ব লিংক থাকবে সেই লিংকটি বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ভাবে মার্কেটিং করবেন। আপনার লিংকের মাধ্যমে যারাই প্রোডাক্ট কিনবে আপনার আইডিতে একটা পারসেন্টিস টাকা যোগ হয়ে যাবে।

এফিলিয়েট মার্কেটিং এর টাকা কিভাবে পাবেনঃ যে যেভাবে টাকা পেমেন্ট করে সেভাবে টাকা নিয়ে নিবেন। বাংলাদেশ হলে বিকাশ বা ব্যাংকের মাধ্যমেও নিতে পারেন আর বিদেশি হলে ব্যাংক এর মাধ্যমে নিতে পারেন বা পেপাল এর মাধ্যমেও নিতে পারবেন।

৫। ছবি বিক্রি করে আয়ঃ

অনলাইনে ছবি বিক্রি করে ইনকাম করা যায়। আপনার যদি ছবি তোলার শখ থেকে থাকে তাহলে আপনি ছবি তুলে অনলাইনে বিক্রি করতে পারেন। আপনার কাছে যদি ভাল ক্যামেরা না থাকে তাহলে মোবাইলের মাধ্যমেও ছবি তুলতে পারেন যদি ফটোশপের মাধ্যমে ইডিট করতে পারেন তাহলে ইডিট করেও ছবিকে আরো আকর্ষিত করতে পারেন। যদি ইডিটি না পারেন তাহলে রো ফাইলই আপলোড দিতে পারেন।

অনলাইনের মাধ্যমে ছবি বিক্রি করার যেসব সাইট রয়েছে তারমধ্যে অন্যতম হলো Shutter stock, 500px, Envato এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ছবি বিক্রি করতে পারেন। এসব সাইটের মাধ্যমে ছবি বিক্রি করতে পারেন বা এসব সাইটে ছবি আপলোড করে ইনকাম করা সম্ভব।

৬। ভিডিও দেখে আয়ঃ

অনলাইনে ভিডিও দেখেও আয় করা যায়। অনেক ওয়েবসাইট বা এপস আছে যেগুলোর মাধ্যমে ভিডিও দেখে আয় করা সম্ভব। তবে এসব সাইটে ভিডিও দেখে ইনকাম করার আগে অনেক বিষয় প্রথমে আপনাকে ভেবে দেখতে হবে, যেমন ভিডিও প্রতি মাত্রাঅতিরিক্ত পেমেন্ট করবে যদি বলে তাহলে ভেবে নিতে পারেন এই সাইটে সমস্যা থাকতে পারে, কারন ভিডিও দেখে সাধারণত বেশি টাকা পাওয়া যাওয়ার কথা নয়। একটি ভিডিও মূলত একটি বিজ্ঞাপন ধরা হয় আর আপনি একটি বিজ্ঞাপন দেখা বাবত কত টাকা পেমেন্ট করতে পারে একজন কোম্পানী তা আগে আইডিয়া করে নিবেন। মানুষকে ঠকানোর প্রথম ও মূল যে হাতিয়ারটি থাকে তা হলো চটকদারি বিজ্ঞাপন, মানুষকে লোভ দেখিয়েই বেশিরভাগ ঠকিয়ে থাকে যে কোন পর্যায়ে। যদি কোন ওয়েবসাইট বা এপস এ অতিরিক্ত পেমেন্ট দেয় দেখেন তাহলে এটাকে যাচাই বাছাই করে তারপর কাজ করুন, নাহলে ঠকে যাওয়ার আশংক্ষা থাকে।  

৭। ব্যবসা করে আয়ঃ

অনলাইনে ব্যবসা করে কিভাবে আয় করবেন। অনলাইনে অনেক ধরনের ব্যবসার সুযোগ রয়েছে। এখন কথা হলো আপনি কি ধরনের ব্যবসা করতে চান। মূল কথা হলো ব্যবসায়ের যত ধরনের উপায় আছে প্রায় সবগুলোই এখন অনলাইনেও করা যাচ্ছে যা আগে এভাবে করা যেত না। যেমন-খাবার, কাপড়, যন্ত্রপাতি, নিত্য প্রয়োজনীয় সেসব জিনিস দরকার হয় সব কিছুই অনলাইনেও বিক্রি করা যায়। শুধু দরকার আপনি কোন ধরনের আইটেম নিয়ে ব্যবসা করবেন ঠিক করা তারপর ডোমেইন হোস্টিং ও ওয়েবসাইট তৈরি করিয়ে ই-কমার্স হিসাবে ব্যবসা শুরু করা। এগুলো যদি বাজেট বেশি মনে হয় প্রাথমিক অবস্থায় ব্যবসার নামে ফেসবুক পেইজ তৈরি করে তারপর সেখানে আপনার ব্যবসার বিজ্ঞাপন দিয়েও শুরু করা যায়।

তাছাড়াও অনেক সাইট আছে যেখানে আপনি ওয়েবসাইট বিক্রি করতে পারেন, লোগো বিক্রি করতে পারেন, ওয়ার্ডের ডকুমেন্টও বিক্রি করতে পারেন এগুলো বিক্রি করার বাজার হাট এর মত বিক্রি করা যায়। আপনি যদি ওয়েবসাইট তৈরি করতে জানেন তাহলে একটি ওয়েবসাইট অনেকজনের কাছে বিক্রি করতে পারবেন।

আবার যারা ডোমেইন হোস্টিং নিয়ে কাজ করতে চান, তারা রিসেলার হিসেবে ডোমেইন হোস্টিং নিয়েও ব্যবসা করতে পারেন। যারা লেখক তারাও আজকাল অনলাইনের মাধ্যমে তাদের বই বা লেখা বিক্রি করে থাকে।

৮। সার্ভে করে আয়ঃ

সার্ভে করে অনলাইনে আয় করা সম্ভব, অনেকেই শুধু সার্ভে করার কাজ করেই বেশ ভাল একটা এমাউন্ট আয় করে যাচ্ছে। সার্ভে অর্থ হল যেকোন কোম্পানী তাদের ফিকব্যাক দেখার জন্য এই সার্ভে দিয়ে থাকে। অনেক দেশও এই সার্ভের সিস্টেমটি করে থাকে কারন যেকোন কিছুর উপর মানুষের মতামত বা ফিডব্যাক জানার জন্য এই সার্ভে করে থাকে। যারা মূলত বাংলাদেশ থেকে প্রফেশন ভাবে সার্ভে কাজটি করে থাকে তারা ভিপিএন ব্যবহার করে বিভিন্ন দেশের হয়ে এই সার্ভেতে অংশ গ্রহণ করে। বিভিন্ন বিদেশী কোম্পানী গুলো কোন একটি সাইটের মাধ্যমে তাদের সার্ভে কাজ দিয়ে থাকে, আর ওই সাইট অন্যান্য অংশগ্রহনকারীদের দিয়ে ভাল একটা রেট বসিয়ে কাজটি করিয়ে নেয়। বড় বড় কোম্পানী একটি সার্ভের জন্য একশ ডলারও পেমেন্টে করে থাকে ও ১২ ডলার, ১৫ ডলার এভাবেও রেট থাকে একটি সার্ভে করার জন্য। তবে সার্ভে করার সময় একটা সমস্যা থাকে সব সার্ভে মাঝে মধ্যে এপ্রোভ হয় না, যদি তাদের দেওয়া কন্ডিশন ফিলাপ না হয় কিছুটা যদি মিল না থাকে তাহলে যে সার্ভেটি করা হয়েছিল সেটি আবার পুনরায় করতে হতে পারে। তবে যারা সব সময় সার্ভে কাজ করে তারা আস্তে আস্তে এক্সপার্ট হয়ে উঠে।

৯। ফেসবুক এর মাধ্যমে আয়ঃ

ফেসবুকে কিভাবে টাকা আয় করা যায়? যদি এই প্রশ্নটি তাহলে জেনে নিতে পারেন ফেসবুকের মাধ্যমে এখন অনেক পন্থা আছে ইনকাম করার। যেমন ইউটিউবে যেভাবে ভিডিও আপলোড করে ইনকাম করা যায় ঠিক তেমনি ভাবে ফেইসবুকের মাধ্যমে তেমনি আয় করা যায়। ফেসবুকের পেইজের মাধ্যমে ভিডিও পোষ্ট করে অনেকেই লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করে যাচ্ছে। বেশি বেশি লাইক ফলোয়ারের ফেসবুক পেইজ বিক্রিও করা যায়। ফেসবুকের মাধ্যমে প্রোডাক্টের সার্ভিস দিয়ে ইনকাম করা যায়, এখন অনেকেই নিজেদের সার্ভিস বা প্রোডাক্ট লাইক পেইজের মাধ্যমে বুস্ট করে অনেক অনেক ইনকামের রাস্তা করে নিয়েছে।

১০। ডিজিটাল মার্কেটিং করে আয়ঃ

ডিজিটাল মার্কেটিং করে আয় করা এখন সময়ে দাবি হয়ে উঠেছে। কারণ আগে যেখানে মানুষ ঘুরে ঘুরে মার্কেটিং করত এখন তা অনলাইনের মাধ্যমে কিছু টেকনিকের মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং করা সম্ভব। দেশের অনেকেই ডিজিটাল মার্কেটিং এর দিকে জোকছে। অনেকে অফিস নিয়েই বসে গেছে ডিজিটাল মার্কেটিং করার জন্য। আর এখন ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদাও খুব প্রচুর। কারন আগে যেখানে অনেক টাকা খরচ করে একটি বিজ্ঞাপন দিতে হত সেখানে আজ খুব অল্প টাকায় টার্গেট দারি মানুষের কাছে বিজ্ঞাপন দেওয়া সম্ভব ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে। আপনিও চাইলে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে ভাল একটা আয় করার সম্ভব।

১১। ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আয়ঃ

ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আয় করা সম্ভব। এখন কথা হল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে দুই ধরনের ইনকাম করা যায়। এক ধরনের হলো আপনি ওয়েবসাইট তৈরি করে বিক্রি করবেন আরেক ধরনের হলো ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সার্ভিস দিয়ে ইনকাম করবেন বা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আয় করা।

যদি ওয়েবসাইট তৈরি করে বিক্রি করে ইনকাম করতে চান তাহলে বলবো একটি ওয়েবসাইট ১ লক্ষ টাকা বা তার বেশিও বিক্রি করা সম্ভব বা ওয়েবসাইটের রিলেটেড যত সার্ভিস আছে সেগুলো করেও অনেক ইনকামের সোর্স রয়েছে, যেমন-এসইও করে দেওয়া, ওয়েবসাইট আপডেট করে দেওয়া, ওয়েবসাইট এর খুটিনাটি কাজ করে দেওয়া এ ধরনের কাজও অনেক অনেক আছে। কারন আমরা অনলাইনে যা কিছুই দেখি না কেন সব কিছুই ওয়েবসাইটের মাধ্যমেই দেখে থাকি, তাহলে বুঝতেই পারছেন অনলাইনে ওয়েবসাইটের কাজে কি রকম চাহিদা রয়েছে।

ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ইনকাম করার উপায়ঃ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আয় করার উপায় বলতে যেমন- যে সব ই-কমার্স সাইটগুলো আছে সেগুলোর মাধ্যমে যে ইনকাম করা হয় তাকে বুঝাতে চেয়েছি, আবার এই যে গুগল, ইউটিউব, ফেসবুক, টুইটার, ব্লগ সাইট, নিউজ সাইটসহ যত ওয়েবসাইট আছে সেগুলোর মাধ্যমে যে ইনকাম হয় তার মাধ্যমে যে ইনকাম হয় তাকেও ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ইনকাম করাকে বুঝায়।

১২। মোবাইলের মাধ্যমে আয়ঃ

অনলাইনে মোবাইলের মাধ্যমেও আয় করা সম্ভব। মোবাইল দিয়ে ইনকাম করার আগে কিছু পন্থা আপনাকে জানতে হবে। আপনি হয়তো শুণে থাকতে পারেন ঘরে বসে মোবাইলে আয় বা এপস এর মাধ্যমে ইনকাম করা যায়, আপনার প্রশ্ন থাকতে পারে কোন app দিয়ে টাকা আয় করা যায়? তাহলে আপনাকে আগে বুঝতে হবে  একটি কম্পিউটার দিয়ে যেভাবে অনলাইনে আয় করা সম্ভব কিন্তু মোবাইল দিয়ে সেভাবে আয় করা সম্ভব নয়। মোবাইল দিয়ে আপনি ইউটিউব চালাতে পারেন, অনেক ইউটিউবার আছে যারা প্রথমে মোবাইল দিয়েই ইউটিউবিং শুরু করেছিল এবং লক্ষ লক্ষ সাবস্ক্রাইবারও অর্জন করেছিল। মোবাইল দিয়ে আপনি ফেসবুক পেইজ তৈরি করে সে পেইজের মাধ্যমেও ইনকাম করতে পারেন। কিন্তু অনলাইনে সব কিছুতেই যদি ইনকাম করতে চান তাহলে আপনাকে একটি কম্পিউটারের প্রয়োজন হবেই।

তবে মোবাইলে অনেক এপসেই ইনকামের কিছু কিছু সুযোগ দিয়ে রেখেছে যেমন ইমু থেকেও ইনকাম করা যায়, ভিগো, টিকটক, লাইকি এধরনের সাইটের মাধ্যমেও কিছু ইনকামের সুযোগ রয়েছে তবে এগুলো আসলে আমার দৃষ্টিতে একজন মানুষের প্রফেশনাল হিসেবে বেছে নেওয়া ঠিক নয়। এসব এপসের আয় করাটাও একধরনের ফানি ধরনের হয়ে থাকে।

শেষ কথা হলো- অনলাইন ইনকাম (Online Income) করার অনেক উপায় আছে। আজকাল দেশের হাজার হাজার যুবক এই অনলাইন পেশাকেই জীবনের প্রফেশন হিসেবে নিয়েছে। এখন আর মানুষ ঘরে বসে থাকে না, ঘরে বসেই আয় করা যায় অনলাইনের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা। এই আর্টিকেল এর মধ্যে অনলাইন ইনকাম এর মূল বিষয়গুলোই তুলে ধরা হলো এবং বলা হলো কিভাবে অনলাইনে আয় করা যায়।

আশা করি আর্টিকেলটি ভাল লেগেছে যদি ভাল লেগে থাকে তাহলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন এবং অনলাইন ইনকাম সম্পর্কে আরো কিছু জানতে চান কমেন্ট করতে পারেন যথা সাধ্য চেষ্টা করবো উত্তর দেওয়ার। আল্লাহ হাফেজ।

Quick Bangla

এই ওয়েবসাইটে সবচাইতে প্রাধান্য দেওয়া হয় টেক বিষয় গুলোকে তবে পাশাপাশি অন্যান্য প্রয়োজনীয় বাংলা ব্লগ বিষয়ও পেয়ে যাবেন।

Related Articles

2 Comments

  1. I am really surprised by the quality of your constant online aay posts. You really are a genius, I feel blessed to be a regular reader of such a blog Thanks so much..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button