মোটরসাইকেল মালিকানা পরিবর্তন করার সকল নিয়ম
মোটরসাইকেল মালিকানা পরিবর্তন করার জন্য কি কি কাগজপত্র তৈরি করতে হয় এবং মোটর সাইকেল মালিকানা বদলীর প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট ফরমেট ডাউনলোড সহ A to Z জানার জন্য এই পোষ্টটি পড়ুন। (change of vehicle ownership documents)।
মোটরসাইকেল মালিকানা পরিবর্তন করার নিয়ম
বিআরটিএ তে মোটর সাইকেল এর নাম পরিবর্তন করার জন্য কি কি কাগজপত্র তৈরি করে নিয়ে যেতে হয় ও কি কি নিয়ম পালন করতে হয় বা কত টাকা ব্যাংকে জমা দিতে হয় এবং মোটর সাইকেল মালিকানা পরিবর্তন এর সকল বিষয় নিয়ে আজকের এই পোষ্টে আলোচনা করব এবং সকল ফরমেট তুলে ধরব।
বর্তমানে সময় উপযোগি হিসেবে মোটর সাইকেলের প্রয়োজনীয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে তার সাথে মানুষের নতুন মোটর সাইকেলের পাশাপাশি পুরাতন মোটর সাইকেল ক্রয় বিক্রয়ও বেড়েই চলেছে। মোটরসাইকেলের মালিকানা পরিবর্তন করতে গিয়ে আমরা অনেকে বিভিন্ন সমস্যায় পড়ে থাকি, অনেকেই জানে না মোটরসাইকেল এর মালিকানা পরিবর্তন করতে গেলে কি কি নিয়মাবলি বা কি কি করতে হয়।
আমরা যখন মোটর সাইকেল বিক্রি করতে যাই তখন বিআরটিএ তে নিজেদের নামের জায়গায় ক্রেতার নাম করিয়ে দেওয়া প্রয়োজন হয় বা আমরা যখন অন্যের কাছ থেকে কোন সেকেন্ট হ্যান্ড অথবা পুরাতন মোটর সাইকেল ক্রয় করি তখন বিআরটিএ তে পূর্বের মালিকের নাম পরিবর্তন করে নিজের নামে গাড়িটি মালিকানা পরিবর্তন করে নেওয়ার প্রয়োজন হয় (motorcyle ownership transfer in bangladesh brta)। তবে আজকের এই পোষ্টে মোটর সাইকেল নাম পরিবর্তন এর এ টু জেট আলোচনা করব ও কি কি ফরমেট দরকার হয় তা এই পোষ্টেই পেয়ে যাবেন।
আরো ভালভাবে বলতে- সেকেন্ট হ্যান্ড অথবা পুরাতন গাড়ী কেনার পরই প্রয়োজন হয়ে থাকে গাড়ীর মালিকানা বা ওনারশীপ পরিবর্তন করার। ওনারশীপ পরিবর্তন না করা পর্যন্ত যার নামে গাড়ীটি এতদিন ছিল বা গাড়ীটি মালিকানা পরিবর্তন না করা পর্যন্ত অফিশিয়ালিভাবে পূর্বের মালিকই থেকে থাকে। এ জন্য গাড়ী ক্রয় করার সাথে সাথে বিক্রেতার নিকট থেকে গাড়ীর সকল মূল কাগজপত্রসহ গাড়ীর মালিকানা পরিবর্তন করে নিতে হয়।
আশা করি কেউ যদি সেকেন্ড হ্যান্ড মোটরসাইকেলের কিনতে চায় মোটরসাইকেলের মালিকানা পরিবর্তনের নিয়মাবলি সম্পূর্ণ ধারণা পাবেন এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে (motorcycle ownership transfer process in bangladesh)।
মোটরসাইকেল মালিকানা পরিবর্তন করতে গেলে কি কি দরকার হয়ঃ
১। টি. ও ফরম।
২। টি.টি. ও ফরম।
৩। বিক্রয় রশিদ ফরম, মানি রিসিপ্ট।
৪। ওনার পারটিকুলার ফরম (চার স্বাক্ষরের ফরম)।
৫। হাজিরাপত্র ফরম।
৬। ক্রেতা এনআইডি ফটোকপি।
৭। বিক্রেতা এনআইডি ফটোকপি।
৮। ক্রেতার TIN সার্টিফিকেট ফটোকপি।
৯। বিক্রেতার TIN সার্টিফিকেট ফটোকপি।
১০। টেক্স টোকেন ফটোকপি।
১১। ড্রাইভিং লাইসেন্স ফটোকপি।
১২। ২০০ টাকার ষ্ট্যাম্পে বিক্রেতা হলফনামা
১৩। ২০০ টাকার ষ্ট্যাম্প পেপারে ক্রেতার হলফনামা।
১৪। দশ টাকার রেভিনিউ ষ্ট্যাম্প।
১৫। ব্যাংকে টাকা জমা দিতে হবে। (মালিকানা বদলীর ফি বাবদ ব্যাংক জমা রশিদ)।
১৬। ক্রেতা ও বিক্রেতার ছবি (৩+২ স্বাক্ষরযুক্ত)।
১৭। ফিটনেস এর আপডেট ফটোকপি।
১৮। মোটরসাইকেল ১৫০ সিসির উর্ধ্বে তাদের জন্য পুলিশ প্রতিবেদন।
১৯। গাড়ী হাজির করতে হবে (গাড়ী পরিদর্শন)।
২০। মোটর সাইকেলটি ব্যাংক বা অন্য কোন প্রতিষ্ঠানে দায়বদ্ধ থাকলে ঋণ পরিশোধ ছাড়পত্র প্রদান।
২১। ক্রেতা কোন প্রতিষ্ঠানের হলে অফিসিয়াল প্যাড এ আবেদনপত্র লিখতে হবে।
২২। বিক্রেতা কোম্পানীর হলে অফিসিয়াল প্যাডে ইন্টিমেশন, বোর্ড রেজুলেশন ও অথরাইজেশন পত্র প্রদান করতে হবে।
তবে চলুন মোটর সাইকেল নাম পরিবর্তন করতে গেলে কি কি দরকার হয় তার বর্ণনা ফরমেট নমুনাসহ জেনে নেইঃ
১। টি. ও ফরম।
মোটরসাইকেল এর নাম পরিবর্তন করতে গেলে একটি টি.ও ফরম পূরণ করে জমা দিতে হয়।
নিম্নে টি.ও ফরম নমুনা ফরমেট দেওয়া হলো, এই নমুনাটির তথ্যগুলো পূরণ করে জমা দিতে হবেঃ-
ফরম-টি ও
[মোটরযান অধ্যাদেশ ১৯৮৩-এর ৪০ (১) ধারা এবং মোটরযান বিধি ১৯৮৪-এর ৬৪ (১) বিধি]
মোটরযানের মালিকানা বদলি
আমি/আমরা ————————————————————————
পিতা/স্বামী —————————————————————————
ঠিকানা ——————————————————————————–
এতদসংগে গাড়ী নং ——————————————— ধরন ————-
প্রস্তুতকারক/প্রস্তুতকাল ——————————————————————–
এর রেজিষ্ট্রেশন সাটিফিকেট ও ফিটনেস সাটিফিকেট, রুট পারমিট, ট্যাক্স টোকেন এবং ইনস্যুরেন্স সাটিফিকেট সংযুক্ত করিয়া
জনাব ———————————————————————————–
পিতা/স্বামী ——————————————————————————-
ঠিকানা ———————————————————————————–
কর্তৃক আমার/আমাদের নিকট হস্তান্তরকৃত উপরোলিখিত গাড়ীটির মালিকানা আমার/আমাদের অনুকুলে বদলি তথা (রেজিষ্ট্রেশন) করিবার অনুরোধ জানাইতেছি।
তারিখ ঃ———————
———————————-
হস্তান্তরকারী গ্রহীতার (ক্রেতা) স্বাক্ষর
ভাড়া খরিদ/দায়বদ্ধ মালিকের স্বাক্ষর
২। টি.টি. ও ফরম।
মোটর সাইকেল মালিকানা পরিবর্তন (bike name transfer bd) ফরম হিসেবে টি.টি.ও ফরম পূরণ করে জমা দিতে হয়।
নিম্নে টি.টি.ও ফরম নমুনা ফরমেট দেওয়া হলো, এই নমুনাটির তথ্যগুলো পূরণ করে জমা দিতে হবেঃ-
ফরম- টি টি ও
(মোটযান বিধি ১৯৮৪ এর ৬৪ (১) বিধি)
মোটরযানের মালিকানা বদলীর তথ্য।
রেজিস্টারিং অথরিটি: B.R.T.A.
আমি মোঃ এরফান চৌধুরী, পিতা-মৃত মোঃ মালেক চৌধুরী, ঠিকানা- ৫৫, আদাবর, মোহাম্মদপুর, জেলা-ঢাকা, বাংলাদেশ। জাতীয়তা-বাংলাদেশী, ধর্ম-ইসলাম, পেশা-চাকুরী।
এতদ্বারা জানাইতেছি যে, আমি/ আমরা একখানা গাড়ী বিক্রয় কারয়াছি ঃ যাহার রেজিঃ নং-
…………………, ধরণঃ- সি.এন.জি, চেসিস নং- MD2AAAFZWC-06772
ইঞ্জিন নং- AAMSC-17512 , তৈরীর সন-২০০৯ অশ্বশক্তি-১৭৫ সিসি
প্রস্তুতকারকঃ- বাজাজ ভারত,
যাহা জনাব মো:
স্থায়ী ঠিকানা:———————————————————————–
বর্তমান ঠিকানা:———————————————————————
নমুনা স্বাক্ষর: (১) (২)
এর নিকট হস্তান্তর করিয়াছি এবং গাড়ীটির মালিকানা তাহার/তাহাদের অনুকূলে বদলী করিবার
জন্য অনুরোধ জানাইতেছি।
তারিখ: হলফকারীর স্বাক্ষর:
পূর্ণ নাম-
৩। বিক্রয় রশিদ ফরম, মানি রিসিপ্ট।
মোটর সাইকেল/ বাইকের মালিকানা পরিবর্তন করলে অন্যান্য কাগজপত্রাদির সাথে বিক্রয় রশিদ বা মানি রিসিপ্ট সাথে জমা দিতে হয়, যেটার মধ্যে বিক্রেতা ক্রেতাকে টাকা বুঝিয়া পাওয়ার একটি মানি রিসিপ্ট দিবে যা জমা দিতে হবে।
নিম্নে বিক্রয় রশিদ ফরম নমুনা ফরমেট দেওয়া হলোঃ-
বিক্রি রশিদ
আমি ……………………………………….. পিতা/স্বামী……………………..
বর্তমান ঠিকানা ……………………………………….. ………………………………………..
স্থায়ী ঠিকানা ……………………………………….. ………………………………………..
আমার ব্যবহৃত প্রাইভেট ………………………………..কার, যার রেজিষ্ট্রেশন নং-……………………………..
ইঞ্জিন নং ……………………………………….. চেসিস নং………………………………………..
জনাব/জনাবা ……………………………………….. পিতা/স্বামী……………………..
বর্তমান ঠিকানা ………………………………………………………………………………….
স্থায়ী ঠিকানা ………………………………………………………………………………….
এর নিকট নগদ ………………………………………………………………………..
টাকা মাত্র উল্লেখিত স্বাক্ষীগণের সম্মুখে বুঝিয়া পাইলাম।
স্বাক্ষী স্বাক্ষর
১।
২।
৩।
৪। ওনার পারটিকুলার ফরম (চার স্বাক্ষরের ফরম)।
মোটর সাইকেল নাম পরিবর্তন (motorcycle name transfer brta) করার জন্য অন্যান্য কাগজপত্রাদি জমা দেওয়া সাথে owner’s particulars ফরম বা চার স্বাক্ষরের একটি ফরম পূরণ করে জমা দিতে হয়। এই ফরমটি ইংলিশের বড় হাতের অক্ষর দিয়ে লিখে তথ্য গুলো পুরন করে ও চারটি স্বাক্ষর দিতে হয়।
নিম্নে owner’s particulars ফরম বা চার স্বাক্ষরের একটি ফরমের নমুনা ফরমেট দেওয়া হলোঃ-
owner’s particulars/specimen signature.
- Name :
- Father/Husband :
- Address :
- Sex :
- Phone no :
- Nationality :
- date of birth :
- guardians name :
- chassis no :
- engine no :
- year of mfg :
- prev. ren of (if any) :
- P.o/Bank :
Specimen signature
1| ………………….. 2|…………………..
3| ………………….. 4|…………………..
৫। হাজিরাপত্র ফরম।
মোটরসাইকেল মালিকানা পরিবর্তন (bike name transfer bd) করতে গেলে বিআরটিএ তে আপনাকে সরাসরি হাজির হতে হবে। আপনি যে স্ব-শরীরে হাজির হলেন তার জন্য আবেদনপত্রের মত করে একটি লেটার লিখতে হবে যা ৫টাকার ষ্ট্যাম্প পেপারে প্রিন্ট করে নিতে হবে।
নিম্নে স্ব-শরীরে হাজিরা পত্র ফরম নমুনা ফরমেট তুলে ধরা হলোঃ-
স্ব-শরীরে হাজিরা পত্র
বরাবর,
সহকারী পরিদর্শক (ইঞ্জি)
বিআরটিএ, ঢাকা মেট্রো সার্কের-১
মিরপুর-১৩, ঢাকা।
বিষয়ঃ মালিকানা পরিবর্তনের জন্য স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়ে স্বাক্ষর প্রদান।
আমি (বিক্রেতা) ……………………………………………. পিতা/স্বামী ………………………………………
ঠিকানাঃ ……………………………………………………………………….
আমার গাড়ীর রেজিষ্ট্রেশন নম্বর ………………………….। আমি ……………………. ইং
তারিখে অত্র অফিসে স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সম্মুখে
(ক্রেতা)………………………………. পিতা/স্বামী …………………………..
ঠিকানাঃ ……………………………………………………………………….
এর নিকট মালিকানা পরিবর্তনের জন্য স্ব-জ্ঞানে, সুস্থ্য মস্তিস্কে স্বাক্ষর করিলাম।
প্রত্যয়নকারী
ক্রেতার স্বাক্ষরঃ
মোবাইল নম্বরঃ
বিক্রেতার স্বাক্ষর (৩টি)
(১)
(২)
(৩)
৬। ক্রেতা এনআইডি ফটোকপি।
গাড়ির মালিকানা পরিবর্তন অথবা মোটরসাইকেল মালিকানা পরিবর্তন করতে গেলে ক্রেতার এনআইডি কার্ডের ফটোকপি করে অন্যান্য কাগজপত্রাদির সাথে জমা দিতে হয়। তাই অবশ্যই যারা মোটরসাইকেল কিনবেন তারা নিজেদের ভোটার আইডি কার্ড বা জাতীয়পরিচয়পত্র এর ফটোকপি করে অন্যান্য কাগজপত্রের সাথে জমা দিবেন।
৭। বিক্রেতা এনআইডি ফটোকপি।
মোটরসাইকেল মালিকানা পরিবর্তন (motorcycle name transfer brta) করতে গেলে বিক্রেতার ভোটার আইডি কার্ড/NID কার্ডের ফটোকপি করে অন্যান্য কাগজপত্রাদির সাথে জমা দিতে হয়। তাই মোটরসাইকেল মালিকানা পরিবর্তন করার সময় বিক্রেতার ভোটার আইডি কার্ড বা জাতীয়পরিচয়পত্র এর ফটোকপি করে অন্যান্য কাগজপত্রের সাথে জমা দিয়ে দিবেন।
৮। ক্রেতার TIN সার্টিফিকেট ফটোকপি।
পুরাতন গাড়ির মালিকানা পরিবর্তন / মোটরসাইকেল মালিকানা পরিবর্তন করতে গেলে ক্রেতার TIN সার্টিফিকেটের ফটোকপি করে অন্যান্য কাগজপত্রাদির সাথে জমা দিতে হয়। তাই অবশ্যই যারা মোটরসাইকেল কিনবেন তারা নিজেদের TIN সার্টিফিকেট এর ফটোকপি করে অন্যান্য কাগজপত্রের সাথে জমা দিবেন।
৯। বিক্রেতার TIN সার্টিফিকেট ফটোকপি।
পুরাতন মোটরসাইকেল মালিকানা পরিবর্তন করতে গেলে বিক্রেতার TIN সার্টিফিকেট এর ফটোকপি করে অন্যান্য কাগজপত্রাদির সাথে জমা দিতে হয়। তাই মোটরসাইকেল মালিকানা পরিবর্তন করার সময় বিক্রেতার TIN সার্টিফিকেট এর ফটোকপি করে অন্যান্য কাগজপত্রের সাথে জমা দিয়ে দিবেন।
১০। টেক্স টোকেন ফটোকপি।
পুরাতন মোটরসাইকেল মালিকানা পরিবর্তন করার সময় টেক্স টোকেন ফটোকপি করে জমা দিতে হয়। তাই যারা মোটরসাইকেল মালিকানা পরিবর্তন করতে চান তিনিরা অন্যান্য ডকুমেন্ট এর সাথে এটিও জমা দিয়ে দিবেন।
১১। ড্রাইভিং লাইসেন্স ফটোকপি।
পুরাতন মোটরসাইকেল মালিকানা পরিবর্তন করার সময় ড্রাইভিং লাইসেন্স ফটোকপি করে জমা দিতে হবে। তাই যারা মোটরসাইকেল মালিকানা পরিবর্তন করতে চান
তিনিরা অন্যান্য ডকুমেন্ট এর সাথে এটিও জমা দিয়ে দিবেন।
১২। ২০০ টাকার ষ্ট্যাম্পে বিক্রেতা হলফনামা
পুরাতন মোটরসাইকেল মালিকানা পরিবর্তন করার জন্য বিক্রেতার একটি হলফনামা তৈরি করতে হয়। যা ১০০ টাকার ষ্ট্যাম্প পেপার দুটি দিয়ে দুই পৃষ্ঠায় প্রিন্ট করতে হয়।
নিম্নে বিক্রয় হলফনামার নমুনা ফরমেট তুলে ধরা হলোঃ-
বরাবর, প্রথম শ্রেনীর হাকিমের আদালত/নোটারী পাবলিক, ঢাকা, বাংলাদেশ।
হলফনামা (বিক্রয়)
আমি ………………………………………………………………………………………………………..
পিতা/স্বামীঃ ………………………………………………………………………………………………….
ঠিকানাঃ ………………………………………………………………………………………………………
জাতীয়তা-বাংলাদেশী, ধর্ম- ………………………………… পেশা-……………………………………….
জাতীয় পরিচয়পত্র নং- …………………………………………. এই মর্মে হলফ পূর্বক ঘোষনা করিতেছি যে,
১। আমি একটি পুরাতন-……………………………………………………………… গাড়ী বিক্রয় করিয়াছি,
যাহার রেজিঃ নং- …………………………………………………………………………………………….
চেসিস নং- ………………………………………………, ইঞ্জিন নং ……………………………………….
তৈরি সন……………………………………..ইং, প্রস্তুতকারক ………………………………………………
অশ্বশক্তি- …………………………………………। সি,সি,রং-……………………………………………..
জনাব ………………………………………………………………………………………………………..
পিতা/স্বামীঃ ………………………………………………………………………………………………….
ঠিকানাঃ ……………………………………………………………………………………………………..
এর নিকট যাহার মূল্য নং ……………………………………………………………………….টাকা
এবং মূল্যের সর্ম্পূণ টাকা নগদ বুকিং পাইয়া আমার নামের যাবতীয় কাগজপত্রসহ গাড়ীটি বুঝাইয়া দিয়াছি।
বর্তমানে ক্রেতার বরাবরে মালিকানা বদলী করিতে আমার কোন আপত্তি নাই।
চলমান পাতা-০২
পাতা নং-০২
২। ইতিপূর্বে উহা কাহারও নিকট বিক্রয় করা হয় নাই। সম্পূর্ন নিষ্কন্টক অবস্থায় বিক্রয় করা হইল।
উপরোক্ত বর্ণনা আমার স্বজ্ঞানে ও বিশ্বাস মতে সত্য এবং নির্ভুল জানিয়া
নিম্নে সহি স্বাক্ষর করিলাম। ইতি, তাং-
হলফকারীর স্বাক্ষর
হলফকারী আমার পরিচিত, তিনি আমার সম্মুখে স্বাক্ষর করিয়াছেন।
আমি তাহাকে সনাক্ত করিলাম।
১৩। ২০০ টাকার ষ্ট্যাম্প পেপারে ক্রেতার হলফনামা।
পুরাতন মোটরসাইকেল মালিকানা পরিবর্তন করার সময় ক্রেতা একটি হলফনামা তৈরি করতে হয়। যা ১০০ টাকার ষ্ট্যাম্প পেপার দুটি দিয়ে দুই পৃষ্ঠায় প্রিন্ট করতে হয়।
নিম্নে ক্রয় হলফনামার নমুনা ফরমেট তুলে ধরা হলোঃ-
বরাবর, প্রথম শ্রেণী হাকিমের আদালত/নোটারী পাবলিক, ঢাকা, বাংলাদেশ।
হলফনামা (ক্রয়)
আমি ………………………………………………………………………………………………………..
পিতা/স্বামীঃ ………………………………………………………………………………………………….
ঠিকানাঃ ………………………………………………………………………………………………………
জাতীয়তা-বাংলাদেশী, ধর্ম- ………………………………… পেশা-……………………………………….
জাতীয় পরিচয়পত্র নং- …………………………………………. এই মর্মে হলফ পূর্বক ঘোষনা করিতেছি যে,
১। আমি একটি পুরাতন-……………………………………………………………… গাড়ী ক্রয় করিয়াছি,
যাহার রেজিঃ নং- …………………………………………………………………………………………….
চেসিস নং- ………………………………………………, ইঞ্জিন নং ……………………………………….
তৈরি সন………………………………….ইং, প্রস্তুতকারক ………………………………………………….
মডেল…………………………………………অশ্বশক্তি- ………………………………….. সিসি।
জনাব ………………………………………………………………………………………………………..
পিতা/স্বামীঃ ………………………………………………………………………………………………….
ঠিকানাঃ ……………………………………………………………………………………………………..
এর নিকট যাহার মূল্য নং ………………………………টাকা নগদ বুঝিয়া দিয়া কাগজপত্রসহ গাড়ীটি বুঝিয়া পাইয়াছি। বর্তমানে আমার বরাবরে নামজারী করিয়া নিলে বিক্রেতার কোন আপত্তি নাই।
চলমান পাতা-০২
পাতা নং-০২
উল্লেখিত গাড়ী আমার নামে মালিকানা বদলী করিলে মালিকানা সংক্রান্ত কাগজপত্র এবং সরকারী রাজস্ব নিয়ে কোন আইনগত জটিলতা আমি উহার সম্পূর্ণ দায়-দায়িত্ব বহন করিব এবং বি.আর.টি. এ কোন দায়-দায়িত্ব বহন করিবে না।
উল্লেখিত বিবরণ আমার জানামতে সম্পূর্ণ সত্য নির্ভুল।
হলফকারীর স্বাক্ষর
হলফকারী আমার সম্মুখে স্বাক্ষর করিয়াছেন।
আমি তাহাকে সনাক্ত করিলাম।
………………….
এডভোকেট
১৪। দশ টাকার রেভিনিউ ষ্ট্যাম্প।
মোটরসাইকেল নাম পরিবর্তন করার সময় দশ টাকার রেভিনিউ ষ্ট্যাম্প একটি কিনতে হয় যা ব্যবহার করা হয়।
১৫। ব্যাংকে টাকা জমা দিতে হবে। (মালিকানা বদলীর ফি বাবদ ব্যাংক জমা রশিদ)।
মোটরসাইকেল বা বাইকের নাম পরিবর্তন করার জন্য সকল কাগজপত্র বিআরটিএ তে জমা দেওয়ার সময় মোটরসাইকেল মালিকানা পরিবর্তন ফি বাবদ ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার রশিদটিও ওই সকল কাগজপত্রের সাথে জমা দিতে হবে।
মোটরসাইকেল মালিকানা পরিবর্তন ফি কত (brta motorcycle ownership transfer fee)
আমরা যখন পুরাতন বা সেকেন্ড হ্যান্ড মোটরসাইকেল কিনতে যাই তখন আমাদের সেই মোটরসাইকেলের কাগজ বা নম্বর প্লেট নিজের নামে করার প্রয়োজন হয়। মোটর সাইকেল মালিকানা পরিবর্তন করার জন্য কোন সি.সি জন্য কত টাকা ব্যাংকে জমা দিতে হবে তা আমরা অনেকেই জানি না (bike name transfer fee)। নিম্নে মোটরসাইকেলের মালিকানা পরিবর্তনের জন্য ব্যাংকে কত টাকা দিতে হয় তা উল্লেখ করা হলোঃ
* মোটর সাইকেল ০ থেকে ১০০ সি.সির জন্য ব্যাংকে টাকা জমা দিতে হবে (নাম্বার প্লেট সহ)
মালিকানা ফি বাবদ = ২,১২৮/- টাকা।
ডিজিটাল নাম্বার প্লেট বাবদ =২,২৬০/- টাকা।
ডিজিটাল ব্লু বুক = ৫৫৫/- টাকা ।
প্রতিলিপি ফি = ৩৪৫/- টাকা।
* মোটর সাইকেল ১০০ থেকে ১৫০ সিসির জন্য ব্যাংকে টাকা জমা দিতে হবে (নাম্বার প্লেট সহ)
মালিকানা ফি = ২,৬৬৫/- টাকা।
ডিজিটাল নাম্বার প্লেট = ২,২৬০/- টাকা।
ডিজিটাল ব্লু বুক = ৫৫৫/- টাকা।
প্রতিলিপি ফি = ৩৪৫/- টাকা।
* মোটর সাইকেল ০০ থেকে ১০০ সিসির জন্য ব্যাংকে টাকা জমা দিতে হবে (নাম্বার প্লেট ছাড়া)
মালিকানা ফি = ২,১২৮/- টাকা।
ডিজিটাল ব্লু বুক = ৫৫৫/- টাকা।
প্রতিলিপি ফি = ৩৪৫/- টাকা।
* মোটর সাইকেল ১০০ থেকে ১৫০ সিসির জন্য ব্যাংকে টাকা জমা দিতে হবে (নাম্বার প্লেট ছাড়া)
মালিকানা ফি = ২,৬৬৫/- টাকা।
ডিজিটাল ব্লু বুক = ৫৫৫/- টাকা।
প্রতিলিপি ফি = ৩৪৫/- টাকা।
১৬। ক্রেতা ও বিক্রেতার ছবি (৩+২ স্বাক্ষরযুক্ত)।
মোটরসাইকেল মালিকানা পরিবর্তন এর সময় ক্রেতা ও বিক্রেতার ৩+২ স্বাক্ষরযুক্ত ছবি লাগবে যা হলফনামার সাথে যুক্ত করতে হবে।
১৭। ফিটনেস এর আপডেট ফটোকপি।
মোটর সাইকেল মালিকানা পরিবর্তন করার সময় গাড়ীর ফিটনেস এর আপডেটটির ফটোকপি করে দিতে হবে।
১৮। মোটরসাইকেল ১৫০ সিসির উর্ধ্বে তাদের জন্য পুলিশ প্রতিবেদন।
যাদের মোটরসাইকেল ১৫০ সিসির উর্ধ্বে তাদের জন্য পুলিশ প্রতিবেদন দরকার হয়।
প্রতিবেদনের জন্য একটি নমুনা ফরমেট নিম্নে উল্লেখ করা হলোঃ-
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)
ঢাকা মেট্রো সার্কেল-১, মিরপুর, ঢাকা।
স্মারক নংঃ ৩৫.০৩.৩০১১.০০১.০০১.৩৯.০৪৪.২১- তারিখঃ
বরাবর
উপ-পুলিশ কমিশনার
…………………..।
বিষয়ঃ পুলিশ তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরণ প্রসঙ্গে।
সূত্রঃ বিআরটিএ সদর কার্যালয়ের স্মারক নং-৩৫.০৩.০০০০.০০৩.৩১.০২৪.২০১৬-৯৫১, তারিখ-০৬.০৩.২০১৯খ্রিঃ
জনাব,
যথাবিহীত সম্মান পূর্বক বিনীত নিবেদন এই যে, জনাব …………………..…………………..
পিতাঃ …………………..………………….. মাতাঃ…………………..…………………..
স্থায়ী ঠিকানা- গ্রামঃ ………………….. ডাকঘরঃ…………………..
থানাঃ ………………….. জেলাঃ …………………..।
১৫০ সিসি/তদূর্ধ মোটরসাইকেলের মালিকানার জন্য আবেদন করেছে।
এমতাবস্থায়, আবেদনকারীর একটি পুলিশ তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ করা গেল।
রেজিস্ট্রেশন কর্তৃপক্ষ
বিআরটিএ, ঢাকা মেট্রো সার্কেল-১
মিরপুর-১৩, ঢাকা।
১৯। গাড়ী হাজির করতে হবে (গাড়ী পরিদর্শন)।
মোটরসাইকেল নাম পরিবর্তন করার সময় বিআরটিএ তে গাড়ী হাজির করার নিয়ম রয়েছে। তাই নাম পরিবর্তনের সময় গাড়ীটি নিয়ে যাবেন।
২০। মোটর সাইকেলটি ব্যাংক বা অন্য কোন প্রতিষ্ঠানে দায়বদ্ধ থাকলে ঋণ পরিশোধ ছাড়পত্র প্রদান।
মোটর সাইকেলটি ব্যাংক অথবা অন্য কোন প্রতিষ্ঠানের নিকট দায়বদ্ধ থাকলে দায়বদ্ধকারী প্রতিষ্ঠানের ঋণ পরিশোধ সংক্রান্ত ছাড়পত্র সংগ্রহ করে তা প্রদান করতে হবে।
২১। ক্রেতা কোন প্রতিষ্ঠানের হলে অফিসিয়াল প্যাড এ আবেদনপত্র লিখতে হবে।
তবে ক্রেতা কোন প্রতিষ্ঠানের হলে, উপরে বর্ণিত কাগজপত্রসহ (হলফনামা ব্যতিত) অফিসিয়াল প্যাড এ আবেদনপত্র লিখতে হবে।
২২। বিক্রেতা কোম্পানীর হলে অফিসিয়াল প্যাডে ইন্টিমেশন, বোর্ড রেজুলেশন ও অথরাইজেশন পত্র প্রদান করতে হবে।
বিক্রেতা কোন কোম্পানীর হলে কোম্পানীর অফিসিয়াল লেটার হেড প্যাডের মধ্যে ইন্টিমেশন ও বোর্ড রেজুলেশন এবং অথরাইজেশন পত্র অন্যান্য কাগজত্রের সাথে প্রদান করতে হবে।
ওয়ারিশ সূত্রে মালিকানা বদলীর ক্ষেত্রে যেসব প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দরকার হয়ঃ
১। টি. ও ফরম।
২। টি.টি. ও ফরম।
৩। কোর্ট/স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান প্রদত্ত ওয়ারিশ সংক্রান্ত সনদ ।
৪। প্রয়োজনীয় ফি জমা দানের রশিদ ।
৫। একাধিক ওয়ারিশ থাকলে ১ম ওয়ারিশ এর টিন সার্টিফিকেটের সত্যায়িত কপি (ভাড়ায় না চলা এমন কার, জিপ, মাইক্রোবাস-এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য) ।
৬। মূল রেজিস্ট্রেশন সনদ (উভয় কপি)/ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ।
৭। ছবিসহ নন-জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে ওয়ারিশসূত্রে মালিকানা প্রাপ্তি সংক্রান্ত ওয়ারিশগণের হলফনামা (একাধিক ওয়ারিশ থাকলে এবং ১ জনের নামে মালিকানা প্রদান করা হলে সেক্ষেত্রে অন্যান্য ওয়ারিশগণ কর্তৃক সকলের ছবিসহ নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে আর একটি হলফনামা দিতে হবে)। ৮। নমুনা স্বাক্ষর ফর্মে নমুনা স্বাক্ষর এবং ইংরেজীতে নাম, পিতার/স্বামীর নাম, পূর্ন র্ঠিকানা ও তিন কপি স্ট্যাম্প আকারের রঙ্গীন ছবিসহ ফরমের অন্যান্য তথ্য পূরণ। মোটরসাইকেলের মালিকানা ফরম।
বাইকের মালিকানা পরিবর্তন না করলে কি হয়
আপনি বাইক কিনে যদি মালিকানা পরিবর্তন করতে না চান তাহলে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর ৭৪ ধারা অনুয়ায়ী আপনি অপরাধ করেছেন ও এর জন্য আপনাকে এক মাস কারাদণ্ড বা পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন।
শেষ কথা হলো যারা পুরাতন বা সেকেন্ডহ্যান্ড মোটরসাইকেলের মালিকানা পরিবর্তন করতে চান সেক্ষেত্রে কি কি কাগজপত্র লাগে ও মোটরসাইকেল মালিকানা পরিবর্তন করতে কি কি নিয়ম পালন করতে হয় তার বিষদ সম্পর্কে জানতে পারলেন এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের নমুনা ফরমেটও দেখতে পারলেন। আশা করি মোটরসাইকেল মালিকানা পরিবর্তন করার সম্পূর্ণ একটা ধারণা পেলেন।
লেখাটি পড়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ। লেখাটি কেমন লেগেছে কমেন্ট করে জানাতে পারেন ও আরো কিছু জানার থাকলেও কমেন্ট করতে পারেন এবং শেয়ার করতে পারেন যেন অন্যরাও লেখাটি পড়ে উপকৃত হতে পারে। আল্লাহ হাফেজ।
*****নিরাপদে বাইক চালান ও নিরাপদে থাকুন।*****
মোটরসাইকেল মালিকানা পরিবর্তন করার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট ফরমেট গুলো এখানে ক্লিক করে- ডাউনলোড করে নিন।
মোটরসাইকেলের মালিকানা পরিবর্তনের নিয়ম জানতে নিচের ভিডিওটি দেখুন-
আরো জানুন-
- গ্যারেজ ভাড়ার মাসিক চুক্তিপত্র দলিল নমুনা
- বন্ধকী দলিল লেখার নিয়ম, দোকানঘর, মোটসাইকেল, স্বর্ণালংকার, পাইলিং মেশিন বন্ধক দলিল ফরমেট
- আম-মোক্তারনামা দলিল তৈরি করার নিয়ম, পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দলিল ফরমেট
- কারখানা ভাড়াটিয়া চুক্তিপত্র দলিল করার নিয়ম জেনে নিন
- গাড়ী পার্কিং স্পেস বিক্রয় দলিল করার নিয়ম জেনে নিন
It was very informative and thanks a lot for sharing. May Allah bless you. keep up the good work. zazakallah khairan.
It was very helpful.
Thanks for sharing.