ডকুমেন্ট ফরমেট

কারখানা ভাড়া চুক্তিপত্র দলিল করার নিয়ম জেনে নিন

এই পোষ্টে কারখানা ভাড়া চুক্তিপত্র দলিল করার নিয়ম জেনে নিন। যা কোম্পানী বা ফ্যাক্টরীর ভাড়ার জন্য যে চুক্তিনামা তৈরি করে নিতে হয়।

যারা নিজের কোম্পানী বা ফ্যাক্টরীর জন্য জায়গা ভাড়া নেওয়ার প্রয়োজন পরে তাদের ওই জায়গাটি ভাড়ার নেওয়ার জন্য একটি চুক্তিপত্র তৈরি করতে হয়। কারখানা ভাড়ার চুক্তিপত্র করার জন্য কি কি বিষয় উল্লেখ করতে হয় বা কি কি শর্তসমূহ গুলো একটি কারখানা ভাড়া চুক্তিপত্রে লিখতে হয় তা এই পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারবেন। আমরা যখন প্রথম কোন কারখানা ভাড়ার নেওয়ার প্রয়োজন হয় তখন একটি চুক্তিপত্রে কি কি বিষয় উল্লেখ থাকে তা জানি না। এই লেখার মাধ্যমে আপনারা কারখানা ভাড়ার চুক্তিপত্র কিভাবে লিখতে হবে তা জানতে পারবেন। নিম্নে কারখানা ভাড়াটিয়া চুক্তিপত্র দলিল এর নমুনা দেওয়া হবে এই নমুনা ফরমেটটি দেখে আপনিও জানতে পারবেন কিভাবে চুক্তিপত্র লিখতে হয় এবং এই নমুনা মোতাবেক আপনার তথ্য দিয়ে আপনিও একটি চুক্তিপত্র লিখতে পারবেন।

নিচে কারখানা ভাড়া চুক্তিপত্র দলিল এর নমুনা ফরমেট দেওয়া হলোঃ-

“কারখানা ভাড়া চুক্তিপত্র দলিল”

অদ্য ২৫/০৮/২০১৯ইং তারিখ হইতে এই ভাড়াটিয়া চুক্তিপত্র দলিল কার্যকর হইল।


নাম:………….., পিতা:…………………ঠিকানা:………………. জাতীয়তা- বাংলাদেশী, ধর্ম- ইসলাম, পেশা- ব্যবসা।

প্রথম পক্ষ/বাড়ীর মালিক ।

নাম:………….., পিতা:…………………ঠিকানা:………………. জাতীয়তা- বাংলাদেশী, ধর্ম- ইসলাম, পেশা- ব্যবসা।

দ্বিতীয় পক্ষ/ ভাড়াটিয়াগণ ।

প্রথম পক্ষের মালিকানাধীন ৬৬/১, পশ্চিম মাদারটেক, পোষ্টঃ বাসাবো, থানা- সবুজবাগ, ঢাকা-১২১৪ ঠিকানায় অবস্থিত বাড়ীর ৫ তলা সম্পূর্ণ ভবনটি আপনারা দ্বিতীয় পক্ষ (ভাড়াটিয়া) নিম্ন লিখিত শর্ত সাপেক্ষে উহা ভাড়া নিতে সম্মত হয়ে আমার সাথে চুক্তিবদ্ধ হন।

-ঃ চুক্তির শর্তাবলীঃ-

১। এই ভাড়টিয়া চুক্তিনামা দলিল ৫ (পাঁচ) বৎসর অর্থাৎ ০১/০৮/২০১৯ইং তারিখ হইতে কার্যকর হইবে এবং ৩১/০৭/২০২৪ইং তারিখ পর্যন্ত বলবৎ থাকিবে। উক্ত মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর প্রথম পক্ষ ও দ্বিতীয় পক্ষ সমঝোতার মাধ্যমে পুণরায় মেয়াদ বৃদ্ধি বা ভাড়া নির্ধারণ করিবেন।

চলমান পাতা-২

(পাতা-২)

২। উল্লিখিত ভবনের জন্য অগ্রীম জামানত বাবদ এককালিন অগ্রীম ৪,০০,০০০/- (চার লক্ষ) টাকা ধার্য করা হইল। যা চুক্তিপত্রের মেয়াদ শেষান্তে ২য় পক্ষ/ ভাড়াটিয়াকে প্রদান করা হবে।
৩। ভবনের মাসিক ভাড়া ৪৫,০০০/- (পঁয়তাল্লিশ হাজার) টাকা ধার্য করা হইল এবং দ্বিতীয় পক্ষ ধার্যকৃত ভাড়া প্রথম পক্ষকে চলতি ইংরেজি মাসের ১ থেকে ৫ তারিখের মধ্যে অগ্রীম পরিশোধ করিবেন।
৪। দ্বিতীয় পক্ষ উক্ত ভবন শুধুমাত্র পোষাক কারখানা-এর কাজে ব্যবহার করিবেন, অন্য কোন ব্যক্তিকে সাবলেট ভাড়া দিতে পারিবেন না।
৫। দ্বিতীয় পক্ষ উল্লেখিত ভবনটি অক্ষত অবস্থায় রাখিবেন এবং উহার কোন আকৃতি, প্রকৃতি পরিবর্তন বা পরিবর্ধণ করিতে পরিবেন না এবং উহার কোন ক্ষতিসাধন করিতে পরিবেন না। প্রয়োজনে মালিক পক্ষের অনুমুতির মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করা যাবে।
৬। দ্বিতীয় পক্ষ উল্লেখিত ভবনের কোন দাহ্য বস্তু, ভারী জিনিসপত্র বা মালামাল রাখিতে পরিবেন না এবং আইন বহির্ভূত কোন কাজ করিতে পারিবেন না।
৭। উল্লেখিত ভবনের প্রতিবেশীদের অসুবিধা সৃষ্টি করিয়া দ্বিতীয় পক্ষ কোন কিছু করিতে পারিবেন না এবং অত্র চুক্তির বহির্ভূত কোন কাজ দ্বিতীয় পক্ষ করিলে তাহার জন্য প্রথম পক্ষ দায়ী থাকিবে না।
৮। ভবনের যাবতীয় খরচ যেমন- প্রতি মাসের গ্যাস বিল, ইলেকট্রিক বিল, পানির বিল, দ্বিতীয় পক্ষ পরিশোধ করিয়া বিলের কপি মালিক পক্ষকে সরবরাহ করিবেন এবং নিজেরা ১ কপি সংরক্ষণ করিবেন।

চলমান পাতা-৩

(পাতা-৩)

৯। অপরিহার্য পরিস্থিতিতে যে কোন পক্ষ অপর পক্ষকে চুক্তিকালীণ সময়ের মধ্যে যে কোন সময় ৬ (ছয়) মাসের নোটিশে চুক্তির ইতি টানিতে পারিবেন।

এতদ্বার্থে স্বেচ্ছায়, স্ব-জ্ঞানে, সুস্থ শরীরে সরল মনে অন্যের বিনা প্ররোচনায় অত্র দলিল পাঠ করিয়া উহার মর্ম অবগত হইয়া উপস্থিত স্বাক্ষরকারী স্বাক্ষীগণের মোকাবেলায় আমরা উভয় পক্ষ অত্র দলিল সহি স্বাক্ষর করিয়া সম্পাদন করিলাম। ইতি, তাং-

স্বাক্ষীগণের স্বাক্ষরঃ
১।
২।
৩।

প্রথম পক্ষ বাড়ীর মালিকের স্বাক্ষর


দ্বিতীয় পক্ষ ভাড়াটিয়ার স্বাক্ষর

দলিল প্রিন্ট করার নিয়ম কি

নিজেদের প্রয়োজনে এমএস ওয়ার্ডে লেখার পর এটিকে পেইজ সেটাপ করে নিতে হবে। পেইজ সেটাপ করার জন্য প্রথমে মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের ফাইলটি ওপেন থাকা অবস্থায় বাম পাশের সাইটে ডাবল ক্লিক করলে পেইজ সেটাপ আসবে বা মেনু থেকে পেইজ সেটাপে যেতে হবে অথবা উপরের বার থেকে পেইজ লেআউট (page layout) তারপর মার্জিন (margins) তারপর কাস্টমস (customs) অপশনে যেতে হবে। তারপর পেপার অপশন থেকে লিগ্যাল সাইজ করে দিতে হবে। তারপর margins অপশন থেকে উপরে মানে টপে ৪.৫ ইঞ্চি রাখতে পারেন, লেফট ও রাইট এ ১ইঞ্চি রাখতে পারেন। তারপর নিচে মানে বোটমে ১.৫ ইঞ্চি রাখতে হবে। তারপর পেইজ সেটাপটি ওকে করে দিতে হবে।

এবার আপনি প্রিন্টারে প্রিন্ট করতে পারেন। যেকোন চুক্তিপত্র দলিল বাংলাদেশ আইন অনুসারে ৩০০ টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প যা ১০০ টাকার ৩টি ষ্ট্যাম্প পেপারে প্রিন্ট করতে হয়। আপনি তিন পেইজে ভাগ করে প্রিন্ট করে নিতে পারেন।

শেষ কথাঃ

আশা করি উপরে দেখানো কারখানা ভাড়ার চুক্তিপত্র দলিল এর নমুনা ফরমেট দেখে আপনি পারবেন একটি চুক্তিপত্র নিজেই তৈরি করতে। চুক্তিপত্র রিলেটেড কোন কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন। ধন্যবাদ লেখাটি পড়ার জন্য।

আরো পড়ুন ও জানুনঃ-

Quick Bangla

বাংলা তথ্যভিত্তিক ওয়েবসাইট হিসেবে পরিচালিত এই সাইটটি। তাই বাংলায় অনেক ধরনের তথ্যই এখানে পেয়ে যাবেন। আশা করি সঠিক তথ্য বিষয়বস্তু জানতে পারবেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Close

Adblock Detected

Please Turn off ad blocker