ধর্ম পরিবর্তন করার এফিডেভিট কিভাবে লিখে থাকে
এই পোষ্টের মাধ্যমে এফিডেভিট করে ধর্ম পরিবর্তন করার নিয়ম জানতে পারবেন। ধর্ম পরিবর্তনের হলফনামার নমুনা ফরমেট তুলে ধরা হলো।
ধর্ম পরিবর্তন করতে গেলে আইনত কিভাবে করে থাকে এবং ধর্ম পরিবর্তন করার হলফনামা বা এফিডেভিট কিভাবে তৈরি করে থাকে তা নিয়ে আজকের লেখাটি। এই পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারবেন ধর্ম পরিবর্তন করার এফিডেভিট সম্পর্কে কি কি বিষয় বা কথা গুলো হলফনামায় উল্লেখ করে থাকে।
নিচে ধর্ম পরিবর্তন করার এফিডেভিট নমুনা ফরমেট তুলে ধরা হলোঃ-
হলফনামা
(ধর্ম পরিবর্তন সংক্রান্ত)
আমি, আঞ্জুলী, পিতা-……….…, মাতা-…….…, বর্তমান ঠিকানাঃ মোহাম্মদপুর, ঢাকা, জন্ম তারিখঃ ০৭-১১-১৯৯০ইং, ধর্ম-খ্রীষ্টান, জাতীয়তা-বাংলাদেশী, পেশা-চাকুরী, এই মর্মে হলফ পূর্বক ঘোষণা করিতেছি যেঃ-
১। আমি একজন প্রাপ্ত বয়স্ক এবং বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক হই বটে।
২। আমি আমার জীবন সম্পর্কে যে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিতে আইনানুগভাবে সম্পূর্ণরুপে স্বাধীন ও সক্ষম হই বটে।
৩। আমি দীর্ঘদিন যাবৎ ইসলাম ধর্মের লোকজনদের সাথে এবং আমার সমবয়সী মুসলমান ছেলেমেয়েদের সাথে চলাফেলা, উঠাবসা করিয়া ও তাহাদের চালচলন ও আচার-আচরণের সাথে মিশিয়া এবং হুজুর ও মাওলানা সাহেবদের ওয়াজ নসিয়ত শুনিয়া আমার মনে বিশ্বাস জন্মে যে, জীবন পরিচালনায় জন্য ইসলাম ধর্মের রীতিনীতি ও আকিদা এবং কোরআন ও সুন্নাহর বাণী আমার নিকট খ্রীষ্টান ধর্মের রীতিনীতির চাইতে উত্তম বিবেচিত হয়। ফলে ইসলাম ধর্মের প্রতি আমার বিশ্বাস স্থাপন হয়। ইসলাম ধর্মকে আমার জীবন-যাপনের পাথেয় হিসাবে গ্রহণ করার জন্য আমার মন দীর্ঘদিন যাবৎ বেকুল হইয়া উঠে। তাই আমি আমার পুরাতন খ্রীষ্টান ধর্ম পরিত্যাগ করিয়া ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি। ইহারই ফলশ্রুতিতে আমি অদ্য ১৩.০৫.২০১৭ইং তারিখে স্থানীয় ইমাম সাহেবের নিকট যাইয়া অতীত জীবনের কর্মকান্ডের জন্য তওবা করিয়া ইসলাম ধর্মের কালিমা তৈয়্যাবা ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ পাঠ করিয়া আল্লাহ ও রাসুলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করিয়া ইসলাম ধর্মের প্রতি ঈমান ও দৃঢ় বিশ্বাস মনেপ্রাণে স্থাপন করিয়া ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করিলাম। আমি আমার পূর্বের খ্রীষ্টান নাম ‘আঞ্জুলী’ এর পরিবর্তে স্থানীয় ইমামের মাধ্যমে মুসলমানী নাম “মোছাঃ আয়েশা খাতুন” ধারণ করিয়া মুসলমান হিসাবে আমার বাকী জীবন পরিচালনা করিব।
চলমান পাতা-০২
পাতা নং-০২
৪। অদ্য হইতে আমার নাম “মোছাঃ আয়েশা খাতুন” হিসাবে সর্বত্র পরিচিত হইবে। অদ্য হইতে আমি ইসলাম ধর্মের মূলনীতি অনুসরণ পূর্বক মুসলমান সমাজের সকল নিয়মনীতি, আকিদা, চালচালন ও আনুষ্ঠানিকতা সর্বত্র প্রতিপালন করিব, তথা কোরআন ও হাদিসের শিক্ষা গ্রহণ করিয়া উহার আলোকে আমি আমার জীবন পরিচালনা করিব। আল্লাহ আমার সহায় হউন।
৫। পুরাতন খ্রীষ্টান ধর্ম পরিত্যাগ করিয়া আমার ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার ব্যাপারে আমার পিতা কিংবা অন্য কোন আত্মীয়-স্বজন অথবা খ্রীষ্টান ধর্ম ও সমাজের কোন লোক কিংবা কোন ফাদার/পুরোহিত কোন প্রকার ওজর-আপত্তি করিলে উহা সর্বাদালতে অগ্রাহ্য বলিয়া বিবেচিত হইবে।
অত্র হলফনামার বক্তব্য আমার কথিত মতে লিখিত হওয়াতে এবং তাহা সত্য ও শুদ্ধ স্বীকারে অদ্য মাননীয় নোটারী পাবলিক, ঢাকা এর সম্মুখে অত্র হলফনামায় নিজ নাম স্বাক্ষর করিলাম।
হলফকারীর স্বাক্ষর
হলফকারী আমার সম্মুখে তাহার নিজ নাম
স্বাক্ষর করায় আমি তাহাকে সনাক্ত করিলাম।
আইনজীবী
হলফনামা প্রিন্ট করার নিয়ম
নিজেদের প্রয়োজনে এমএস ওয়ার্ডে লেখার পর এটিকে পেইজ সেটাপ করে নিতে হবে। পেইজ সেটাপে যেতে হবে তারপর পেপার অপশন থেকে লিগ্যাল সাইজ করে দিতে হবে। তারপর margins অপশন থেকে উপরে মানে টপে 4.5 ইঞ্চি রাখতে পারেন, লেফট ও রাইট এ 1ইঞ্চি রাখতে পারেন। তারপর নিচে মানে বোটমে 1.5 ইঞ্চি রাখতে হবে। তারপর পেইজ সেটাপটি ওকে করে দিতে হবে।
এবার আপনি প্রিন্টারে প্রিন্ট করতে পারেন। যেকোন ২০০ টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প যা ১০০ টাকার ২টি ষ্ট্যাম্প পেপারে প্রিন্ট করতে হয়।
নোটারী পাবলিকের কাছে গেলে আর বাকী কাজ গুলো করে দিবে। তবে লেখা না নিয়ে গেলেও তিনিরা লিখে প্রিন্ট করে সমস্ত প্রসেস করে দেয়।
আরো পড়ুনঃ-