জমির মালিকানা সংক্রান্ত হলফনামা করার নিয়ম
আমাদের বিভিন্ন প্রয়োজনে যদি নিজের জমিটি কারোকে স্বীকারোক্তিমূলক হলফনামা তৈরি করে দিতে হয় নোটারী পাবলিক এর মাধ্যমে, তাহলে কিভাবে এই জমির মালিকানা সংক্রান্ত হলফনামাটি করতে হয় তা এই লেখাটি পড়লে বুঝতে পারবেন।
এই পোষ্টের মাধ্যমে জমির মালিকানা সংক্রান্ত হলফনামা এর একটি ফরমেট তুলে ধরা হলো, যা দেখে আপনার মত করে আরেকটি হলফনামা তৈরি করতে পারবেন। এখানের ফরমেটের তথ্য গুলো পরিবর্তন করে আপনি আপনার তথ্য দিয়ে হলফনামা তৈরি করতে পারবেন। এমএস ওয়ার্ডে লেখার পর পেইজ সেটাপ করে দুটি স্ট্যাম্প পেপারে প্রিন্ট দিয়ে নোটারী করে নিলেই হয়ে যাবে আপনার জমির মালিকানা সংক্রান্ত হলফনামা।
নোটারী করতে খরচ কিরকম হতে পারে যদি জানতে চান তাহলে বলব, সাধারণত দেখে থাকি যেসব এডভোকেটরা নোটারী করে থাকে তিনিরা ১০০ টাকার স্ট্যাম্প পেপারের কোন ডকুমেন্ট এ যখন নোটারী করে তখন ১০০ টাকা নিয়ে থাকে, আপনি যখন ২টি ১০০টাকার পেপারের প্রিন্ট দিবেন তখন ২০০টাকা নিয়ে থাকে, তবে একটি বিভিন্ন নোটারী পাবলিক ভিন্ন ভিন্ন ভাবে টাকা নিয়ে থাকে।
নিম্নে জমির মালিকানা সংক্রান্ত হলফনামা নমুনা ফরমেট তুলে ধরা হলোঃ-
নোটারী পাবলিক বাংলাদেশ, ঢাকা
জমির মালিকানা সংক্রান্ত হলফনামা
আমি নিম্নস্বাক্ষরকারী মোঃ মুকুল হোসেন, পিতা- আবদুর রহিম, সাং- পূর্ব নন্দীপাড়া ব্যাংক কলোনী, পোঃ বাসাবো, থানা- সবুজবাগ, জিলা ঢাকা-১২১৪, এর একজন বাসিন্দা। এই মর্মে হলফ পূর্বক অঙ্গীকার করিতেছি যে,
১. আমি ঢাকা জেলার সবুজবাগ থানাধীন ৪নং ওয়ার্ডের এক জন স্থায়ী বাসিন্দা এবং জন্ম সূত্রে বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক এবং আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ব্যক্তি বটে। আমি আইনগতভাবে যেকোন বৈধ সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকারী।
২. আমি ১১/০৬/১৯৮২ তারিখে১০৮৯৫ নং সাফ কবলা দলিল মূলে ৩ (তিন) কাঠা জমি সরলা সুন্দরী মজুমদারের নিকট হইতে ক্রয় করি যাহা নন্দীপাড়া মৌজায় অবস্থিত। তফসিল পরিচয়ঃ জিলা ঢাকার সদর সাব রেজিষ্টার অফিস ও ডেমরা থ্ানার অধীন ঢাকা কালেক্টরির তৌজিভূক্ত। সাবেক ৩১৪নং এস, এ, ১২৪নং আর, এস ৫ নং মৌজা নন্দীপাড়াস্থিত। সি. এস. ২৯৩নং এস, এস ৪২৭নং আর এস ১১৮৮নং খতিয়ানেরইস. এস. ও এস. এ ২০২৫ নং আর এম/ ৪১৮২নং দাগের নাল জমি, ৪.৫০ শতাংশ বা ৩ (তিন) কাঠা ।
চলমান পাতা- ২
(পাতা-২)
৩. উক্ত জমির একক মালিক। ইহাতে কোন ভুল নাই। ইহা হলফ করিয়া বলিতেছি।
উপরে বর্ণিত বিবরণসমূহ আমার জ্ঞান মতে সত্য জানিয়া অদ্যকার তরিখে নোটারী পাবলিকের সম্মুখে অত্র হলফনামায় আমার নিজনাম স্বাক্ষর করিলাম।
———————
হলফকারীর স্বাক্ষর
হলফকারী আমার পরিচিত এবং তিনি আমার সম্মুখে
অত্র হলফমায় তাহার নিজ নাম স্বাক্ষর করিয়াছেন।
———————-
এডভোকেট
শেষ কথাঃ
আশা করি উপরে দেখানো জমির মালিকানা সংক্রান্ত হলফনামাটি দেখে আপনি আপনার মত করে আরেকটি হলফনামা তৈরি করতে পারবেন। কোন জায়গায় বুঝতে সমস্যা হলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।
আরো জানুন-