ডকুমেন্ট ফরমেট

বাণিজ্যিক ভবন ফ্ল্যাটের বায়না দলিলের নমুনা, ফ্ল্যাট বিক্রয় বায়নানামা

এই পোষ্টের মাধ্যমে বাণিজ্যিক ভবন ফ্ল্যাটের বায়না দলিলের নমুনা দেখতে পাবেন। এবং ফ্ল্যাট বিক্রয় বায়নানামা কিভাবে করতে হয় জানতে পারবেন।

ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য যখন বাণিজ্যিক ভবনের ফ্ল্যাট ক্রয়ের প্রয়োজন হয় তখন প্রথমে কেনার আগে ঐ বাণিজ্যিক ভবনের ফ্ল্যাটটি বায়নানামা প্রয়োজন হতে পারে। এই বায়নানামা চুক্তিপত্রটি কিভাবে করতে হয় তার বিষদ ধারণা পাবেন। এই লেখাটি পড়লে বাণিজ্যিক ভবনের ফ্ল্যাট ক্রয়ের বায়নানামা বা বাণিজ্যিক ভবনের ফ্ল্যাট বিক্রয়ের জন্য বায়নানামা চুক্তিপত্র কিভাবে করতে হবে তা জানতে পারবেন। যাদের এ ধরনের চুক্তিনামা করার প্রয়োজন তিনিরা এখান থেকে অনেক ধারণা পাবেন কিভাবে বায়নানামাটি করতে হয়।

ফ্ল্যাটের বায়না দলিলের নমুনা

নিম্নে বাণিজ্যিক ভবন ফ্ল্যাটের বায়না দলিলের নমুনা বা ফ্ল্যাট বিক্রয় বায়নানামা চুক্তিপত্রের ফরমেট তুলে ধরা হলোঃ-

বাণিজ্যিক ভবনের ফ্ল্যাট বিক্রয় বায়নানামা

পরম করুনাময় আল্লাহর নামে এই বায়নানামা অদ্য ২২ এপ্রিল ২০১৮ইং তারিখে সম্পাদিত হইল।

আব্দুল হক, পিতা- কেরামত আলী, স্থায়ী ঠিকানা- গ্রাম- ………., পোঃ ………, জেলা- ……….., বর্তমান ঠিকানা- বাড়ী নং- …., সড়ক নং- ….., ঢাকা, পেশা- ব্যবসা, জাতীয়তা- বাংলাদেশী, ধর্ম- ইসলাম (তফশীলের বর্ণিত সম্পত্তির আইনতঃ মালিক)।

…………… বিক্রেতা বা ১ম পক্ষ।

শামসুল আলম, পিতা- খুরশেদ আলম, স্থায়ী ঠিকানা- বাড়ী নং- …., রোড নং- …., গুলশান-২, ঢাকা-১২১২, পেশা- ব্যবসা, জাতীয়তা- বাংলাদেশী, ধর্ম- ইসলাম (তফশীল বর্ণিত ৫ম তলা ফ্লোরের ক্রেতা)।

…………… ক্রেতা বা ২য় পক্ষ।

তফশীল

জেলা- ঢাকা, থানা- বনানী, মৌজা- বনানী বাণিজ্যিক এলাকা, প্লট নং- ২৭ (জে.এল নং- ৪৪, খতিয়ান নং- ১০০৪৫), জমির পরিমান ৫ কাঠা ৪ বঃফুঃ জায়গার উপর (বর্তমান ঠিকানা- ২৮ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ, বনানী, ঢাকা-১২১৩), অবস্থিত বর্তমানে ১৬ তলা পাকা বাণিজ্যিক ভবনের সম্পূর্ণ ৫ম তলার আনুমানিক ৩৫০০ বর্গফুট বাণিজ্যিক ফ্লোর। উল্লেখ থাকে যে, ভবনটি ২০ তলা পর্যন্ত রাজউকের অনুমোদন প্ল্যান পাস করা আছে। অর্থাৎ প্ল্যান পাস অনুযায়ী বিশ ভাগের এক ভাগ অংশ জায়গা এই তফশীলের অন্তর্ভূক্ত সেক্ষেত্রে ২০ ভাগের ১ ভাগ জায়গা ও ৫ম তলার ফ্লোরটি তফশীলভূক্ত বুঝাইবে। ইমারতটি ২০ তলার ভিত্তি স্থাপন দিয়ে নির্মান কাজ চলিতেছে।

এই ভবনের ৩য় তলায় ভাড়াটিয়া অগ্রণী ব্যাংক ২য় তলার ভাড়াটিয়া প্রিয় সুপার সপ, নীচ তলায় মার্কেট ও ৫ম তলা খালি ফ্ল্যাট। চৌহুদ্দি ঃ ভবনের সম্মুখে অর্থাৎ উত্তরে কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ নামে প্রধান সড়ক, দক্ষিনে ১৭ নং সড়ক, পশ্চিমে ২৪ নং প্লটে এ.আর. টাওয়ার বহুতল বাণিজ্যিক ভবন এবং পূর্বে ও ৩০ নং প্লটে আহমেদ টাওয়ার।

আমি আব্দুল হক, পিতা- কেরামত আলী, গত ০৭/১২/১৯৮৪ ইং তারিখে সাবেক ডি.আই.টি. বর্তমানে রাজউক এর ডি.আই.টি/ইও/৫০০৭-২ নং পত্র বলে এই ২৬ নং কামাল আতাতুর্ক এভিনিউর প্লটের একক বরাদ্দ পাই এবং দলিল নং- ৩৯১ বনানী, ২৭/০১/১৯৮৫ ইং তারিখের মাধ্যমে ইহার সম্পূর্ণ মূল্য পরিশোধ পূর্বক ডি.আই.টি. হইতে রেজিস্ট্রিপ্রাপ্ত হইয়া নামজারী করিয়া খাজনা জমাদান পূর্বক ১৬ আনা মালিক হই।

পরবর্তীতে রাজউক এর পত্র নং- রাজউক/৯অঅ আর৩সি-৩০৩৯/৯৮/৪৩৫ স্থাঃ, তাং- ১৭/০২/১৯৯৮ ইং বলে আমি এই জায়গায়/প্লটে ১৬ তলা বাণিজ্যিক ভবন নির্মানের অনুমতি লাভ করি। আমার আর্থিক সমস্যার কারনে অগ্রণী ব্যাংক, বনানী কর্পোরেট শাখায় এই জায়গা মর্টগেজ করিয়া ১৬ তলা পর্যন্ত ভবনের নির্মান কাজ সম্পন্ন করি। বর্তমানে আমি অগ্রণী ব্যাংক, বনানী কর্পোরেট শাখায় ও HSBC Bank, ধানমন্ডি শাখায় দেনা আছি। এমতাবস্থায়, আমি স্বেচ্ছায় ব্যাংকের এই দেনা পরিশোধের জন্য আমার ভবনের সম্পূর্ণ ৫ম তলা আনুমানিক ৩৫০০ বর্গফুট এবং আনুপাতিক হারে বিশ ভাগের এক ভাগ জায়গা বিক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেই এবং জনাব শামসুল আলম পিতা-খুরশেদ আলম কে ক্রয়ের জন্য প্রস্তাব করি। আমার প্রস্তাবে জনাব শামসুল আলম সাড়া দিয়ে তার পরিচালিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মেসার্স বাকো নামে ২৪ নং কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ এ অবস্থিত আমার বাণিজ্যিক ভবনের সম্পূর্ণ ৫ম তলা আনুমানিক ৩৫০০ বর্গফুটের বাণিজ্যিক ফ্লোরটি এবং ১/২০ (বিশ ভাগের এক ভাগ) জায়গা আনুপাতিক হারে নিম্মে বর্ণিত শর্ত সাপেক্ষে ক্রয়ের জন্য সম্মত হন এবং সেই মোতাবেক এই বাণিজ্যিক ফ্লোর বিক্রয়ের জন্য বায়নানামা চুক্তিপত্রটি অদ্য ২৬/০৪/২০১৭ ইং তারিখে সম্পাদন করা হইল। এখানে আরও উল্লেখ্য যে, এই বিক্রয়ের প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য আমি বিক্রেতা বা ১ম পক্ষ, ক্রেতা ড. মূসা বিন শমশের ২য় পক্ষ হিসাবে একটি দ্বীপক্ষীয় চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত হইল।

-ঃ বিক্রয় চুক্তিপত্রের শর্তাবলীঃ-

১) ২৭ নং কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ এ অবস্থিত বাণিজ্যিক ভবনের সম্পূর্ণ ৫ম তলা যাহার আয়তন আনুমানিক ৩৫০০ বর্গফুট বাণিজ্যিক ফ্লোরটি এবং ১/২০ (বিশ ভাগের এক ভাগ) জায়গা এর মূল্য ৬,০০,০০,০০০/- (ছয় কোটি) টাকা মাত্র নির্ধারণ করা হইল।

২) মূল্য পরিশোধ ঃ
ক) এই বায়নানামা চুক্তিপত্র স্বাক্ষরের সময় ক্রেতা বিক্রেতাকে ৬০,০০,০০০/- (ষাট লক্ষ) টাকা মাত্র বায়না বাবদ চেক/পে-অর্ডারের মাধ্যেমে ৫০,০০,০০০/- (পঞ্চাশ লক্ষ) টাকা এবং নগদ ১০,০০,০০০/- (দশ লক্ষ) টাকা প্রদান করিবেন। এই বায়নানামা চুক্তিপত্র স্বাক্ষর করিবার সময় বিক্রেতা বায়না/অগ্রীম বাবদ মোট ৬০,০০,০০০/- (ষাট লক্ষ) টাকা বুঝিয়া পাইয়া এই বায়না চুক্তি পত্রে স্বাক্ষর করিলেন। ক্রেতা উক্ত টাকা পরিশোধ করিয়া ফ্লোরটির পজেশন বুঝিয়া লইবেন এবং ডেকোরেশন করিবেন এবং বাকী ৫,৪০,০০,০০০/- (পাঁচ কোটি চল্লিশ লক্ষ) টাকা পরিশোধ করিয়া রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করিয়া নিবেন।

খ) ক্রেতা উক্ত তফশীলভূক্ত সম্পত্তি রেজিস্ট্রি সম্পাদনের সময় বিক্রেতার নামে, ব্যাংক ড্রাফট/পে-অর্ডার মারফত টাকা পরিশোধ করিবেন।

গ) ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয় পক্ষ রাজউকের নিকট হইতে এই বায়নানামা চুক্তিপত্র তফশীলে বর্ণিত সম্পত্তি বিক্রয়ের অনুমতি নেওয়ার জন্য (Sell Permission) রাজউকে দরখাস্ত দাখিল করিবেন। বিক্রেতা (Sell Permission) বাহির করিবার জন্য Official Processing Fee বাবদ এবং যাবতীয় খরচাদি বহন করিবেন। রাজউক হইতে বিক্রয়ের অনুমতি (Sell Permission) পাইবার পর ক্রেতা তফশীলে বর্ণিত ফ্লোরটির সমস্ত প্রকার খরচাদি বহন করিয়া নিজ খরচে রেজিস্ট্রি করিয়া নিবেন।

৩) এই বিক্রয় পত্র মোতাবেক ক্রেতা ৫ম তলার মালিক হইবেন। রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পাদনের পর এই ৫ম তলা ফ্লোরটির সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য ক্রেতা প্রয়োজনীয় Interior Decoration নিজ খরচে স্থাপন করিতে পারিবেন। তবে ভবনের অবকাঠামোগত কোন পরিবর্তন/পরিবর্ধন/সংশোধন করিতে পারিবেন না।

৪) বিক্রেতা ভবনের বিভিন্ন ফ্ল্যাটের মালিক পক্ষদের নিয়ে একটি সমিতি গঠন করিবার ব্যবস্থা করিবেন যাহার নাম “Hazi Plaza” এবং উক্ত সমিতির মেম্বার শুধুমাত্র বিল্ডিং এর মালিকগণই হইতে পারিবেন এবং উক্ত সমিতি ভবনের সকল রক্ষনাবেক্ষন ও দৈনন্দিন কার্যাবলী সম্পাদন করিবেন। ক্রেতাকেও উক্ত সমিতির সদস্য পদ প্রদান করিবার ব্যবস্থা করিবেন। ভবনের রক্ষনাবেক্ষন ও অন্যান্য খরচাদি যেমন- (Building Maintenance cost and Building Services Charges etc.) উক্ত গঠিত মালিক সমিতির মাধ্যমে সকল মালিকগণ আনুপাতিক হারে খরচাদি প্রতি মাসে নিয়মিতভাবে পরিশোধ করিবেন। তবে কমিটি গঠন করিবার আগ পর্যন্ত বিক্রেতার নিকট সমস্ত প্রকার খরচাদি প্রতি মাসে বর্তমান আনুপাতিক হারে ১/৪ (চার ভাগের এক ভাগ) নিয়মিতভাবে প্রদান করিবেন। যখন ভবনটির নির্মান বৃদ্ধি পাইবে তখন হারাহারিভাবে খরচাদি নির্ধারিত হইবে।

৫) ভবনের সমস্ত প্রকার কমন ফ্যাসিলিটিজ বিল অর্থাৎ (Security Bill, Common Electric Bill, WASA Bill, Stair-Case Maintenance cost, Lift and Lift’s Operator Maintenance cost, Water Pump Motor, Electric Generator Maintenance cost, Titas Gas Line Maintenance & GAS Bill, Electric Line Maintenance, Water Line & Sewerage Line Generator Maintenance cost and Electric sub-station etc. maintenance cost and unseen cost) এবং কোন কারণে লিফট ডেমেজ হইয়া গেলে অথবা ইলেকট্রিক জেনারেটর অথবা ইলেকট্রিক সাব-স্টেশন ডেমেজ বা খারাপ হইয়া গেলে সেইক্ষেত্রে Repairing Charge অথবা নতুনভাবে সংস্থাপন করিতে হইলে তাহার ব্যয়-ভার আনুপাতিক হারে সকলকে ব্যয় বহন করিতে হইবে।


৬) বিল্ডিং-এর উপরের দিকে Further Construction অথবা Re-construction করিবার সময় সাময়িক অসুবিধার সৃষ্টি হইলে ক্রেতা সেই ক্ষেত্রে কোন প্রকার ওজর আপত্তি অথবা কোন প্রকার Objection দিতে পারিবেন না এবং সেই সময় ক্রেতা বিক্রেতাকে সমস্ত প্রকার সহযোগিতা করিতে বাধ্য থাকিবেন। তবে বিক্রেতা ক্রেতার যাহাতে কোন বড় ধরনের অসুবিধা না হয় সেই দিকে খেয়াল রাখিবেন।

৭) ক্রেতা তাহার ক্রয়কৃত ফ্লোরটি সমস্ত প্রকার বিল যথাসময়ে অর্থাৎ প্রতি ইংরেজী মাসের ৭ (সাত) তারিখের মধ্যে বিদ্যুৎ বিল, ওয়াসা বিল, গ্যাস বিল এবং অন্যান্য যাবতীয় সমস্ত প্রকার খরচ পরিশোধ করিবেন এবং ইহার মূল কপি মালিক পক্ষকে/সমিতিকে সরবরাহ করিবেন এবং বিলের ফটোকপি ক্রেতা নিজের তত্ত্বাবধানে রাখিবেন।

৮) বিক্রেতা বিক্রয়কৃত ফ্লোরটিতে প্রয়োজনীয় পানির লাইন ও গ্যাস লাইনের সংযোগের ব্যবস্থা করিবেন। ক্রেতা পানি ও গ্যাসের বিল যথাসময়ে অর্থাৎ প্রতি ইংরেজী মাসের ৭ (সাত) তারিখের মধ্যে পরিশোধ করিবেন এবং ইহার মূল কপি মালিক পক্ষকে/সমিতিকে সরবরাহ করিবেন এবং বিলের ফটোকপি নিজ তত্ত্বাবধানে রাখিবেন।

৯) ক্রেতা আনুপাতিক হারে ফ্লোরে তাহার ৫ম তলা মিউনিসিপ্যালিটি ট্যাক্স, সিটি কর্পোরেশন, ভূমি কর, এ্যাসেসমেন্ট ট্যাক্স এবং রাজউকের সার্ভিস চার্জ এবং অন্যান্য যাবতীয় ট্যাক্স নিয়মিতভাবে পরিশোধ করিবেন।

১০) ক্রেতা এই ফ্লোরে (৫ম তলা) ক্রয় করায় তাহার আয়কর সংক্রান্ত সমস্ত প্রকার ট্যাক্স প্রদান করিবেন।
১১) ক্রেতা তাহার ফ্ল্যাটের ঠিকানায় প্রয়োজন মোতাবেক নিজ খরচে এবং নিজ দায়িত্বে টেলিফোন, ফ্যাক্স, ইন্টারনেট সংযোজন এবং বিভিন্ন লাইনসহ বিভিন্ন প্রকার দরকারী লাইসেন্স গ্রহন করিতে পারিবেন।

১২) চুড়ান্ত রেজিষ্ট্রি সম্পাদনের সময় ক্রেতা বিক্রেতাকে একটি কার পার্কিং (Car Parking undivided, Unremarked) এর মূল্য বাবদ এককালীন ২০,০০,০০০/- (বিশ লক্ষ) টাকা মাত্র প্রদান করিবেন। বিক্রেতা ক্রেতাকে বিল্ডিং এর কাজ সম্পূর্ণভাবে সম্পন্ন হইলেই এই কার পার্কিং ব্যবহার করিতে পারিবেন। তবে ক্রেতা এই জায়গাটি রেজিস্ট্রি সম্পাদন সম্পন্ন হইবার পর হইতে সুবিধামত স্থানে ক্রেতা কার পার্কিং ব্যবহার করিতে পারিবেন। কার পার্কিং এর Service charge & Car parking Maintenance cost এবং অন্যান্য যাবতীয় খরচ আনুপাতিক হারে প্রতি মাসে সমিতির মাধ্যমে/মালিক পক্ষকে পেমেন্ট করিবেন।

১৩) ভবনের কমন ফ্যাসিলিটিজ এবং আনুষঙ্গিক অর্থাৎ সিঁড়ি, লিফট, লবি ইত্যাদি ক্রেতা সকলের সহিত সু-সম্পর্ক বজায় রেখে ব্যবহার করিবেন এবং মালিক পক্ষ ও ভাড়াটিয়া কাহারও সহিত কোন প্রকার অসুবিধার সৃষ্টি করিতে পারিবেন না।

১৪) ক্রেতা কাহারো চলাচলের বাধা সৃষ্টি করিতে পারিবেন না এবং কোন অসামাজিক কার্যকলাপ বা আইনের দৃষ্টিতে অসমর্থিত কোন কাজ করিতে পারিবেন না। ক্রেতা ভবনে কোন নিষিদ্ধ পন্যের ব্যবসা করিতে পারিবেন না এবং ভবনে কোন প্রকার বিষ্ফোরক জাতীয় দ্রব্য সংরক্ষন করিতে পারিবেন না।

১৫) রেজিস্ট্রেশন তারিখের পূর্ব পর্যন্ত ফ্ল্যাটের সকল প্রকার ট্যাক্স (পৌর ট্যাক্স, খাজনা, সরকারী রাজস্ব কর) ইত্যাদি হালনাগাদ পর্যন্ত পরিশোধের দায়িত্ব বিক্রেতার উপর বর্তাইবে।

১৬) এই বায়নানামা চুক্তিপত্র সর্ব আদালতে গৃহিত হইবে।

অদ্য ২২এপ্রিল ২০১৮ইং রোজ বুধবার নিম্মোক্ত সকল স্বাক্ষীগণের উপস্থিতিতে এই বায়নানামা চুক্তিপত্রটি আমরা উভয় পক্ষ স্বজ্ঞানে, সুস্থ্য মস্তিস্কে নিজ নিজ স্বাক্ষর করিলাম।

(আব্দুল হক)
(বিক্রেতা/১ম পক্ষ)

(শামসুল আলম)
চেয়ারম্যান, বাকো কোং
(ক্রেতা/২য় পক্ষ)

স্বাক্ষীগণের স্বাক্ষরঃ

১।

২।

৩।

ষ্ট্যাম্পে প্রিন্ট করার নিয়ম

নিজেদের প্রয়োজনে এমএস ওয়ার্ডে লেখার পর এটিকে পেইজ সেটাপ করে নিতে হবে। পেইজ সেটাপে যেতে হবে বা পেইজ লেআউট (page layout) থেকে মার্জিন (margins) থেকে কাস্টমস (customs) অপশনে যেতে হবে। তারপর পেপার অপশন থেকে লিগ্যাল সাইজ করে দিতে হবে। তারপর margins অপশন থেকে উপরে মানে টপে 4.5 ইঞ্চি রাখতে পারেন, লেফট ও রাইট এ 1ইঞ্চি রাখতে পারেন। তারপর নিচে মানে বোটমে 1.5 ইঞ্চি রাখতে হবে। তারপর পেইজ সেটাপটি ওকে করে দিতে হবে।

এবার আপনি প্রিন্টারে প্রিন্ট করতে পারেন। যেকোন চুক্তিপত্র বাংলাদেশ আইন অনুসারে ৩০০ টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প যা ১০০ টাকার ৩টি ষ্ট্যাম্প পেপারে প্রিন্ট করতে হয়। তিন পেইজের বেশি পেইজে প্রিন্ট করতে চাইলে কার্টিজ পেপার বা ৫টাকার ষ্ট্যাম্প পেপারে প্রিন্ট করতে পারেন।

আরো পড়ুন-

Quick Bangla

বাংলা তথ্যভিত্তিক ওয়েবসাইট হিসেবে পরিচালিত এই সাইটটি। তাই বাংলায় অনেক ধরনের তথ্যই এখানে পেয়ে যাবেন। আশা করি সঠিক তথ্য বিষয়বস্তু জানতে পারবেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Close

Adblock Detected

Please Turn off ad blocker