বিভিন্ন বন্ধক নামা দলিল লেখার নিয়ম, বন্ধকী দলিলের নমুনা
এই পোষ্টের মাধ্যমে বিভিন্ন বন্ধক নামা দলিল লেখার নিয়ম বা বন্ধকী দলিলের নমুনা পাবেন। যার সাহায্যে নিজেদের প্রয়োজনে চুক্তিপত্র করার সহায়তা পাওয়া যাবে।
বন্ধক কি?
আমাদের অনেক সময় অনেক প্রয়োজনে নিজের কোন কিছু বন্ধক রাখার প্রয়োজন হয়। বন্ধক ইংলিশ অর্থ মর্টগেজ। বন্ধক হলো কোন মূল্যবান কোন কিছু টাকার বিনিময়ে কারো কাছে গচ্ছিত রাখা যা মর্টগেজ নামেও পরিচিত, আবার যখন টাকা ফিরিয়ে দেবে তখন ঐ গচ্ছিত রাখা বস্তুটি ফিরে পাওয়া।
বন্ধক নামা দলিল লেখার নিয়ম
আমরা যখন বন্ধকী দলিল করার প্রয়োজন হয় তখন কিভাবে এই বন্ধকী চুক্তিপত্র দলিলটি করতে হয় সেটা আজকে জানার চেষ্টা করব। এই পোষ্টের মাধ্যমে নিম্নে মর্টগেজ করার পদ্ধতি কি বা বন্ধকী দলিল লেখার নিয়ম জানতে পারবেন, ৫টি বন্ধকী দলিল করার ফরমেট দেওয়া হলো দোকানঘর, মোটসাইকেল, স্বর্ণালংকার, পাইলিং মেশিন বন্ধকী দলিল করার নিয়ম দেখানো হয়েছে, এই বন্ধকী চুক্তিপত্র দলিল ফরমেট গুলোর মাধ্যমে তথ্য গুলো পরিবর্তন করে যেকারো বন্ধকী দলিল করা সম্ভব হবে।
নিচে ৫টি বন্ধক নামা দলিল লেখার নিয়ম ফরমেট দেখানো হলোঃ-
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
দোকানঘর বন্ধকী দলিল
নাম:………….., পিতা:…………………ঠিকানা:………………. জাতীয়তা- বাংলাদেশী, ধর্ম- ইসলাম, পেশা- ব্যবসা।
—প্রথম পক্ষ ॥
নাম:………….., পিতা:…………………ঠিকানা:………………. জাতীয়তা- বাংলাদেশী, ধর্ম- ইসলাম, পেশা- ব্যবসা।
—২য় পক্ষ ॥
পরম করুণাময় মহান আল্লাহতায়ালার নাম স্মরণ করিয়া দোকান ঘর বন্ধকীনামা দলিলের আইনানুগ বয়ান আরম্ভ করিলাম। যেহেতু আমি ১ম পক্ষ নিম্ন তফসিল বর্ণিত হোল্ডিংএর সম্পত্তি পৈত্রিক ওয়ারিশ সূত্রে মালিক। আমার পিতার নিকট হইতে নিম্ন তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি প্রাপ্ত হইয়া উক্ত ভূমিতে দোকান ঘর নির্মাণ করিয়া ভাড়া দিয়া আসিতেছি ও বিল্ডিং নির্মাণ করিতেছি।
বর্তমানে আমার নগদ টাকার বিশেষ প্রয়োজন হওয়ায় নিম্ন তফসিল বর্ণিত ৭৫/এ নং হোল্ডিং এর মাদারটেক-এ অবস্থিত নীচ তালার উত্তর দিক হইতে ১নং কাজী অফিসের ঘরটি আমার কন্যা ২য় পক্ষের নিকট বন্ধক রাখিয়া আমার মূল বিল্ডিং-এর ৩য় এবং ৪র্থ তলা নির্মাণের জন্য যত টাকা খরচ লাগে ততটাকার বিনিময়ে বন্ধক রাখিলাম।
চলমান পাতা- ২
(পাতা-২)
আমি ১ম পক্ষ অঙ্গীকার এবং ঘোষণা করিতেছি যে, আমি ১ম পক্ষ আপনি ২য় পক্ষের বরাবরে বন্ধকী টাকা যখন পরিশোধ করিতে পারিব তখনই আমার দোকানঘরটি আমি ১ম পক্ষের বরাবরে আপনি ২য় পক্ষ ছাড়িয়া ও বুঝাইয়া দিতে বাধ্য থাকিবেন। ইহাতে আপনি ২য় পক্ষ কোন প্রকার ওজর আপত্তি দাবি দাওয়া ইত্যাদি কিছুই করিতে পারিবেন না, করিলেও তাহা সর্ব আইন আদালতে সর্বোতভাবে অগ্রাহ্য ও না-মঞ্জুর এবং বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে।
প্রকাশ থাকে যে, আমি প্রথম পক্ষ, আপনি ২য় পক্ষকে বন্ধকী টাকা ফেরত দিতে চাহিলে কম পক্ষে ০৩ (তিন) মাস পূর্বে অবহিত করতে হবে।
উল্লেখ থাকে যে, আপনি ২য় পক্ষ উক্ত দোকান ঘরটির ভাড়া ভোগ করিবেন, যাহা মূল বন্ধকী টাকা হইতে পরিশোধ হইতে থাকিবে। আপনি আপনার ইচ্ছামত ভাড়াটিয়া পরিবর্তন করিতে পারিবেন। ইহাতে আমি ১ম পক্ষের কোন প্রকার ওজর- আপত্তি বা দাবী-দাওয়া কিছুই করিতে পারিব না, করিলেও তাহা বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে। উল্লেখ থাকে যে, ১ম পক্ষ, ২য় পক্ষকে যতদিন বন্ধকী টাকা ফেরত না দিবেন ততদিন পর্যন্ত ২য় পক্ষ দোকান ঘরটির ভাড়া ভোগ করিবেন এবং বিদ্যুৎ বিল সাব মিটার অনুযায়ী পরিশোধ করিবেন।
চলমান পাতা- ৩
(পাতা-৩)
এতদ্বার্থে স্বেচ্ছায়, সুস্থ শরীরে সরল মনে অন্যের বিনা প্ররোচনায় অত্র সেমি পাকা টিনের ২টি দোকান ঘরের বন্ধকীনামা দলিল পাঠ করিয়া উপস্থিত স্বাক্ষীগণের মোকাবেলায় নিজ নাম সহি সম্পাদকন করিয়া দিলাম। ইতি, তাং-
বন্ধকী নামা দলিলের তফসিল পরিচয়ঃ
জেলা-ঢাকা, থানা- সবুজবাগ ও সাবরেজিষ্ট্রি অফিস খিলগাঁও অধীন। ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের হোল্ডিং নং ৭৫/এ, মাদারটেকস্থ ১টি দোকানঘর অত্র দলিল দ্বারা বন্ধকীকৃত বটে।
অত্র বন্ধকী দলিল ৩ (তিন) পাতায় কম্পিউটার কম্পোজকৃত বটে।
স্বাক্ষীগণের নাম ও স্বাক্ষর ১) ২) ৩) | প্রথম পক্ষ/ দলিল দাতার স্বাক্ষর দ্বিতীয় পক্ষ দলিল গ্রহিতার স্বাক্ষর |
নিচে মোটরসাইকেল বন্ধক বা মর্টগেজ দলিল লেখার নিয়ম দেখানো হলোঃ-
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
মোটরসাইকেল বন্ধকী দলিল
নাম:………….., পিতা:…………………ঠিকানা:………………. জাতীয়তা- বাংলাদেশী, ধর্ম- ইসলাম, পেশা- ব্যবসা।
—-প্রথম পক্ষ/ বন্ধক দাতা ॥
নাম:………….., পিতা:…………………ঠিকানা:………………. জাতীয়তা- বাংলাদেশী, ধর্ম- ইসলাম, পেশা- ব্যবসা।
—-২য় পক্ষ/ বন্ধক গ্রহিতা ॥
পরম করুণাময় মহান আল্লাহতায়ালার নাম স্মরণ করিয়া মটর সাইকেল যাহার রেজীঃ নং চট্ট-মেট্রো-হ-১১-০০০০০ বন্ধকীনামা দলিলের বয়ান আরম্ভ করিলাম। যেহেতু আমি ১ম পক্ষ আমার স্বামীর মালিকানাধীন একটি মটর সাইকেল ভোগ করিয়া আসিতেছি।
বর্তমানে আমার আমি বাসা ভাড়া না দিতে পারায় নগদ টাকার বিশেষ প্রয়োজন হওয়ায় উক্ত মটর সাইকেলটি বাড়ী ওয়ালা ২য় পক্ষ জসীম উদ্দিন- এর নিকট বন্ধক রাখার ইচ্ছা প্রকাশ করিলে পর আপনি দ্বিতীয় পক্ষ ১৬,০০০/- (ষোল হাজার) টাকায় বন্ধক নিতে রাজী হন। সেমতে ০১/০২/১৯ইং তারিখ রোজ হাজিরান মজলিশে উপস্থিত স্বাক্ষরকারী স্বাক্ষীগনের মোকাবেলায় আমি ১ম পক্ষ আপনি ২য় পক্ষের নিকট হইতে ১৬,০০০/- (ষোল হাজার) টাকা ৪ মাসের বাসা ভাড়া বাবদ পরিশোধ করিয়া উক্ত মটর সাইকেলটি বন্ধক রাখিয়া স্বীকার, অঙ্গীকার এবং ঘোষণা করিতেছি যে, আমি ১ম পক্ষ আপনি ২য় পক্ষের বরাবরে বন্ধকী টাকা যখন পরিশোধ করিতে পারিব তখনই আমার মটর সাইকেলটি আমি ১ম পক্ষের বরাবরে আপনি ২য় পক্ষ ছাড়িয়া ও বুঝাইয়া দিতে বাধ্য থাকিবেন। ইহাতে আপনি ২য় পক্ষ কোন প্রকার ওজর আপত্তি দাবি দাওয়া ইত্যাদি কিছুই করিতে পারিবেন না, করিলেও তাহা সর্ব আইন আদালতে সর্বোতভাবে অগ্রাহ্য ও না-মঞ্জুর এবং বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে।
প্রকাশ থাকে যে, আমি ২য় পক্ষ বন্ধকী টাকা ফেরত চাইলে কম পক্ষে ০১ (এক) মাস পূর্বে ১ম পক্ষকে অবহিত করতে হবে।
চলমান পাতা- ২
(পাতা-২)
এতদ্বার্থে স্বেচ্ছায়, সুস্থ শরীরে সরল মনে অন্যের বিনা প্ররোচনায় অত্র বন্ধকীনামা দলিল পাঠ করিয়া উপস্থিত স্বাক্ষীগণের মোকাবেলায় নিজ নাম সহি সম্পাদন করিয়া দিলাম। ইতি, তাং- ০১/০২/২০১৯ইং
বন্ধকী মটর সাইকেলের রেজীঃ নং চট্ট-মেট্রো-হ-১১-০০০০০, চেসিস নং …………….. , ইঞ্জিন নং………………….
অত্র বন্ধকী দলিল ২ (দুই) পাতায় কম্পিউটার কম্পোজকৃত বটে।
স্বাক্ষীগণের নাম ও স্বাক্ষর ১) ২) ৩) | প্রথম পক্ষ/ মালিকের স্বাক্ষর দ্বিতীয় পক্ষের স্বাক্ষর |
নিচে স্বর্ণালংকার বন্ধকী দলিল লেখার নিয়ম দেখানো হলোঃ-
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
স্বর্ণালংকার বন্ধক দলিল
নাম:………….., পিতা:…………………ঠিকানা:………………. জাতীয়তা- বাংলাদেশী, ধর্ম- ইসলাম, পেশা- ব্যবসা।
প্রথম পক্ষ / বন্ধক দাতা ॥
নাম:………….., পিতা:…………………ঠিকানা:………………. জাতীয়তা- বাংলাদেশী, ধর্ম- ইসলাম, পেশা- ব্যবসা।
দ্বিতীয় পক্ষ / বন্ধক গ্রহিতা ॥
আমি ১ম পক্ষ ২য় পক্ষের নিকট নিম্ন লিখিত স্বাক্ষীগণের মোকাবেলায় অদ্য ২১/১০/২০১৯ইং তারিখ আমার ১টি স্বর্ণের হার, ২টি স্বর্ণের চেইন এবং ১ জোড়া কানের দুল, সব অলংকার বিদেশী স্বর্ণের তৈরী এবং সর্বসাকুল্যে পরিমাণ ৪ ভরি ৩ আনা ৪ রতি, বন্ধক রাখিয়া ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা নগদ ঋণ গ্রহণ করি। উল্লেখ্য যে, বর্তমানে বন্ধককৃত মালামাল ২য় পক্ষের দখলে থাকিবে। ঋণ গৃহীত ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা ২য় পক্ষের নিকট বুঝাইয়া দিয়া ১ম পক্ষের বন্ধককৃত মালামাল বন্ধক মুক্ত করিবেন। ১বৎসরের মধ্যে ফেরত না নিলে উক্ত মালমালের মালিকানা ২য় পক্ষের হইবে। ইহাতে ১ম পক্ষের আর কোন অধিকার থাকিবে না। দাবী করিলেও তাহা অগ্রাহ্য বলিয়া বিবেচিত হইবে।
এতদ্বার্থে স্বেচ্ছায়, স্বজ্ঞানে, সুস্থ শরীরে, সরল মনে, অন্যের বিনা প্ররোচনায় অত্র দলিল পাঠ করিয়া ও পাঠ করাইয়া, শুনিয়া, উহার সম্যক মর্ম ভালভাবে অবগত হইয়া বন্ধকের সমুদয় টাকা নগদ বুঝিয়া পাইয়া উপস্থিত স্বাক্ষরকারী স্বাক্ষীগণের মোকাবেলায় অত্র বন্ধকী দলিল আপনার বরাবরে সহি সম্পাদন করিয়া দিলাম। ইতি, তারিখঃ-২১/১০/২০১৯ইং
সাক্ষীগণঃ ১। ২। ৩। | ১ম পক্ষ বন্ধক দাতার স্বাক্ষর ২য় পক্ষ বন্ধক গ্রহিতার স্বাক্ষর |
নিচে জমি বন্ধকী দলিলের নমুনা দেখানো হলোঃ-
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
জমি রেহান (বন্ধকী) নামা দলিল
নাম:………….., পিতা:…………………ঠিকানা:………………. জাতীয়তা- বাংলাদেশী, ধর্ম- ইসলাম, পেশা- ব্যবসা।
—প্রথম পক্ষ ॥
নাম:………….., পিতা:…………………ঠিকানা:………………. জাতীয়তা- বাংলাদেশী, ধর্ম- ইসলাম, পেশা- ব্যবসা।
—২য় পক্ষ ॥
পরম করুণাময় মহান আল্লাহতায়ালার নাম স্মরণ করিয়া নাল জমি রেহান দলিলের আইনানুগ বয়ান আরম্ভ করিলাম। যেহেতু আমি ১ম পক্ষ তফসিল বর্ণিত দাগের সম্পত্তি নাল জমি ভোগদখল করিয়া আসিতেছি।
বর্তমানে আমার নগদ টাকার বিশেষ প্রয়োজন হওয়ায় উক্ত জমি রেহান রাখার ইচ্ছা প্রকাশ করিলে পর আপনি দ্বিতীয় পক্ষ ২৫,০০০/- (পঁচিশ হাজার) টাকায় রেহান রাখিতে রাজী হন। সেমতে ৩১/১০/১৬ইং তারিখ রোজ হাজিরান মজলিশে উপস্থিত স্বাক্ষরকারী স্বাক্ষীগনের মোকাবেলায় আমি১ম পক্ষ আপনি ২য় পক্ষের নিকট হইতে ২৫,০০০/- (পঁচিশ হাজার) টাকা নগদ হাতে হাতে গ্রহণ করিয়া বুঝিয়া পাইয়া ও নিয়া নিম্ন তফসিল বর্ণিত নাল জমি বন্ধক রাখিয়া স্বীকার, অঙ্গীকার এবং ঘোষণা করিতেছি যে, আমি ১ম পক্ষ আপনি ২য় পক্ষের বরাবরে বন্ধকী টাকা যখন পরিশোধ করিতে পারিব তখনই আমার উক্ত জমি আমি ১ম পক্ষের বরাবরে আপনি ২য় পক্ষ ছাড়িয়া ও বুঝাইয়া দিতে বাধ্য থাকিবেন। ইহাতে আপনি ২য় পক্ষ কোন প্রকার ওজর আপত্তি দাবি দাওয়া ইত্যাদি কিছুই করিতে পারিবেন না, করিলেও তাহা সর্ব আইন আদালতে সর্বোতভাবে অগ্রাহ্য ও না-মঞ্জুর এবং বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে।
চলমান পাতা- ২
(পাতা-২)
আপনি ২য় পক্ষ যদি আপনার প্রয়োজনে টাকা ফেরত চান তাহলে কম পক্ষে ০১ (এক) মাস পূর্বে এক অপরকে অবহিত করতে হবে।
উল্লেখ থাকে যে, আপনি ২য় পক্ষ উক্ত জমি ভোগ করিবেন ইহাতে আমি ১ম পক্ষের কোন প্রকার ওজর- আপত্তি বা দাবী-দাওয়া কিছুই করিতে পারিব না, করিলেও তাহা বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে। উল্লেখ থাকে যে, ১ম পক্ষ, ২য় পক্ষকে যতদিন বন্ধকী টাকা ফেরত না দিবেন ততদিন পর্যন্ত ২য় পক্ষ জমি ভোগ করিবেন।
এতদ্বার্থে স্বেচ্ছায়, সুস্থ শরীরে সরল মনে অন্যের বিনা প্ররোচনায় অত্র নাল বন্ধকীনামা দলিল পাঠ করিয়া উপস্থিত স্বাক্ষীগণের মোকাবেলায় নিজ নাম সহি সম্পাদকন করিয়া দিলাম। ইতি, তাং-
বন্ধকী নামা দলিলের তফসিল পরিচয়ঃ
জেলা-ঢাকা, থানা- খিলগাঁও ও সাবরেজিষ্ট্রি অফিস তেজগাঁও অধীন নাল জমি অত্র দলিল দ্বারা বন্ধকীকৃত বটে।
অত্র বন্ধকী দলিল ২ (দুই) পাতায় কম্পিউটার কম্পোজকৃত বটে।
স্বাক্ষীগণের নাম ও স্বাক্ষর ১) ২) ৩) | প্রথম পক্ষ/ বন্ধকদাতার স্বাক্ষর দ্বিতীয় বন্ধক গ্রহিতার স্বাক্ষর |
নিচে পাইলিং মেশিন বন্ধক নামা দলিল লেখার নিয়ম দেখানো হলোঃ-
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
পাইলিং মেশিন বন্ধক দলিল
নাম:………….., পিতা:…………………ঠিকানা:………………. জাতীয়তা- বাংলাদেশী, ধর্ম- ইসলাম, পেশা- ব্যবসা।
—প্রথম পক্ষ / বন্ধক দাতা ॥
নাম:………….., পিতা:…………………ঠিকানা:………………. জাতীয়তা- বাংলাদেশী, ধর্ম- ইসলাম, পেশা- ব্যবসা।
—দ্বিতীয় পক্ষ / বন্ধক গ্রহিতা ॥
আমি ১ম পক্ষ ২য় পক্ষের নিকট নিম্ন লিখিত স্বাক্ষীগণের মোকাবেলায় গত ১৫/০১/২০১৯ইং তারিখ আমার ১টি রাষ্টন পাইলিং মেশিন ও ১টি ৮মন হেমার ও ১২০ ফুট লোহার পাইপ যাবতীয় মেশিন যন্ত্রাংশসহ বন্ধক রাখিয়া ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা নগদ ঋণ গ্রহণ করি। উল্লেখ্য যে, বর্তমানে বন্ধককৃত মালামাল ২য় পক্ষের দখলেই থাকিবে। গৃহীত ঋণের ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা আগামী ১৪/০১/২০২০ইং তারিখ রাত ১১ টার মধ্যে ২য় পক্ষের নিকট বুঝাইয়া দিয়া ১ম পক্ষের বন্ধককৃত মালামাল বন্ধক মুক্ত করিবেন। অন্যথা উক্ত মালমালের মালিকানা ২য় পক্ষের হইবে। ইহাতে ১ম পক্ষের আর কোন অধিকার থাকিবে না। দাবী করিলেও তাহা অগ্রাহ্য বলিয়া বিবেচিত হইবে।
এতদ্বার্থে স্বেচ্ছায়, স্বজ্ঞানে, সুস্থ শরীরে, সরল মনে, অন্যের বিনা প্ররোচনায় অত্র দলিল পাঠ করিয়া ও পাঠ করাইয়া, শুনিয়া, উহার সম্যক মর্ম ভালভাবে অবগত হইয়া বিক্রির সমুদয় টাকা নগদ হাতে হাতে বুঝিয়া পাইয়া উপস্থিত স্বাক্ষরকারী স্বাক্ষীগণের মোকাবেলায় অত্র বিক্রয় দলিল আপনার বরাবরে সহি সম্পাদন করিয়া দিলাম। ইতি, তারিখঃ-
সাক্ষীগণঃ ১। ২। ৩। | ১ম পক্ষ বন্ধক দাতার স্বাক্ষর ২য় পক্ষ বন্ধক গ্রহিতার স্বাক্ষর |
দলিল প্রিন্ট করার নিয়ম
বন্ধক নামা গুলো এমএস ওয়ার্ডে লেখার পর এটিকে পেইজ সেটাপ করে নিতে হবে। পেইজ সেটাপ করার জন্য প্রথমে মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের ফাইল মেনু থেকে পেইজ সেটাপে যেতে হবে বা ওয়ার্ড ফাইলের বাম পাশের ডাবল ক্লিক করলে পেইজ সেটাপ অপশন আসবে অথবা মাইক্রোসফটের উপরের বার থেকে page layout এ যেতে হবে তারপর margins থেকে customs অপশনে যেতে হবে। তারপর পেপার অপশন থেকে লিগ্যাল সাইজ করে দিতে হবে। তারপর margins অপশন থেকে উপরে মানে টপে 4.5 ইঞ্চি রাখতে পারেন, লেফট ও রাইট এ 1ইঞ্চি রাখতে পারেন। তারপর নিচে মানে বোটমে 1.5 ইঞ্চি রাখতে হবে। তারপর পেইজ সেটাপটি ওকে করে দিতে হবে।
এবার আপনি প্রিন্টারে প্রিন্ট করতে পারেন। যেকোন চুক্তিপত্র বাংলাদেশ আইন অনুসারে ৩০০ টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প যা ১০০ টাকার ৩টি ষ্ট্যাম্প পেপারে প্রিন্ট করতে হয়। আপনি তিন পেইজে ভাগ করে প্রিন্ট করে নিতে পারেন।
শেষ কথাঃ
আশা করি উপরে দেখানো বন্ধকী দলিল লেখার নিয়ম হিসেবে দোকানঘর, মোটসাইকেল, স্বর্ণালংকার, পাইলিং মেশিন বন্ধক দলিল ফরমেট গুলো থেকে যে ফরমেটের আপনার দরকার সেটির তথ্য গুলো পরিবর্তন করে নিজের মত করে আরেকটি এরকমই চুক্তিপত্র তৈরি করতে পারবেন। বিভিন্ন বন্ধক নামা দলিল লেখার নিয়ম ও বন্ধকী দলিলের নমুনা থেকে যেটি আপনার প্রয়োজন সেটি মূল ফাইল দরকার হলে কমেন্ট করতে পারে বা এ বিষয়ে আরো কোন কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন। ধন্যবাদ লেখাটি পড়ার জন্য।
আরো জানুনঃ-
সুরনামা পত্র অথবা ডিভোর্স পত্র কিভাবে লিখতে হবে দয়া করে ফরমেট টি বানিয়ে দিন।