মাসিক আয়ের সনদপত্র তৈরি করার নমুনা ফরমেট
এই পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারবেন কিভাবে মাসিক আয়ের সনদপত্র, অভিভাবকের মাসিক আয়ের সনদপত্র ও অভিভাবকের বার্ষিক আয়ের সনদপত্র তৈরি করতে হয়। নিম্নে তিনটি ফরমেট দেওয়া হলো যে ফরমেট গুলো দেখলে বুঝতে পারবেন কিভাবে মাসিক ও বার্ষিক আয়ের সনদপত্র তৈরি করতে হয় এবং এই সনদপত্র গুলোতে কি কি তথ্য দিতে হয়।
নিচে মাসিক আয়ের সনদপত্রের নমুনা দেওয়া হলোঃ-
মাসিক আয়ের সনদপত্র
এইমর্মে প্রত্যয়ন করা যাইতেছে যে, ফারুক আহমেদ, জাতীয় পরিচয় পত্র নং- ২৬০৫৫১৩৩৮৩, পিতা- মামুন আহমেদ, মাতা- হাফিজা বেগম, ঠিকানা- সিলভারল, ব্লক-৫, ফ্ল্যাট-ডি-২, ২২-৩৩, উত্তর বাসাবো, ডাকঘর: বাসাবো, ওয়ার্ড নং ৪ (সাবেক ২৭), থানা: সবুজবাগ, ঢাকা-১২১৪ অত্র এলাকার একজন বাসিন্দা এবং আমার পরিচিত। তিনি একজন ব্যবসায়ী। আমার জানামতে তাহার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হইতে ৩৫,০০০/- (পঁচিশ হাজার) টাকা এবং তাহার উপরোক্ত ঠিকানার ফ্ল্যাট হইতে মাসিক ভাড়া বাবদ ২৫,০০০/- (পঁচিশ হাজার) টাকা, সর্বমোট ৬০,০০০/- টাকা আয় করেন।
আমি তাহার জীবনের সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করি।
নিচে আরেকটি অভিভাবকের মাসিক আয়ের সনদপত্রের নমুনা দেওয়া হলোঃ-
অভিভাবকের মাসিক আয়ের সনদপত্র
এই মর্মে প্রত্যয়ন করা যাইতেছে যে, জরিনা সুলতানা, পিতা- সুবহান খান, মাতা- জো¯œা বেগম, ঠিকানা- ৬৬, উত্তর মাদারটেক, ডাকঘর: বাসাবো, ওয়ার্ড নং- ৪ (সাবেক ২৭), থানা: সবুজবাগ, ঢাকা-১২১৪ অত্র এলাকার একজন সম্মানিত বাসিন্দা এবং আমার সু-পরিচিত। আমার জানামতে তাহার অভিভাবক তাহার মাতা- গৌরি রানী দাস পেশায় একজন ব্যবসায়ী ও তাহার মাসিক আয় ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা মাত্র। আমার জানা মতে সে রাষ্ট্রবিরোধী কোন কাজে জড়িত নয়।
আমি তাহার জীবনের সার্বিক সাফল্য কামনা করি।
নিচে অভিভাবকের বার্ষিক আয়ের সনদপত্রের নমুনা দেওয়া হলোঃ-
অভিভাবকের বার্ষিক আয়ের সনদপত্র
এই মর্মে প্রত্যয়ন করা যাইতেছে যে, মৌসুমি আক্তার সুমি, পিতা- মোঃ মতিউর রহমান, মাতা- আফরা বেগম, ঠিকানা- ২২/এ, পূর্ব বাসাবো, ডাকঘর: বাসাবো, ওয়ার্ড নং- ৪ (সাবেক ২৭), থানা: সবুজবাগ, ঢাকা-১২১৪ অত্র এলাকার একজন সম্মানিত বাসিন্দা এবং আমার সু-পরিচিত। আমার জানামতে তাহার অভিভাবক তাহার ভাই- বাহার উদ্দিন পেশায় একজন ক্ষুদ্র ইলেকট্রনিক্স ব্যবসায়ী। আমার জানামতে তাহার অভিভাবক ভাই- বাহার উদ্দিন-এর মাসিক আয় ৮,০০০/- (আট হাজার) টাকা এবং বার্ষিক আয় ৯৬,০০০/- (ছিয়ানব্বই হাজার) টাকা মাত্র। আমার জানা মতে সে রাষ্ট্রবিরোধী কোন কাজে জড়িত নয়।
আমি তাহার জীবনের সার্বিক সাফল্য কামনা করি।
শেষ কথাঃ
উপরে নিজের জন্য মাসিক আয়ের সনদপত্র ও অভিভাবকের মাসিক আয়ের সনদপত্র এবং অভিভাবকের বার্ষিক আয়ের সনদপত্রের নমুনা দেখানো হলো। যাদের এই সব সনদ প্রয়োজন হয় তিনিরা উপরে দেখানো মতে তৈরি করে নিতে পারেন। যে অথরাইজের সহি স্বাক্ষর বা যার অনুমোদনের দরকার হয়ে থাকে তিনির প্যাডে প্রিন্ট করে সহি সাক্ষর করিয়ে নিতে হবে। আশা করি যাদের প্রয়োজন নেই তিনিরাও এই পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারলেন কিভাবে সনদপত্র লিখতে হয়।
ধন্যবাদ লেখাটি পড়ার জন্য।
আরো জানুনঃ-