ডকুমেন্ট ফরমেট

সোসাইটি গঠনতন্ত্র লেখার নিয়ম

কিভাবে সোসাইটি গঠনতন্ত্র তৈরি করতে হয় ও সোসাইটি গঠনতন্ত্র লেখার নিয়ম কি এবং কি প্রয়োজন হয়, এই লেখাটি পড়লে জানতে পারবেন। যারা সোসাইটি গঠনতন্ত্রের নিয়ম কানুন সম্পর্কে জানতে চান তাদের জন্য আজকের এই লেখাটি।

নিচে সোসাইটি গঠনতন্ত্র লেখার নমুনা নিয়ম তুলে ধরা হলোঃ-

দি সোসাইটি রেজিস্ট্রেশন এ্যাক্ট-১৮৬০
(১৮৬০ সালের ২১নং আইন)
এস আর ইসলাম ফাউন্ডেশন
(S R Islam Foundation)এর-


“গঠনতন্ত্র”
১। অত্র গঠনতন্ত্রে উল্লেখ্য এবং বিষয়বস্তুর মধ্যে বিপরীত বা অসামঞ্জস্য কিছু না থাকিলেঃ-
ক) সোসাইটি বলিতে- এস আর ইসলাম ফাউন্ডেশন বুঝাইবে।
খ) আইন বলিতে -১৮৬০ সনের সোসাইটির রেজিষ্ট্রেশন বুঝাইবে।
গ) নিবন্ধীত দপ্তর বলিতে সোসাইটির রেজিষ্ট্রার্ড অফিস বুঝাইবে।
ঘ) সদস্য/সদস্যা বলিতে- সোসাইটির তালিকাভুক্ত সদস্যদের কে বুঝাইবে। সহযোগী সদস্য ও আজীবন সদস্যও ইহার অর্ন্তভুক্ত ধরিতে হইবে।
ঙ) সাধারণ সভা বলিতে-সাধারণ সভা, কার্যনির্বাহী পরিষদের সভা, জরুরী সভা এবং বিশেষ সাধারণ সভা বুঝাইবে।
চ) কার্যনির্বাহী পরিষদ বলিতে-কার্যনির্বাহী পরিষদ সদস্য মন্ডলীকে বুঝাইবে।
ছ) এক বচন শব্দের সহিত বহুবচন অথবা উহার বিপরীত ও বুঝাইবে।
জ) পুংলিঙ্গ শব্দের সহিত স্ত্রীলিংগ অথবা উহার বিপরীতও বুঝাইবে।
ঝ) ব্যক্তি শব্দের সহিত সংস্থা অথবা উহার বিপরীতও বুঝাইবে।
ঞ) ১৮৬০ সনের সোসাইটি নিবন্ধীকরণ আইনে বর্ণিত বিধান সমূহ যাহা সোসাইটির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইতে পারে তাহা এই সোসাইটির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হইবে।

শ্রেণী বিন্যাসঃ-
২। ১৮৬০ সালের সোসাইটি নিবন্ধীকরণ আইন অনুযায়ী ইহা সোসাইটি, যাহা সকল সদস্য/সদস্যদের সমন্বয়ে গটিত একটি গবেষণা, শিক্ষামূলক, অলাভজনক, কল্যাণজনক, দাতব্য সেবামূলক এবং অরাজনৈতিক সংগঠন বুঝাইবে।

সদস্যের শ্রেণীঃ
৩। এই সোসাইটি সাধারণ সদস্য, সহযোগী সদস্য ও আজীবন সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত হইবে। সোসাইটির সাধারণ সদস্যের মধ্যে হইতে কার্য-নির্বাহী পরিষদ গঠিত হইবে।


সাধারণ সদস্যঃ
৪। সোসাইটির গঠনতন্ত্রের উপর পূর্ণ আস্থা রাখিয়া গঠনতন্ত্রের নিয়মাবলী মানিয়া চলিতে অঙ্গীকার করতঃ যে কোন প্রাপ্ত বয়স্ক প্রকৃত সমাজসেবী বাংলাদেশের নাগরিকগণ এই সোসাইটির সদস্য হইবার যোগ্য বলিয়া বিবেচিত হইবে।
৫। অত্র গঠনতন্ত্রের ৪নং প্র-বিধান অনুযায়ী যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তি এই সোসাইটির সদস্য পদ অর্জনের ইচ্ছা প্রকাশ করিলে সোসাইটির নির্ধারিত ফরমে আবেদন করিতে হইবে।
৬। সদস্য পদের আবেদনপত্র পরবর্তী কার্যনির্বাহী পরিষদ সভায় অনুমোদিত হইলে আবেদনকারীকে যথা সময়ে অবহিত করা হইবে।
৭। আবেদনপত্র পাওয়ার তারিখ হইতে ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে ভর্তি ফিস (যাহা কার্যনির্বাহী পরিষদ কর্তৃক সময় সময় কার্য হইবে) প্রদান সাপেক্ষে তাহাদের নাম ঠিকানা সংস্থার সদস্য রেজিষ্ট্রি বহিতে লিপিবদ্ধ হইবে এবং তখন হইতে তাহাকে সদস্য হিসাবে গন্য করা হইবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ভর্তি ফি প্রদানে অসমর্থ হইলে সদস্যপদ বাতিল বলিয়া গন্য হইবে।
৮। ইংরেজি মাস হিসাবে সকল সদস্য/সদস্যা মাসিক চাঁদা পরবর্তী মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে পরিশোধ করিতে হইবে। মাসিক চাঁদা পরিশোধে ব্যর্থ হইলে মাসিক চাঁদাসহ নির্ধারিত সময়ের পর হইতে প্রতিদিনের জন্য কার্যনির্বাহি পরিষদ কর্তৃক ধার্যকৃত হারে বিলম্ব ফি প্রদান করিতে হইবে। উক্ত বিলম্ব ফি মওকুফ করিবার ক্ষমতা নির্বাহী পরিষদের রহিয়াছে।
১০। মাসিক চাঁদা পর পর ৩ (তিন) মাস বকেয়া হইলে বিনা নোটিশে আপনা আপনি সদস্যপদ বিলুপ্ত হইয়া যাইবে যাহা পরবর্তী সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানাইয়া দেওয়া হইবে।
১১। সাধারণ সদস্য না হওয়া পর্যন্ত সাময়িক সদস্য পদের জন্য আবেদন করা যাইবে না। আজীবন সদস্য পদ অর্জনের ক্ষেত্রে ভর্তি ফিস প্রদানের পরিবর্তে এককালিন চাঁদা বা সমমূল্যের সম্পদ প্রদান করিতে হইবে। যাহা কার্যনির্বাহী পরিষদ কর্তৃক সময় সময় ধার্য্য করা হইবে। আজীবন সদস্যদের মাসিক চাঁদা প্রদান করিতে হইবে না এবং ভোট প্রদান করিতেও পারিবেন না।
১২। প্রত্যেক সদস্য/সদস্যা-এই সোসাইটির যে কোন সাধারণ সভায় নোটিশ প্রাপ্তি সভায় উপস্থিত হইয়া ভোট প্রদান, নির্বাচনে অংশ গ্রহণ এবং সোসাইটির সুযোগ সুবিদা গ্রহণের পূর্ণ অধিকার থাকিবে।
১৩। প্রত্যেক সদস্য/সদস্যা গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সকল নিয়মকানুন মানিয়া চলিতে বাধ্য থাকিবেন এবং এই সোসাইটির উপর পূর্ণ আস্থা থাকিতে হইবে। কোন সদস্য অসৎ আচরণ, সংস্থার স্বার্থ বিরোধী কার্য এবং গঠনতন্ত্রের পরিপন্থী কোন কার্যকলাপে রত ছিলেন বা আছেন এমন কোন দলিল প্রমাণ পাওয়া গেলে তাহাকে কার্যনির্বাহী পরিষদ কর্তৃক সতর্ক করা হইবে। ইহার পর যদি পুনরাবৃত্তি ঘটে তাহা হইলে দুই বার সতর্ক করা হইবে। ইহাতেও যদি সংশোধন না হয় তাহা হইলে নির্বাহী পরিচালক উক্ত সদস্যকে বহিস্কার করিতে পারিবেন।


সদস্য/সদস্যাদের ভোটঃ
১৪। সোসাইটির প্রত্যেক সদস্য নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক যে কোন পন্থায় সরাসরি ভোট প্রদান করিবেন।
১৫। শারীরিক অসুস্থতা বা কোন বিশেষ কারণে ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হওয়ার অপারগতার দরুন কোন সদস্য/সদস্যা তাহার ভোট প্রদানের জন্য যে কোন সদস্যকে ক্ষমতা প্রদান করিতে পারিবেন। এই প্রবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনার কর্তৃক অনুমোদিত হইবে যাহা ভোট প্রদানকালে পেশ করিতে হইবে। এই প্র-বিধান অনুযায়ী সোসাইটি সদস্য ছাড়া অন্য কোন নমিনী বা প্রতিনিধির ভোট অধিকার থাকিবে না, বিধায় উক্ত প্রতিনিধিকে ভোট প্রদানের ক্ষমতা প্রদান করা যাইবে না।
১৬। কোন সদস্যের মাসিক চাঁদা বা সোসাইটির কোন পাওনা বকেয়া থাকিলে তিনি ভোটার হিসাবে গণ্য হইবেন না অথবা ভোট প্রদানের জন্য ক্ষমতা প্রদান করিতে পারিবেন না এবং তাহার উপস্থিতিতে সভায় গণপূর্তি (কোরাম) ধরা হইবে না।
সাধারণ সভা
১৭। প্রতি ইংরেজী বর্ষপঞ্জীর ডিসেম্বর মাসে বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হইবে এবং প্রয়োজনে যে কোন সময় বিশেষ সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হইতে পারিবে।
১৮। সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক সকল সাধারণ সভা আহবান করিবেন। সংগঠনের প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও যদি নির্বাহী প্রধান পরিচালক ইচ্ছাকৃত ভাবে সভা আহবান না করেন বা সভা আহবানে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন সেই ক্ষেত্রে কার্যনির্বাহী পর্যদ ইচ্ছা করিলে উপর্যুক্ত কারণ প্রদর্শন করিয়া তাহাদের অধিকাংশ সদস্যদের যৌথ স্বাক্ষরে উক্ত সভা আহবান করিতে পারিবেন।
১৯। সোসাইটির সভাপতি সকল সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করিবেন। যদি কোন সভায় তিনি অনুপস্থিত থাকেন তাহলে সহ-সভাপতি উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করিবেন।
২০। সকল সদস্যদের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতিতে সাধারণ সভা গণপূর্তি কোরাম হইবে এবং গণপূর্তির সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে যে কোন সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবে।
২১। কোন সভায় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গণপূর্ত না হইলে উক্ত সভাকে মূলতবী ঘোষণা করিয়া সভার তারিখ সময় ও স্থান পুনরায় ধার্য করিতে হইবে। উক্ত মুলতবী সভায় গণপূর্তি না হইলে নন্যুতম সদস্যদের উপস্থিতিতেই গণপূর্তি ধরা হইবে।
২২। যে সকল সদস্যদের বিরুদ্ধে অনিয়মতান্ত্রিক কিংবা অন্য অভিযোগ নাই, কমপক্ষে ১ (এক) বৎসর কাল সাধারণ সদস্য হিসাবে সংশিষ্ট থাকিবেন তাহারাই কেবলমাত্র কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করিবেন।
২৩। কার্যনির্বাহী পরিষদের অনুমোদন ব্যতিরেকে উক্ত পরিষদের কোন সদস্য পর পর ৩টি (তিন) সভায় অথবা একটানা ৯০ (নব্বই) দিন (যাহা দীর্ঘ মেয়াদী হয়) অনুপস্থিত থাকিলে সাধারণ সভায় সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাহাকে কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য পদ হইতে অপসারণ করা হইবে।
২৪। নিম্নে লিখিত পদবী ও সংখ্যা লইয়া ৭ (সাত) সদস্য বিশিষ্ট ৫ (পাচ) বৎসর মেয়াদে কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠিত হইবেঃ-

ক্রমিক নং পদবী সংখ্যা
০১ সভাপতি ১
০২ সহ-সভাপতি ১
০৩ সাধারণ সম্পাদক ১
০৪ অর্থ সম্পাদক ১
০৫ নির্বাহী সদস্য ৩
মোট- ৭

২৫। অত্র গঠনতন্ত্রের ২৪ নং প্রবিধান অনুযায়ী নিম্নে লিখিত ব্যক্তি বর্গ নিয়ে এই সংগঠনের প্রথম কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠিত হইবেঃ-
ক্রমিক নং নাম পদবী
০১ ইসলাম বাবু সভাপতি
০২ বেগম নাসিমা সহ-সভাপতি
০৩ জান্নাত আজমিরা সাধারণ সম্পাদক
০৪ পারভীন হাজেরা অর্থ সম্পাদক
০৫ খাদিজা বেগম নির্বাহী সদস্য
০৬ আমেনা বেগম নির্বাহী সদস্য
০৭ শেখ শহিদ নির্বাহী সদস্য


কার্যনির্বাহী পরিষদ সভাঃ
২৬। সোসাইটির প্রয়োজনে যে কোন সময় কার্যনির্বাহী পরিষদ সভা আহবান করা যাইবে এবং সভা অনুষ্ঠিত হইবার ৭ (সাত) দিন পূর্বে সভায় তারিখ সময় ও স্থান উল্লেখপূর্বক সকল কার্যনির্বাহী পরিষদ সদস্যকে লিখিত ভাবে নোটিশ প্রদান করিতে হইবে। তবে বিশেষ জরুরী প্রয়োজনে সকলের সম্মতিক্রমে স্বল্পতম সময়ে এই সভা আহবান করা যাইবে।
২৭। কার্যনির্বাহী পরিষদ সদস্য দুই তৃতীয়াংশের উপস্থিতিক্রমে পরিষদ সভা গণপূর্ত (কোরাম) হইবে।
২৮। সোসাইটির নির্বাহী প্রধান সকল কার্যনির্বাহী পরিষদ সভা আহবান করিবেন। তিনি সোসাইটির প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে সভা আহবানে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন সেই ক্ষেত্রে কার্যনির্বাহী পরিষদ ইচ্ছা করিলে উপযুক্ত কারণ প্রদর্শন করিয়া তাহাদের মধ্য হইতে মনোনিত দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যদের যৌথ স্বাক্ষরে উক্ত সভা আহবান করিতে পারিবেন।
২৯। সোসাইটির সভাপতি সকল কার্যনির্বাহী পরিষদ সভার সভাপতিত্ব করিবেন। যদি কোন সভায় সভাপতি অনুপস্থিত থাকেন তাহা হইলে সহ-সভাপতি উক্ত সভার সভাপতিত্ব করিবেন।


কার্যনির্বাহী পরিষদের ক্ষমতা ও কার্যাবলীঃ
৩০। সোসাইটি রেজিষ্ট্রার্ড অফিসের ঠিকানা পরিবর্তন করাসহ সার্বিক প্রশাসন, সকল প্রকার হিসাব রক্ষণাবেক্ষন, সোসাইটি স্বার্থে বা উন্নয়নকল্পে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ নীতি গ্রহণ, নীতি নির্ধারণ সহ সামগ্রিক তত্ত্বাবধায়ন, নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনার জন্য পূর্ণ ক্ষমতা কার্যনির্বাহী পরিষদের উপর ন্যস্ত থাকিবে। এই পরিষদ উপ-পরিষদ গঠন ও অপসারণ করিতে পারিবে এবং উক্ত কমিটিদ্বয়ের স্থায়ীত্বকাল নির্ধারণ করিবে। কার্যনির্বাহী পরিষদের কোন পদ শূন্য হইলে উক্ত পদে অন্তরবর্তীকালীন নিয়োগ করিতে পারিবে।

সভাপতির দায়িত্ব ও কর্তব্যঃ
৩১। সভাপতি এই সোসাইটির প্রধান হিসাবে গণ্য হইবেন এবং গঠনতন্ত্রে ১৯ ও ২৯ নং প্র-বিধান এর ক্ষমতা বলে তিনি সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন। সভায় কোন প্রস্তাবের উপর সমস্যা দেখা দিলে তিনি ইচ্ছা করিলে দ্বিতীয় বা নির্ণয় ভোট প্রদান করিয়া যে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিতে পারিবেন। তিনি সোসাইটি পরিচালনার ব্যাপারে তীক্ষè দৃষ্টি রাখিবেন। সাধারণ সম্পাদক নির্দিষ্ট সময়ে সভা আহবানে ব্যর্থ হইলে তিনি ঐ সভা আহবান করিবেন। উপদেষ্টা পরিষদের প্রধান এবং সদস্যবৃন্দের পরামর্শক্রমে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করিবেন।


সহ-সভাপতি দায়িত্ব ও কর্তব্যঃ
৩২। সভাপতি এর অনুপস্থিতিতে সহ-সভাপতি, সভাপতির দায়িত্ব পালন করিবেন এবং তিনি সভাপতির সম্মতিক্রমে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করিবেন।

সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব ও কর্তব্যঃ
৩৩। সাধারণ সম্পাদক কার্যনির্বাহী পরিষদের সিদ্ধান্ত সমূহ বাস্তবায়ন ও পরিষদের নির্দেশানুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনা করিবেন। তিনি সভাপতির সাথে পরামর্শক্রমে সকল সভা আহবান করিবেন। যে কোন সভা, অনুষ্ঠান, সেমিনার ইত্যাদি আয়োজনের জন্য এবং সদস্যদের জ্ঞাত করানোর জন্য তিনি দায়-দায়িত্ব পালন করিবেন। তিনি সোসাইটির পক্ষে সকল পত্র যোগাযোগ করিবেন এবং বার্ষিক বাজেট প্রণয়ন করিবেন। তিনি সোসাইটির যাবতীয় নথিপত্র, স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি রক্ষনাবেক্ষন করিবেন, সভার কার্য-বিবরণী লিপিবদ্ধ করিবেন এবং সকল প্রকার গুরুত্বপূর্ন বিষয়াদি সভাকে অবহিত করিবেন। তিনি সোসাইটির বার্ষিক কার্যকলাপের উপর বার্ষিক প্রতিবেদন প্রণয়ন করিয়া তাহা নির্বাহী পরিষদের অনুমোদনক্রমে সাধারণ সভায় যথাসময়ে উপস্থাপন করিবেন।


অর্থ-সম্পাদকের দায়িত্ব ও কর্তব্যঃ
৩৪। সোসাইটির অর্থ সম্পাদক সোসাইটি সকল প্রকার আয়/ব্যয়ের হিসাব তদারকী ও সংরক্ষণ করিবেন এবং নির্বাহী প্রধানের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করিবেন ও বাৎসরিক প্রতিবেদন এববং হিসাব-নিকাশ করার সময় নির্বাহী প্রদানকে সহায়তা করিবেন। অর্থ-সম্পাদক ৫০০/- টাকা পর্যন্ত হাতে রাখিতে পারিবেন।

নির্বাহী সদস্য/সদস্যার দায়িত্ব ও কর্তব্যঃ
৩৫। নির্বাহী সদস্য কার্যনির্বাহী পরিষদের যে কোন সিদ্ধান্তের ব্যাপারে পক্ষে ও বিপক্ষে মতামত রাখিতে পারিবেন। সংগঠনের কার্যপ্রণালীর দিকে লক্ষ্য রাখিবেন এবং নির্বাহী প্রধানের বিভিন্ন কাজে সহায়তা করিবেন।


নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্ব ও কর্তব্যঃ
৩৬। নির্বাহী পরিচারক কার্যনির্বাহী পরিষদ কর্তৃক মনোনিত/নিয়োগপ্রাপ্ত হইবেন। তিনি সকল প্রকল্পসমূহ তদারকী করিবেন। কার্যনির্বাহী পরিষদের অনুমোদনক্রমে সকল প্রকার কর্মচারী নিয়োগ, বরখাস্ত এবং তাহাদের ছুটি, বেতন, ভাতা, পারিশ্রমিক প্রদান সহ সামগ্রিক প্রশাসন, তত্ত্বাবধান ও ব্যবস্থাপনা এবং সকল কার্যবলী সম্পাদনের ক্ষমতা তাহার উপর ন্যস্ত থাকিবে। এই সংক্রান্ত সকল প্রকার যোগাযোগ, পত্রলিপি, নথি ও হিসাব পত্রে তাহার স্বাক্ষরের মাধ্যমে সম্পাদিত হইবে। তিনি কার্যনির্বাহী পরিষদের অনুমোদনক্রমে সোসাইটির পক্ষে বা স্বার্থে যে কোন পরিমান অর্থ ব্যয় অথবা ব্যয়ের জন্য নির্দেশ প্রদান করিবেন। এককালীন এক ভাউচারে (রশিদ) ৫০০/- (পাঁচশত) টাকা পর্যন্ত ব্যয়ের জন্য কার্যনির্বাহী পরিষদ কর্তৃক অনুমোদন প্রয়োজন হইবে না।

সহ-নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্ব ও কর্তব্যঃ
৩৭। নির্বাহী পরিচালকের অনুপস্থিতিতে সহকারী নির্বাহী পরিচালক, নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্ব পালন করিবেন এবং সভাপতি ও নির্বাহী পরিচালকের পরামর্শ মোতাবেক বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করিবেন।

উপদেষ্টা পরিষদ ও নির্বাচন গঠনঃ
৩৮। এই সোসাইটির সামগ্রিক স্বার্থের সঠিক পরামর্শ দেওয়ার জন্য গঠনতন্ত্রের ৩০নং প্রবিধান অনুযায়ী বিশেষ ব্যক্তিত্বশীল, বুদ্ধিজীবীর সমন্বয়ে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি উপদেষ্টা পরিষদ গঠিত হইবে, নির্বাহী প্রধান ক্ষমতাবলে উপদেষ্টা পরিষদের মিটিং এ সভাপতিত্ব করিবেন। এই উপদেষ্টা পরিষদেরও একজন প্রধান থাকিবেন, তাহাকে প্রধান উপদেষ্টা হিসাবে আখ্যায়িত করা হইবে। উপদেষ্টা পরিষদের কোন সদস্য সোসাইটির সদস্য হইতে পারিবেন না এবং কোন ভোটাধিকার থাকিবে না। কেবলমাত্র সঠিক পরামর্শ দেওয়া ছাড়া উপদেষ্টা পরিষদ কার্যনির্বাহী পরিষদের দায়িত্ব ও কর্তব্যের প্রতি হস্তক্ষেপ করিতে পারিবে না। এই উপদেষ্টা পরিষদ নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালন করিবে এবং পরিষদ কর্তৃক ৫ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন গঠন করা হইবে যাহা পদাধিকার বলে প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন কমিশনার তথা নির্বাচন কমিশনের প্রধান হিসাবে গণ্য হইবে।

নির্বাচনঃ
৩৯। গঠনতন্ত্রের ২৪ নং প্রবিধান অনুযায়ী প্রতি ৫ (পাঁচ) বৎসরে জন্য সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে/সিলেকশনের মাধ্যমে কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠিত হইবে। ৫ (পাচ) বৎসর অতিক্রমের পূর্বেই নির্বাচন সম্পান্ন করিতে হইবে।
৪০। গঠনতন্ত্রের ২২ নং প্রবিধানে বর্ণিত যোগ্যতা সম্পন্ন সদস্যগণ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করিতে পারিবেন।
৪১। নির্বাচনের ১ (এক) মাস পূর্বে নির্বাচনের তারিখ ঘোষনা করিতে হইবে এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ করিতে ইচ্ছুক সদস্যগণ নির্বাচনের ২০ দিন পূর্বে নির্বাচন কমিশনের নিকট মনোনয়নপত্র দাখিল করিবেন। দাখিলকৃত পত্র বাছাই এর পর নির্বাচনের ১৫ দিন পূর্বে মনোয়ন পত্র অনুমোদন প্রসঙ্গে ঘোষনা দেওয়া হইবে।
৪২। ভোট দানে অংশ গ্রহণকারীর কোন প্রকার অসুবিধা না হয় সেই দিকে দৃষ্টি রাখিয়া আইন সম্মতভাবে নির্বাচনী প্রচরনা চালাইতে হইবে। তবে ভোট গ্রহনের ১২ ঘন্টা পূর্বে অবশ্যই নির্বাচনী প্রচারণা বন্ধ করিতে হইবে।
৪৩। কোন নির্বাচিত সদস্য মারা গেলে বা অপসারিত হইলে অথবা পদত্যাগ করিলে সেই স্থান পূরণের জন্য পুনঃনির্বাচন অথবা নির্বাহী পরিষদের সিলেকশনের মাধ্যমে পূরণ করা হইবে।

নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব ও কর্তব্যঃ
৪৪। গঠতন্ত্রের ৩৮ নং প্র-বিধানের ক্ষমতাবলে উপদেষ্টা পরিষদ নির্বাচন পরিষদের দায়িত্ব পালন করিবে। নির্বাচন প্রসঙ্গে সামগ্রিক প্রশাসন তত্ত্বাবধায়ন সহ ব্যবস্থাপনা সহ সকল কার্যাবলীর সম্পাদনের পূর্ণক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের উপর ন্যস্ত থাকিবে এবং নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ, মনোনয়ন পত্র গ্রহণ, বাছাই বাতিল ও অনুমোদন ভোট কেন্দ্রের স্থান ও সময় নির্ধারণ, মনোনয়নপত্র গ্রহণ, বাছাই, বাতিল ও অনুমোদন, বোট কেন্দ্রের স্থান ও সময় নির্ধারণ ও ভোট নিয়ন্ত্রণ, ভোট গ্রহণ, ভোট গণনা এবং নির্বাচনী ফলাফল ঘোষনা করিবার পূর্ণ অধিকার নির্বাচন কমিশনের সংরক্ষিত থাকিবে।


ব্যাংক হিসাব পরিচালনাঃ
৪৫। কার্যনির্বাহী পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অত্র সোসাইটির নামে এক বা একাধিক হিসাব খোলা যাবে। যাহা সভাপতি ও অর্থ-সম্পাদকের যৌথ স্বাক্ষরের পরিচালিত হইবে অথবা উক্ত হিসাব ও হিসাবসমূহ নির্বাহী পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক পরিচালিত হইবে।
অডিট ও অডিটরঃ
৪৬। জমা খরচের বার্ষিক হিসাব নিরীক্ষার জন্য রেজিষ্টার্ড চার্টাড এ্যাকাউন্টেন্ট ফার্মকে নিয়োগ করিতে হইবে এবং নিয়োজিত অডিটর দ্বারা উক্ত হিসাব পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর প্রস্তুতকৃত উদ্ধৃতিপত্র অনুমোদনের জন্য বার্ষিক সাধারণ সভায় উপস্থাপন করিতে হইবে।
বৈদেশিক সাহায্য বা অনুদানঃ
৪৭। বৈদেশিক সাহায্য বা অনুদান গ্রহণের ক্ষেত্রে ১৯৭৮ সালের বৈদেশিক সাহায্য অধ্যাদেশ অনুযায়ী কার্যকরী করা।

শালিশীঃ
৪৮। অত্র গঠনতন্ত্রের ব্যাখ্যা অথবা সোসাইটির কার্যক্রম সম্পর্কিত কোন মতানৈক্য দেকা দিলে ১৯৪০ সালের শালিশী আইনানুযায়ী প্রত্যেক বিবাদমান পক্ষের মনোনিত একজনকে লইয়া শালিশী বোর্ড গঠন করিয়া বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য উক্ত বোর্ডের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে এবং শালিশী বোর্ড যে রায় প্রদান করিবে তাহাই চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য করিতে হইবে।

বিলুপ্তি
৪৯। ১৮৬০ সনের সোসাইটি নিবন্ধীকরন আইন অনুযায়ী অ-সাধারণ সভা অতিরিক্ত বা বিশেষ সাধারণ সভার সিদ্ধান্তক্রমে অত্র সোসাইটি বিলুপ্তি ঘোষনা করা যাইবে এবং বিলুপ্তি ঘটিলে সোসাইটি বিষয়-সম্পত্তি ও নগদ অর্থ সোসাইটি নিবন্ধীকরণ আইনের ১৮৬০ সনের ১৪নং ধারা মোতাবেক এই সোসাইটি অনুরুপ উদ্দেশ্য সম্পন্ন সমাজ কল্যাণমূলক কোন সোসাইটি বা সংগঠনকে হসত্মাতর করিতে হইবে এবং এই অর্থ-সম্পদ কোন অবস্থাতেই সদস্যদের মধ্যে বন্টন করা যাইবে না।

আমরা কার্যকরী কমিটির সদস্যবৃন্দ এই মর্মে প্রত্যয়ন করিতেছি যে, দাখিলকৃত মূল গঠনতন্ত্রের অবিকল নকল প্রত্যয়ন করিলাম।
ক্রমিক নং নাম পদবী
০১ ইসলাম বাবু সভাপতি
০২ বেগম নাসিমা সহ-সভাপতি
০৩ জান্নাত আজমিরা সাধারণ সম্পাদক
০৪ পারভীন হাজেরা অর্থ সম্পাদক
০৫ খাদিজা বেগম নির্বাহী সদস্য
০৬ আমেনা বেগম নির্বাহী সদস্য
০৭ শেখ শহিদ নির্বাহী সদস্য

তারিখঃ ………………………….দিন………………………………..বৎসর ২০২০ইং
স্বাক্ষীগণের, নাম ও ঠিকানাঃ
১। মোঃ এমদাদুল ইসলাম
চেয়ারম্যান
৩নং কাকিয়া ইউনিয়ন পরিষদ
সদর, বি-বাড়িয়া।

২। জুলেখা বেগম
মহিলা ইউপি সদস্য
৩নং কাকিয়া ইউনিয়ন পরিষদ
সদর, বি-বাড়িয়া।

আরো জানুন-

Quick Bangla

বাংলা তথ্যভিত্তিক ওয়েবসাইট হিসেবে পরিচালিত এই সাইটটি। তাই বাংলায় অনেক ধরনের তথ্যই এখানে পেয়ে যাবেন। আশা করি সঠিক তথ্য বিষয়বস্তু জানতে পারবেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Close

Adblock Detected

Please Turn off ad blocker