ডকুমেন্ট ফরমেট

আবাসিক হোটেল ভাড়ার চুক্তিপত্র লেখার নিয়ম

এই পোষ্টে আবাসিক হোটেল ভাড়ার চুক্তিপত্র লেখার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পারবেন। চুক্তিনামা নমুনা ফরমেট পেয়ে যাবেন যাতে বুঝতে পারেন কিভাবে তৈরি করতে হয়।

বাসা ফ্ল্যাট গাড়ী দোকান ও অফিস ভাড়া চুক্তিপত্রের মতই আবাসিক হোটেল এর জন্য জায়গা ভাড়ার চুক্তিপত্র করতে হয়। এসকল চুক্তিপত্র গুলো নমুনা প্রায় এক রকম দেখতে হলেও কিন্তু একেকটা চুক্তিপত্র শর্ত সমূহের অনেক কিছুই ব্যবধান থাকে। তাই আজকের এই লেখায় জানতে পারবেন কিভাবে আবাসিক হোটেল করার জন্য জায়গাটি ভাড়ার চুক্তিপত্র করতে হয়। আবাসিক হোটেল ভাড়ার চুক্তিপত্র লিখতে গেলে কি কি বিষয় গুলো তুলে ধরতে হয়।

নিচে আবাসিক হোটেল ভাড়ার চুক্তিপত্রের নমুনা তুলে ধরা হলোঃ-

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

আবাসিক হোটেল ভাড়ার চুক্তিপত্র

জালাল উদ্দিন, পিতা- কালাম উদ্দিন, ঠিকানাঃ হোল্ডিং-৪৪, দক্ষিণখান ঢাকা-১২৩০। ধর্ম-ইসলাম, পেশা-ব্যবসা, জাতীয়তা-বাংলাদেশী, জাতীয় পরিচয়পত্র নং-৭১৩৪৩৬০৮৮।

——–প্রথম পক্ষ/মালিক।


আব্দুর রহিম, পিতাঃ আব্দুল ওহাব, ঠিকানাঃ ৪১, নদ্দাপাড়া, দক্ষিণখান, ঢাকা-১২৩০, ধর্ম-ইসলাম, পেশা-ব্যবসা, জাতীয়তা-বাংলাদেশী, জাতীয় পরিচয়পত্র নং- ৪০১২৬৮৩৬১।

—– দ্বিতীয় পক্ষ/ভাড়াটিয়া।

পরম করুনাময় অসীম দয়ালু সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহ তায়ালার নাম স্মরণ করিয়া অত্র আবাসিক হোটেল এর মাসিক ভাড়া চুক্তিপত্র দলিলের বয়ান লিখিতে আরম্ভ করিলাম। মালিক ১ম পক্ষ উক্ত আবাসিক হোটেলটি ভাড়া দেওয়ার প্রস্তাব করিলে ২য় পক্ষ উক্ত হোটেলটি ভাড়া নেওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেন। উভয় পক্ষের সম্মতিক্রমে নি¤œ লিখিত শর্তমোতাবেক অত্র চুক্তিপত্রটি সম্পাদন হইল।

শর্তাবলীঃ

১। অত্র আবাসিক হোটেলটির চুক্তির মেয়াদ ০১ ডিসেম্বর ২০১৯ইং তারিখ হইতে ৩০ নভেম্বর ২০২৯ইং ১০ (দশ) বৎসর/ ১২০ মাস বলবৎ থাকিবে।
২। দ্বিতীয় পক্ষ, প্রথম পক্ষকে অগ্রিম হিসাবে ৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকা প্রদান করিলেন। ৫ (পাঁচ) বছর পরে অগ্রিম আরো ৩,০০,০০০/- (তিন লক্ষ) টাকা ২য় পক্ষ ১ম পক্ষকে প্রদান করিবেন। যাহা মেয়াদান্তে ফেরতযোগ্য।

চলমান পাতা-০২

পাতা নং-০২


৩। উক্ত আবাসিক হোটেলটি প্রতি মাসের ভাড়া ৮১,০০০/- (একাশি হাজার) টাকা ধার্য করা হইল। উল্লেখ থাকে যে, প্রতি মাসের ভাড়া ০১ হইতে ১০ তারিখের মধ্যে পরিশোধ করিবেন। উল্লেখ্য যে, ৪০ মাস পর পর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ভাড়াটিয়া আইনুযায়ী ১৫% হারে ভাড়া বৃদ্ধি হইবে। শেষের ৪০ মাস ভাড়া বৃদ্ধি কালে উভয় পক্ষ আলোচনা সাপেক্ষে ভাড়ার হার নির্ধারন করা যেতে পারে।
৪। বিদ্যুৎ বিল মিটার রিডিং অনুযায়ী, পানির বিল ও একটি গ্যাসের বিলসহ দ্বিতীয় পক্ষ/ ভাড়াটিয়া প্রতি মাসের ১ হইতে ১০ তারিখের মধ্যে পরিশোধ করিবেন।
৫। দ্বিতীয় পক্ষ উক্ত আবাসিক হোটেলে সরকার নিষিদ্ধ, রাষ্ট্র বিরোধী/ অনৈতিক কোন ব্যবসা করিতে পারিবে না। ২য় পক্ষের কোন বেআইনি কাজের ভার কোনক্রমেই ১ম পক্ষের উপর বর্তাইবে না।
৬। মেয়াদকাল উত্তীর্ণ হওয়ার পর নতুন কোন চুক্তিপত্র না হইলে দ্বিতীয় পক্ষ আবাসিক হোটেলটির দখল বিনা আপত্তিতে ১ম পক্ষকে বুঝাইয়া দিতে বাধ্য থাকিবে এবং নতুন চুক্তি করিতে হইলে দুই পক্ষের সম্মতিক্রমে চুক্তি শেষ হওয়ার ০৩ (তিন) মাস পূর্বে নতুন চুক্তি করিতে হইবে।
৭। দ্বিতীয় পক্ষ আবাসিক হোটেলটি ছাড়িয়া দিতে চাহিলে প্রথম পক্ষকে ০৩ (তিন) মাস পূর্বে লিখিত নোটিশ দিতে হইবে। ইহাতে কোন পক্ষের কোন প্রকার ওজর আপত্তি চলিবে না।
৮। আবাসিক হোটেলটি কোন পরিবর্তন বা পরিবর্ধন করিতে চাহিলে দ্বিতীয় পক্ষ, প্রথম পক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে তা করিতে পারিবেন।
৯। উল্লেখ্য যে, অগ্রিম ৮,০০,০০০/- (আট লক্ষ) টাকা মেয়াদ শেষে প্রথম পক্ষ দ্বিতীয় পক্ষকে ফেরত দিবেন।
১০। যদি কখনো রাস্তা সম্প্রসারনকালে ভবনটির আংশিক ভাঙ্গা পরে ১ম পক্ষ নিজ ব্যয়ে ভবনটি সংস্কার করিবেন ও সেই ক্ষেত্রে তখনকার আয়তন অনুযায়ী ভাড়া নির্ধারন হইবে।

চলমান পাতা-০৩

পাতা-০৩


১১। এই চুক্তিপত্রের শর্তের বাহিরে কোন সমস্যার উদ্ভাবন দেখা দিলে তাহলে উভয় পক্ষ আলোচনা সাপেক্ষে সমস্যা মিটিয়ে নিবে।

তফসিল

জেলা-ঢাকা, থানা-দক্ষিণখান, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন আওতাভুক্ত। বাড়ী নং-৪৪, আশকোনা মেইন রোড, আশকোনা বাজার, ঢাকা-১২৩০। ৪র্থ তলা বিশিষ্ট বাড়ীর ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম তলা কিয়োদাংশ, মোট কিচেনসহ ৩৩টি রুম।
এতদ্বার্থে আমরা উভয় পক্ষ অত্র চুক্তিপত্রে বর্ণিত শর্তাবলী পড়িয়া এবং মর্মার্থ বুঝিয়া স্বেচ্ছায় ও স্বজ্ঞানে নিম্নোক্ত স্বাক্ষীগণের সম্মুখে ০৩ (তিন) পাতায় লিখিত উক্ত চুক্তিপত্র নিজ নিজ নাম স্বাক্ষর প্রদানের মাধ্যমে চুক্তিপত্র সম্পাদন করিলাম।

স্বাক্ষীগণের স্বাক্ষর ঃ

১।

২।

৩।

প্রথম পক্ষের স্বাক্ষর

দ্বিতীয় পক্ষের স্বাক্ষর

প্রিন্ট করার নিয়ম

তবে নিজেদের প্রয়োজনে এমএস ওয়ার্ডে লেখার পর এটিকে পেইজ সেটাপ করে নিতে হবে। পেইজ সেটাপ করার জন্য  প্রথমে মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের ফাইল মেনু থেকে পেইজ সেটাপে যেতে হবে বা পেইজ লেআউট (page layout) থেকে মার্জিন (margins) থেকে কাস্টমস (customs) অপশনে যেতে হবে। তারপর পেপার অপশন থেকে লিগ্যাল সাইজ করে দিতে হবে। তারপর margins অপশন থেকে উপরে মানে টপে 4.5 ইঞ্চি রাখতে পারেন, লেফট ও রাইট এ 1ইঞ্চি রাখতে পারেন। তারপর নিচে মানে বোটমে 1.5 ইঞ্চি রাখতে হবে। তারপর পেইজ সেটাপটি ওকে করে দিতে হবে।

এবার আপনি প্রিন্টারে প্রিন্ট করতে পারেন। যেকোন চুক্তিপত্র বাংলাদেশ আইন অনুসারে ৩০০ টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প যা ১০০ টাকার ৩টি ষ্ট্যাম্প পেপারে প্রিন্ট করতে হয়। আপনি তিন পেইজে ভাগ করে প্রিন্ট করে নিতে পারেন।

আরো পড়ুন-

Quick Bangla

বাংলা তথ্যভিত্তিক ওয়েবসাইট হিসেবে পরিচালিত এই সাইটটি। তাই বাংলায় অনেক ধরনের তথ্যই এখানে পেয়ে যাবেন। আশা করি সঠিক তথ্য বিষয়বস্তু জানতে পারবেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Close

Adblock Detected

Please Turn off ad blocker