এত তরিকা বা এত পীরের মানে কী, পীর শব্দটি কি কোরআনে আছে

এই পোষ্টের মাধ্যমে এত তরিকা বা এত পীরের মানে কী, পীর শব্দটি কি কোরআনে আছে জানতে পারবেন। যাদের মনে এই প্রশ্ন আছে তারা উত্তর পেয়ে যাবেন। (is the word pir in the quran?)
এত পীরের মানে কী
এত তরিকা এত পীরের মানে কী যদি প্রশ্ন থাকে। তাহলে শুনুন- এত তরিকা বা এত পীর কোন ভিন্ন কোন ইসলামের শিক্ষা দেয় না। যারা হক্কানী পীর তাদের আকিদা বা মত হলো রাসুল (সাঃ) এর দেখানোই পথ। হক্কানী পীর মাশায়েকগণ ইসলামের নিয়ম নীতিগুলো তাদের অনুসারিদের সহজভাষায় বুঝিয়ে থাকে। যেমন- একজন স্কুলের শিক্ষক বই দেখে ছাত্রদের বুঝিয়ে থাকে। ঠিক তেমনি পীর আউলিয়াগনও তেমনি বুঝিয়ে থাকে বা ইসলামের সুন্দর পথ বলে থাকে। কিন্তু কথা হলো স্কুলের সকল শিক্ষকদের বুঝানোর ধরন যেমন একরকম হয় না, ঠিক তেমনি সকল পীর মাশায়েকদের বুঝানোর ধরন এক রকম হয় না, তাই একেকজন পীর মাশায়েকের ভিন্নতা রয়েছে কিন্তু সকলের উদ্দেশ্য বা মূল বিষয় ইসলাম শিক্ষা।
এত তরিকার মানে কি
তরিকার মধ্যে আমরা জেনে থাকি চারটি তরিকা- কাদরিয়া, চিশচিয়া, নক্সবন্দিয়া, মোজাদ্দেদীয়া। এত তরিকার মানে হলো যার যার ইমামের পথগুলোকে চিহ্নিত করার জন্য বলা হয়ে থাকে। যেমন- কেউ যদি কোন পাঠ্যপুস্তককে গাইড বই আকারে তৈরি করে তাহলে সে বইয়ে সেই লেখকের নাম থাকবে এটাই স্বাভাবিক। এভাবে যারাই কোন পাঠ্যপুস্তককে সহজ করে গাইড বই তৈরি করবে তার নাম থাকবে। আর সেই বই গুলোকে যার যার নাম অনুসারে চিনতে চেষ্টা করব। ঠিক তেমনি যেসব হক্কানী কামেল মোকাম্মেল ইমামরা ইসলামকে গবেষনা করে যে পথ গুলো মানুষকে বলেছেন তিনিদের মত ও পথকে চিনিবার জন্যই কাদরিয়া, চিশচিয়া, নক্সবন্দিয়া, মোজাদ্দেদীয়া নাম গুলো হয়েছে। এই নাম বা পথগুলো ইসলামকে বিভক্ত করেনি বরং ইসলামকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছে।
কেউ যদি মনে করে আমি কোন তরিকা মানব না তাহলে সে করতে পারে কিন্তু ইসলামের লক্ষ লক্ষ হাদিস বা কোরআনের মর্ম বুঝার জন্য সারা জিবন কেটে যাবে কিন্তু কতটুকু বুঝতে পারবে মানুষ।
পীর শব্দটি কি কোরআনে আছে
কোরআনে যেমন-নামাজ রোজা কথা পাওয়া যাবে না, ঠিক তেমনি পীর শব্দটিও পাওয়া যাবে না। পবিত্র কোরআন শরীফে নামাজ নামটি নেই আছে সালাত, রোজা নামটি নেই আছে সাওম। ঠিক তেমনি পীর শব্দটি নেই আছে ওলী, সিদ্দিকীন, সাদেকিন, সালেহীন, মোত্তাকিন, মোহসেনিন, শায়েখ। নামাজ রোজা পীর শব্দ গুলো ফার্সি ভাষা। আমাদের দেশগুলোতে ফার্সি ভাষায় প্রচলিত। যদি নামাজ রোজা আমরা বলতে পারি তাহলে ওলী বা শায়েখকে পীর ডাকতে পারবেন না কেন।
সবচেয়ে বড় কথা হলো- আমরা স্কুলের বই পড়তে গেলে, বুঝতে গেলে একজন শিক্ষকের দরকার হয়, তাহলে ইসলামকে বুঝতে জানতে শিক্ষকের প্রয়োজন হবে না কেন।
কোরআনে আল্লাহ বলেন-
আর অনুসরণ কর তার পথ, যে আমার অভিমুখী হয়। তারপর আমার কাছেই তোমাদের প্রত্যাবর্তন। তখন আমি তোমাদেরকে জানিয়ে দেব, যা তোমরা করতে। সূরা লুকমান ( আয়াত নং – ১৫ )
আরো ভালভাবে জানার জন্য নিচের ভিডিওটি দেখুন, ওয়াজ করেছেন মুফতি মাসুদুর রহমান হামিদী–
আরো জানুন-