সুস্থ্য থাকার প্রয়োজনীয় তথ্য গুলো জেনে নিন

আমাদের জীবনে বেচে থাকার জন্য প্রথমে চলে আসে সুস্থ্য থাকার ব্যাপারটা। আর নিজেকে সুস্থ্য রাখার জন্য আমাদের অনেক কিছু মেনে চলতে হয় এবং অনেক প্রয়োজনীয় খাবার খেতে হয়।
আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে সুস্থ্য থাকার প্রয়োজনীয় তথ্য জানতে পারবেন। যেগুলো মেনে চললে আমাদের সুস্থ্য থাকা অনেক সহজ হয়ে যাবে।
গম চারার রসঃ
উৎকৃষ্ট পথ্য ও উচ্চ মানের জীবন্ত ক্লোরোফিল
গম চারার রস পান করার অর্থ সূর্যের শক্তি পান করা
- নিয়মিত পান করলে মেল এবং ফিমেল হরমোনের নিঃস্বরণ স্বাভাবিক করে বংশ বৃদ্ধিতে সহায়ক ভুমিকা পালন করে।
- নিয়মিত পান করলে সমস্ত রোগ নিরাময় হবে এবং এক ধরনের অলৌকিক শক্তি অনুভুত হবে। ক্লোরোফিল শরীরের ভিতর ও বাহিরের সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ করে।
- রক্তশূণ্য রোগীরা ৪-৫ দিন সেবন করলে রক্তশূণ্যতা কমে আসবে।
- শরীরকে টক্সিন মুক্ত করে। অতিরিক্ত এসিড নিস্ক্রিয় করে। এই রস প্রচুর ভিটামিন, মিনারেল এ্যামাইনো এসিড এবং ৭০ ভাগ ক্লোরোফিল সমৃদ্ধ।
- শ্বাস-প্রশ্বাস সাবলিল রাখে, রক্তে (পিএইচ)এর মাত্রা সঠিক রাখে।
- সুক্ষ্ম রক্তবাহী নালীর কার্যক্ষমতা বাড়ায় ফলে হার্ট এর কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে এবং রক্তের চাপ স্বাভাবিক থাকে।
- হজমে সহায়ক, লিভারের টক্সিন পরিস্কারক।
- রক্তের উচ্চচাপ ও সুগার নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা আছে।
পানির ৫টি রূপ
- সকালে ঘুম থেকে উঠে (বাসিমুখে) ৬০০ মিলি পানি পান-অমৃত
- সারাদিন ধরে ২ থেকে ২.৫ লিটার পানি পান দেহের চালিকা শক্তি
- অসুস্থ্য অবস্থায় কুসুম গরম পানি –ঔষধ
- খাবার আধাঘন্টা পর পানি পান –টনিক
- খাবারের সাথে বা পরপর পানি পান –বিষ
- সারাদিন ধরে অল্প অল্প করে পানি পান করুন। সকালের বাসি মুখে পানি পানন ছাড়া কখনও এক গ্লাস পানি একবারে নয়। গোসলের আগে এক গ্লাস পানি পান করা উত্তম।
- তৃষ্ণা লাগা মানেই হলো আপনি ডিহাইড্রেট হয়ে গেছেন, শরীর আপনাকে বিপদ সংকেত দিচ্ছে।
- শীতের সময় তৃষ্ণা না লাগলেও পানি পান করতে হবে।
- একসাথে অনেক পানি পান করলে কিডনির উপর চাপ পড়ে, এতে কিডনি ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে।
- রাতে ঘুমের আগে পানি পান থেকে বিরত থাকুন।
লেবু মধু কুসুম গরম পানি
লেবু মধু কুসুম গরম পানি এসিড তৈরী করে না বরং কমায়
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ও হজম শক্তি বাড়ায়
- ওজন কমাতে সাহায্য করে
- রক্তে এসিড এ্যালকালাইনের ভারসাম্য রক্ষা করে
- ত্বকের উজ্জ্বলতা ও কোমলতা বৃদ্ধি করে
- রক্তনালী সমূহকে পরিস্কার রাখে ও ক্ষত সারাতে সাহায্য করে
- এনার্জি বাড়িয়ে মুড ভাল রাখে
- ঠান্ডা জনিত সব ধরণের এলার্জি থেকে রক্ষা করে।
সুস্থ্যতার মূল সূত্র
প্রাকৃতিক চিকিৎসা মতে রোগ একটাই, রোগের কারণও একটাই এবং রোগ নিরাময়ের পথও একটাই-
তা হলো রক্তে এসিড (অম্লতা) ও ঘনত্ব বেড়ে এর গতি মন্থর হয়ে যাওয়া এবং রক্তে অক্সিজেন কমে টক্সিড হয়ে যাওয়া।
আর নিরাময়ের পথও একটাই, তাহলো ডি-টক্সিফিকেশনের মাধ্যমে শরীরকে দূষিত টক্সিন মুক্ত করে রক্তের সাবলিল গতি ফিরিয়ে আনা।
প্রাকৃতিক চিকিৎসা বিশেষভাবে নিয়নিস্ত্রত জীবন চর্চা।
অভ্যাসগত প্রকৃতি বিরুদ্ধ খাদ্যভাস ও দৈনন্দিন ক্রিয়াকর্ম সংস্কার করে প্রাকৃতিক বিধান মেনে চললে যে কোন রোগের আরোগ্যের জন্য বিশেষ কোন ঔষদের প্রয়োজন পড়ে না।
সুস্থ্য থাকার কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য
- নানা প্রকার খাদ্য এক সঙ্গে খেলে হজমের ব্যাঘাত ঘটে।
- খাবার খাওয়ার পর কোন ফল খাওয়া যাবে না। ফল সব সময় আলাদা এবং খালিপেটে খেলে শরীর ফলের সমস্ত পুষ্টি গ্রহণ করতে পারে।
- খাওয়ার কমপক্ষে ৩০ মিনিট পর পানি পানের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। এটা হজমের জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
- মিষ্টি এবং টকফল একসঙ্গে খাওয়া উচিত নয়।
- ঘুম থেকে উঠে খালিপেটে এক গ্লাস কুসুম গরম পানি ও এক চা চামচ লেবুর রস খাওয়ার অভ্যাস করুন।
- প্রাতঃ ভ্রমণের অভ্যাস গড়ে তুলুন। খাবার প্রফুল্লচিত্তে ভালোভাবে চিবিয়ে ধীরে সুস্থ্য খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
- দিনে দুই প্রকার (সিজনাল) মৌসুমী টকজাতীয় বা অন্য যে কোন ফল খাবার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

শেষ কথা আশা করি স্বাস্থ্য বিষয়ক টিপস জেনে উপকৃত হলেন। এই লেখাটি এই লিফলেট থেকে নেওয়া হয়েছে। এই লিফলেটটি অনেক দিন আগে এক মহত ব্যক্তি মানুষের মাঝে বিনামূল্যে প্রচার করছিলেন মানুষের কল্যানের জন্য, ওই লিফলেটটিই এখানে তুলে ধরা হলো। কিন্তু দুঃখজনক ভাবে ওই লিফলেটে কারো নাম ছিল না তাই দেওয়া যাইনি। তারপরও এখানের তথ্য গুলো যাচাই বাচাই করে পালন করবেন নিজ দায়িত্বে।