আর্থিক লেনদেনের চুক্তিপত্র নমুনা, নগদ টাকা গ্রহণের অঙ্গিকারনামা

আমাদের যখন টাকার প্রয়োজন হয় ব্যবসায়ের প্রয়োজনে বা অন্যান্য প্রয়োজনে, তখন নগদ টাকা প্রয়োজন মেটাতে অনেক পন্থার মধ্যে একটি পন্থা হল কারো কাছ থেকে টাকা নেওয়া। এই টাকা নেওয়ার সময় আমরা কিছু না কিছু সুবিধার মাধ্যমে অনেক সময় নিতে হয়। এর মধ্যে অন্যতম হলো কারো যদি কোন ধরনের ব্যবসা থাকে আর যদি কারো কাছ থেকে টাকা গ্রহন করি তখন সেই ব্যবসা থেকে লাভের কিছু অংশ দেওয়ার অঙ্গিকার করা হয় এবং গ্রহণকৃত টাকা কখন দিব তার একটা অঙ্গীকার করা হয়। আজকের এই আর্টিক্যাল এর মাধ্যমে জানতে পারব কিভাবে নগদ টাকা গ্রহণের অঙ্গিকারনামা তৈরি করতে হয়।
আর্থিক লেনদেনের চুক্তিপত্র লেখার নিয়ম, টাকা লেনদেনের চুক্তিপত্র লেখার নিয়ম কি কি জানতে পারবেন।
নিচে নগদ টাকা গ্রহণের অঙ্গিকারনামা এর নমুনা দেওয়া হলোঃ-
নগদ টাকা গ্রহণের অঙ্গিকারনামা
মোঃ হোসেন, পিতা-মোঃ আমিনুল ইসলাম, মোসাঃ স্বপ্না বেগম, ঠিকানাঃ গ্রামঃ রায়পুর, ডাকঘরঃ হাবলাউচ্চ, থানাঃ সদর, জেলাঃ বি-বাড়িয়া, ধর্ম-ইসলাম, জাতীয়তা-বাংলাদেশী, জাতীয় পরিচয়পত্র নং- ৮৮৫৫২২২৩১।
—— ১ম পক্ষ/দাতা।
মোঃ ফখরুল, পিতাঃ খুরশেদ, মাতাঃ রানুয়ারা বেগম, ঠিকানাঃ গ্রামঃ ভিটিদাউদপুর, ডাকঘরঃ পাহারপুর, থানাঃ সদর, জেলাঃ বি-বাড়িয়া, ধর্ম-ইসলাম, জাতীয়তা-বাংলাদেশী, জাতীয় পরিচয়পত্র নং- ৫৪৫৬৪৬৫২।
——– ২য় পক্ষ/গ্রহীতা।
পরম করুনাময় অসীম দয়ালু মহান আল্লাহ তায়ালার নাম স্মরণ করিয়া নগদ টাকা ঋণ গ্রহনের অঙ্গীকারনামার বয়ান আরম্ভ করিতেছি যে, আমি ২য় পক্ষ আমার ব্যবসায়িক পারপাসে গাড়ীর কেনার জন্য নগদ ২,০৫,০০০/- (দুই লক্ষ পাঁচ হাজার) টাকা প্রয়োজন হলে ১ম পক্ষের নিকট হইতে নি¤œলিখিত শর্তাবলীর সাপেক্ষে নগদ উক্ত টাকা গ্রহন করিলাম।
চলমান পাতা-০২
পাতা নং-০২
শর্তাবলী
১। আমি ২য় পক্ষ নগদ ২,০৫,০০০/- (দুই লক্ষ পাঁচ হাজার) টাকা ২৭ (সাতাশ) মাসের মেয়াদে গাড়ী ব্যবসার জন্য ১ম পক্ষ হইতে নেয়া হল। যাহার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর অর্থাৎ ০৯/০১/২০২১ইং তারিখে হইতে ০৮/০৪/২০২৩ইং তারিখে গাড়ী ব্যবসায় লভ্যাংশ ৪১,৫১২/- (এক চল্লিশ হাজার পাঁচশত বার) টাকা, আসল ২,০৫,০০০/- (দুই লক্ষ পাঁচ হাজার) টাকাসহ মোট ২,৪৬,৫১২/- (দুই লক্ষ ছিচল্লিশ হাজার পাঁচশত বার) টাকা ১ম পক্ষকে বুঝাইয়া দিবে।
২। ২৭ (সাতাশ) মাস পর উক্ত ২,৪৬,৫১২/- (দুই লক্ষ ছিচল্লিশ হাজার পাঁচশত বার) টাকা ব্যাপারে কোন তালবাহানা বা গড়িমসি করি তাহলে ১ম পক্ষ ২য় পক্ষের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারবে। তাহাতে ২য় পক্ষের কোন প্রকার ওজর আপত্তি থাকিবে না।
৩। অত্র চুক্তির মেয়াদের মধ্যে আমি ২য় পক্ষ অর্থাৎ ০৮/০৪/২০২৩ইং তারিখের মধ্যে ১ম পক্ষের বরাবরে ২,৪৬,৫১২/- (দুই লক্ষ ছিচল্লিশ হাজার পাঁচশত বার) টাকা ফেরত প্রদান করিব। যদি চুক্তির মেয়াদের মধ্যে ১ম পক্ষের বরাবরে উক্ত টাকা ফেরত দিতে ব্যর্থ হয় তাহলে উক্ত মেয়াদের পরে প্রতি মাসের জন্য মূল টাকার ১০% লভ্যাংশ ক্ষতিপূরন দিতে বাধ্য থাকিবে।
৪। অত্র চুক্তিপত্রের বলে আপনি ১ম পক্ষ আপনি ২য় পক্ষের বিরুদ্ধে আইন আদালতের মাধ্যমে আপনার প্রদত্ত টাকা ক্ষতিপূরণসহ আমি ২য় পক্ষের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি হইতে আদায় করিয়া নিতে পারিবেন, ইহাতে আমি ২য় পক্ষ কিংবা আমার অবর্তমানে আমার স্থলবর্তী ওয়ারিশবর্গের কাহারও কোন প্রকার ওজর আপত্তি থাকিবে না বা কিংবা ওজর আপত্তি করিলেও উহা সর্ব আইন আদালতে অগ্রাহ্য বাতিল বলিয়া গন্য হবে।
চলমান পাতা-০৩
পাতা নং-০৩
এতদ্বার্থে স্বেচ্ছায় স্বজ্ঞানে সুস্থ্য শরীরে সুস্থ মস্তিস্কে, স্থির বুদ্ধিতে অন্যের বিনা প্ররোচনায় অত্র ঋণ গ্রহণের অঙ্গীকারনামা আমি ২য় পক্ষ নিজে নিজে পাঠ করিয়া এবং অন্যের দ্বারা পাঠ করাইয়া ইহার মর্মার্থ ও ফলাফল ভালভাবে অবগত হইয়া নি¤œ স্বাক্ষরকারী স্বাক্ষীগণের মোকাবেলায় সহি সম্পাদন করিলাম, ইতি, তাং-
প্রথম পক্ষের স্বাক্ষর
দ্বিতীয় পক্ষের স্বাক্ষর
স্বাক্ষীগণের স্বাক্ষরঃ
১।
২।
৩।
আরো পড়ুন-
- তারাবির নামাজ বিশ রাকাতের দলিল সহিহ হাদিস
- রাসূল সাঃ এর রওজা মোবারক বলার দলিল কোরআন হাদিস থেকে
- রাসুল সাঃ এর নাম শুনে আঙ্গুলে চুমু খাওয়া চোখে মালিশ করার ফজিলত
- রাসূল সাঃ সৃষ্টি না হলে কিছুই সৃষ্টি হত না কোরআন হাদিসের দলিল
- নামাজে বুকে হাত বাধার সহিহ হাদিস আছে কি? একটাও নাই