ইসলাম নলেজজানা-অজানাবাংলা ব্লগ

হযরত ইউনুস আঃ মাছের পেটে যাওয়ার ঘটনা বিজ্ঞানীরা প্রমাণ পেলেন

এই পোষ্টে জানতে পারবেন হযরত ইউনুস আঃ মাছের পেটে যাওয়ার ঘটনা বিজ্ঞানীরা প্রমাণ পেলেন কিভাবে। ইউনূস নবীর অলৌকিক কাহিনী।

ইউনূস নবীকে মাছে গিলে ফেলার ব্যাপারে বিজ্ঞানীরা প্রমান পেলেন, Hazrat Yunus (Alaihe Wasallam)

বিজ্ঞানীরা কি এমন কিছু খুঁজে পেয়েছেন যা বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করতে বাধ্য হয়েছে তিমি মাছের পেটে বেঁচে থাকা কি সম্ভব। হজরত ইউনুস (আলাইহে ওয়াসাল্লাম) কিভাবে তিমি মাসের পেটে বেঁচে ছিলেন। তিনি কি একমাত্র মানুষ যিনি জীবিত সেখান থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন। বিজ্ঞানীরা এই বিষয়ে গবেষণা করে কি পেয়েছেন।

বিজ্ঞানীরা প্রমাণ করুক অথবা না করুক তাতে আমাদের কিছুই যায় আসে না। কিন্তু বিজ্ঞানের এই আবিষ্কার ‘অমুসলিম ভাইদের বোঝাতে আমাদের আরো সাহায্য করবে।

হযরত ইউনুস আঃ মাছের পেটে যাওয়ার ঘটনা

মহান আল্লাহ তায়ালা মহাবিশ্বের প্রতিটি জিনিসের স্রষ্টা। আল্লাহ তায়ালা হজরত ইউনুস (আলাইহে ওয়াসাল্লাম)কে তাদের অদিবাসীদের মধ্যে ইসলাম প্রচারের জন্য পাঠান। সেখানকার অধিবাসীরা তাদের সৃষ্টিকর্তাকে ভুলে গিয়েছিল। হজরত ইউনুস (আলাইহে ওয়াসাল্লাম) তাদের হেদায়েতের পথ দেখানোর চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু সবই বৃথা হয়েগিয়েছিল। হজরত ইউনুস (আলাইহে ওয়াসাল্লাম) জনগণের অবহেলায় হতাশ হয়েছিলেন এবং তাদের সতর্ক করেছিলেন যে, আল্লাহর পক্ষ থেকে তাদের উপর আযাব অত্যান্ত নিকটবর্তী। এই বলে তিনি সেই রাতে শহর ছেড়ে চলে যান।

শহর ছেড়ে চলে যাওয়ার পর, এদিকে মানুষেরা আজাবের চিহ্ন দেখে ভয়ে কান্নাকাটি করে ও আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়েছিল। তারা বুঝতে পারল হজরত ইউনুস (আলাইহে ওয়াসাল্লাম) সঠিক ছিলেন। এদিকে মহান আল্লাহতালা যিনি আমাদেরকে আমাদের মায়ের চেয়ে সত্তুর গুণ বেশি ভালোবাসেন। তিনিই সেই জাতিকে ক্ষমা করে দেন। হজরত ইউনুস (আলাইহে ওয়াসাল্লাম) ফিরে এসে দেখলেন এই জনপদের কোন ক্ষতি হয়নি। তিনি আবার শহর ছেড়ে চলে গেলেন, তিনি ভাবলেন লোকেরা তাকে মিথ্যাবাদী বলবে। এইভাবে তিনি ব্যর্থতা থেকে দূরে পালানোর জন্য একটি জাহাজে চড়ে দূরে যেতে চাইলেন। হঠাৎ একবার সমুদ্রে একটি বড় তুফান দেখা দিল এবং জাহাজে থাকা সবাই জীবন হারানোর ভয় আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। জাহাজের লোকেরা গণনার পর হজরত ইউনুস আলাইহিস সালামকে সাগরে নিক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু তাকে পানিতে ফেলে দেওয়ার পর অসাধারণ ঘটনা ঘটে যায়। আল্লাহ তায়ালা একটি তিমিকে নির্দেশ দেন যে, হজরত ইউনুস (আলাইহে ওয়াসাল্লাম)কে গিলে ফেলার জন্য। এবং তিমিটি তাকে গিলে নিয়ে গভীর অন্ধকার সমুদ্রে চলে গিয়েছিল। তিনি জানতেন যে তিনি বেঁচে আছেন কিন্তু ভাবতে লাগলেন এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার কোনো উপায় আছে কি? তিনি মহান আল্লাহতালার কাছে এই বলে ক্ষমাপ্রার্থনা করলেন যে, তুমি ছাড়া কোন উপাস্য নেই, তুমি মহিমান্বিত, প্রকৃতপক্ষে আমি অন্যায়কারি।

তখন সমস্ত মাছ গাছপালা এবং তিমি একসাথে আল্লাহর প্রশংসা করল এবং তিমি মাছ গভীর অন্ধকার সমুদ্র ছেড়ে সমুদ্রের উপরে উঠে আসলো। এবং হজরত ইউনুস আলাইহিস সালামকে তীরে ফেলে রেখে গেল। হজরত ইউনুস (আলাইহে ওয়াসাল্লাম) সেই সময় নবজাতক শিশুর মত দুর্বল ছিলেন। হজরত ইউনুস (আলাইহে ওয়াসাল্লাম) যেখানে আশ্রয় নিয়েছিলেন সেখানে আল্লাহতায়ালা একটি কুমড়ো লতা জন্মানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। এবং একটি বন্য ছাগলকে তার কাছে পাঠান। যে তাকে দুধ পান করাতো। এতে তিনি তার শক্তি ফিরে পেয়ে তার এলাকায় ফিরে যান।

হযরত ইউনুস আঃ মাছের পেটে যাওয়ার ঘটনা বিজ্ঞানীরা প্রমাণ পেলেন

হযরত ইউনুস আঃ তিমির পেটে বেঁচে থাকার কিন্তু এটাই একমাত্র ঘটনা ছিল না। ১৮৯১ সালে একটা লোক হকল্যান্ডে তিমি শিকারে গিয়েছিলেন। তাদের জাহাজটিকে একটি তিমি আক্রমণ করে তখন জেমস বাটলি নামে একজন সাগরে পড়ে গিয়েছিলেন। তার সঙ্গীরা ভেবেছিল সে হয়তো ডুবে গেছে তারা শিকার অব্যাহত রাখে এবং তিমিটিকে ধরতে সফল হয় কিন্তু এটি তাদের জন্য বিস্ময়কর ঘটনা ছিল। যখন তারা পরবর্তীতে জেমসকে সে তিমির পেটে খুঁজে পেয়েছিল এই ঘটনা সবার মনে তোলপাড় সৃষ্টি করে। সমস্ত পত্রিকা গুলো, টেলিভিশন এবং ম্যাগাজিন তাকে আধুনিক যুগের ইউনুস বলা শুরু করে। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন যে, তিনি পানির স্রোতের সাথে তিমির মুখে ঢুকে গিয়েছিলেন।

তিমি একটি সরু পথ দিয়ে নিচে পড়ার মতো অনুভব করলেন এবং তারপর একটি অন্ধকার সাদা জায়গায় অবতরণ করলেন। তিনি শ্বাস নিতে সক্ষম ছিলেন কিন্তু প্রতিটি শাঁসের সাথে তিনি অনুভব করলেন নাকের ভেতর দিয়ে উষ্ণ কিছু একটা ডুকছে। তাকে চৌদ্দ দিন পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল। এবং তিনি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু এটা কিভাবে সম্ভব হলো। বিজ্ঞান কি এটা সমর্থন করে এই ঘটনা বিজ্ঞানের জগতকে একটি অস্পষ্টতার দিকে ঠেলে দেয়। তখন তদন্ত শুরু করেছিলেন। তখন তারা জানতে পেরেছিলেন যে, এটি সম্ভব, তিমি একটি জাবর কাটা প্রাণী, অর্থাৎ এর পাকস্থলী চার ভাগে বিভক্ত, সেখানে ক্ষতি করার জন্য কোন অ্যাসিটিক গ্যাস্ট্রিক রস নেই। সেখানকার তাপমাত্রা স্বাভাবিক তাপমাত্রার চেয়ে সামান্য বেশি, জ্বর আসার মত মনে হয়। 

এখন প্রশ্ন থাকে বাতাস ছাড়া সেখানে কিভাবে শ্বাস নেওয়া যায়। তিমির পাকস্থলীতে পর্যাপ্ত অক্সিজেন আছে যা একজন মানুষকে জীবিত রাখতে পারে। এবং সে শ্বাস নিতে পারে সুবহানাল্লাহ। একজন বিখ্যাত নিউজ এডিটর এমডি পল নিউজে জেমসের কেস তদন্ত করে বলেছেন যে, হজরত ইউনুস (আলাইহে ওয়াসাল্লাম) এর ঘটনা নিয়ে সন্দেহ করার কিছুই নেই। চৌদ্দশত বছর আগে আল্লাহতালা আমাদের সবকিছু বলে দিয়েছেন। যা এখন বিজ্ঞানীরা প্রমাণ করেছেন। যেমন পবিত্র কোরআন বলছে মুমিনদের জন্য নিদর্শন রয়েছে।

হজরত ইউনুস (আলাইহে ওয়াসাল্লাম) এর জীবনী আমাদের বলে যে, কিভাবে একজন মানুষ কঠিন পরিস্থিতিতে সহজে হাল ছেড়ে দিতে পারে না। 

আমাদের কখনোই সর্বশক্তিমান আল্লাহ তায়ালার উপর বিশ্বাস হারানো যাবে না। আল্লাহ তা’আলা কখনোই তার ওপর বিশ্বাসীদেরকে একা ছেড়ে দেন না। মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ তায়ালা আমাদের ঈমানকে দৃঢ় করে দিন। আমিন।

ইউনুস আঃ অলৌকিক কাহিনী

আরো পড়ুন-

Quick Bangla

বাংলা তথ্যভিত্তিক ওয়েবসাইট হিসেবে পরিচালিত এই সাইটটি। তাই বাংলায় অনেক ধরনের তথ্যই এখানে পেয়ে যাবেন। আশা করি সঠিক তথ্য বিষয়বস্তু জানতে পারবেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Close

Adblock Detected

Please Turn off ad blocker