ইসলাম নলেজইসলামিক প্রশ্ন উত্তর

শবে বরাত পালন করা জায়েজ কোরআন হাদিস থেকে প্রমাণিত

এই পোষ্টের মাধ্যমে পবিত্র শবে বরাত পালন করা জায়েজ কোরআন হাদিস থেকে প্রমাণিত জানতে পারবেন। আশা করি যাদের সহি উত্তর পেয়ে যাবেন।

শবে বরাত নিয়ে কোরআন হাদিস থেকে আলোচনা করার আগে আমার ব্যক্তিগত কিছু কথা বলে নেই। –

আমরা ছোট থাকতে দেখতাম আমাদের সমাজের অনুষ্ঠান বলতে দুই ঈদ, শবে মেরাজ, শবে বরাত, রোজার ২৭শের রাত, ঈদের আগের দিন, ১০ই মহরম, পথেলা বৈশাখ এই সব অনুষ্ঠান ছিল। তখন শুধু বেশির ভাগই ঈদে নতুন কাপড় পড়তাম। শবে মেরাজ পালন করতাম কিন্তু কিছুটা কম, বেশিরভাগ মুরুব্বিরা পালন করত। শবে বরাত এত জাকজমক ভাবে পালন করতাম তা এখনের বাচ্চাদের কাছে কল্পনার বাহিরে (সারা রাত জেগে থেকে বিভিন্ন মসজিদে নামাজ পড়া, আগরবাতি জালানো, তখন বিদ্যুৎ ছিলনা তাই মোম জালানো, বিভিন্ন গ্রুপ করে জিকির করা)। রোজার ২৭শের রাত মানেই নামাজ পড়া আর একটু খুশি খুশি ভাব ঈদ এসে গেছে, আর এই রোজা তো রাখতেই হবে এই রোজার অনেক ফজিলত, বিশেষ করে বাচ্চাদের বোঝানো হত অনেক ফজিলত যাদের রোজা রাখার বয়স হয়নি, তারা ১ম রোজা ২৭রোজা আর শেষ রোজা রাখার মাধ্যমে রোজা রাখা শিখত। ঈদের খুশি মানেই আলাদা বিষয়, সবার বাড়ি বাড়ি যাও সালামি নেও মিষ্টি মুখ কর। ১০ই মহরমে মানুষ দুইটা রোজা রাখত, আমরা রোজা না রাখলেও ইফতার পেতাম, রুটি খেতাম। আর সবশেষে বলি যেটা ইসলামিক না আবার বাহিরেরও না সেটা হলো পথেলা বৈশাখ, পথেলা বৈশাখে ভাল খাবার খেতাম, বেশি বেশি বই পড়তাম, ভাল আচরণ করতাম, কারো সাথে মনমালিন্য করতাম না, এগুলো মায়েরা শিখাতো (যদিও বৈশাখ ইসলাম না কিন্তু যার যার সমাজের নিজস্ব কিছু কালচার থাকে যেমন আমরা লুঙ্গি পড়ি সেলাই করে কিন্তু আরবের এটা কালচার না, এগুলো আমাদের কালচার, সে হিসেবে পথেলা বৈশাখে যে আচরণগুলো শেখানো হতো সেগুলো ইসলামের বাহিরে না, যেমন-মানুষের সাথে ভাল ব্যবহার করা, বই পড়া, নতুন পরিষ্কার কাপড় পড়া।

এখন বর্তমান জামানায় এই সব অনুষ্ঠান গুলো কুটকৌশলে কিছু নামদারী আলেমদের মাধ্যমে বন্ধ করা হয়েছে। দেখুন লাভ কি হয়েছে, লাভ হয়েছে বিধর্মীদেরই, তাদের কালচারগুলোই চলে এসেছে ইসলামের অনুষ্ঠান গুলো বন্ধ করাতে। যেমন-থার্টি ফাস্ট নাইট হ্যাপী নিউ ইয়ার, ১৪ই ফেব্রুয়ারী ভালবাসা দিবস, হলি ইত্যাদি। আগে মানুষ এগুলো কোন অনুষ্ঠান পালন করতো না। জ্ঞানীরা বলে থাকে প্রকৃতি শূণ্যস্থান পছন্দ করে না, শূণ্যস্থান কিছু না কিছু দিয়ে পূরণ হয়ই। যারা ১০০বছর পরে কি হবে করে প্লেন করতে পারে, যারা বুদ্ধি খাটাতে পারে এটা করলে এটা হতে পারে, তারাই এই সব আলেমনামদারিদের দিয়ে ইসলামের রীতি কালচার গুলোকে আগে ধংস করেছে, আপনি মানুন আর না মানুন এটা আমার বিশ্বাস হয়।

১৪০০ বছর পর্যন্ত শবে মেরাজ নিয়ে বিতর্ক ছিল না, শবে বরাত নিয়ে বিতর্ক ছিলনা, ১০ই মহরম নিয়ে বিতর্ক ছিলনা, তারাবির নামাজ ২০ রাকাত বিতর্ক ছিলনা, নবীজি আল্লাহর নূর বিতর্ক ছিলনা, নবীজি আমাদের সাফায়েত করবে বিতর্ক ছিলনা, নবীজি হায়াতুননবী বিতর্ক ছিলনা, নবীজি হাজের-নাজের বিতর্ক ছিলনা। মাযহাব নিয়ে বিতর্ক ছিলনা, এসব বিতর্ক করা হচ্ছে স্বার্থঅন্বেষী কিছু আলেমদের মাধ্যমে। যারা টাকার কাছে বিক্রি হয়ে গেছে কিন্তু উপরের লেবাসে আর জ্ঞানের মাধ্যমে তারা ইসলামে বিতর্ক সৃষ্টি করছে। আর কথায় কথায় শিরক ও বেদাত ফতোয়া দিচ্ছে।

(((যাইহোক ধর্ম আপনার, আপনার কবরে আপনাকেই যেতে হবে, তবে আল্লাহ জ্ঞান পাপীদের থেকে দূরে থাকতে বলেছেন।)))

(একটা কাহিনী বলি বিশ্ব নবী সাঃ এর লাশ চুরি ও ইহুদী চক্রান্ত নিয়ে- নবীজি (সাঃ) এর রওজা শরীফ থেকে নবীজিকে নিয়ে যেতে এসেছিল দুইজন ইহুদি। তারা এই কাজ করার জন্য ইসলামের সকল নিয়ম কানুন ও পড়াশুনা করে, তারপর বুযুর্গব্যক্তির সাজে সজ্জিত হয়ে মদিনায় আসে, তখন তারা নবীজির রওজা শরীফের কাছে বাসা নেয়, তাদের আচার আচরণ কথা বার্তায় সেখানের লোকজনদের কাছে অনেক পছন্দনীয় হয়ে উঠে, তারা দান করত, বেশি বেশি নামাজ পড়ত, দাড়ি পাগরি লেবাসে একদম ফেরেস্তা সাজ, অনেক ফরহেজগার দেখে মানুষ তাদেরকে ভাল পেতে থাকে। তারা মদিনায় কয়েক বছর থাকে আর তাদের থাকার জায়গা থেকে মাটির নিচ দিয়ে সুরঙ্গ করতে থাকে, একেবারে নবীজির রওজা মোবারক পর্যন্ত। তারা সারা দিন মাটি খনন করে আর রাতের বেলায় সে মাটি মদিনার বাহিরে নিয়ে ফেলে আসে। এভাবে অনেক বছর করার পর আর ৫থেকে ৭ দিন ছিল, তারা মাটি কাটলে নবীজিকে রওজা থেকে নিয়ে যেতে পারত।

কিন্তু তখন সুলতান নূরুদ্দীন জাঙ্কি (র:) আরেকটি দেশের বাদশা তাহাজ্জুদ ও দীর্ঘ মুনাজাতের পর ঘুমিয়ে পড়ার পর স্বপ্নে দেখলেন রাসুল (সাঃ) তার কামরায় উপস্থিত হয়ে বলতেছেন দু’জন নীল চক্ষু বিশিষ্ট লোকের দিকে ইঙ্গিত করে বললেন এরা আমাকে বিরক্ত করছে, এ দুজন থেকে আমাকে মুক্ত কর। তিনবার এ স্বপ্ন দেখার পর তিনি তার ষোল হাজার দ্রুতগামী অশ্রারোহী সৈন্য এবং বিপুল ধন সম্পদ নিয়ে বাগদাদ থেকে মদিনা অভিমুখে রওয়ানা হলেন। সৈন্য নিয়ে এসে বিভিন্ন কৌশলে তাদেরকে ধরে ফেলে এবং নবীজির রওজা মোবারকের চারপাশ শীসা পাথর দিয়ে ঢালাই করে দেয়, যেন এই কাজ ভবিষ্যতে কেউ আর করতে না পারে।

যাই হোক এই কাহিনী দিয়ে বুঝাতে চেয়েছি যারা ইসলামে শত্রুতা করতে চাইবে তাদেরকে এরকমভাবেই ফরহেজগার মনে হবে কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তারা ইসলামের শত্রু। )

শবে বরাত পালন কি

বিশ্ব মুসলমানের নিকট অন্যতম একটি রাত হলো শবে বরাত বা লাইলাতুল বরাত। প্রতি বছর শাবান মাসের ১৫ তারিখ রাতে এই মহিমান্বিত রাতটি উদযাপিত হয়। তবে এই উপমহাদেশে এই রাতটি ‘শবে বরাত’ বা ‘শব-ই-বরাত’ নামে সুপরিচিত। এই রজনী খুবই পুণ্যময় রাত। আরবি-ভাষায় এই রাতটিকে ‘লাইলাতুল বরাত’ নামে অভিহিত করা হয়েছে।

মহান আল্লাহ ও তাঁর পবিত্র রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি যার সামান্যতম বিশ্বাসও আছে তার কাছে এই রাতটি খুবই পুণ্যময় ও বরকতময় বলে মনে হবে।

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বয়ং এই রাত পালন করতেন। আর তিনি এই পবিত্র রাতে মহান আল্লাহর ইবাদতে মশগুল থাকতেন।

শবে বরাত পালন করা জায়েজ কোরআন থেকে প্রমাণিত

এই ফজিলতপূর্ণ রাতের ব্যাপারে পবিত্র কুরআনেও সুস্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে।

সুরা দুখান-এর ১-৪ নাম্বার আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন-

হা-মীম, এই স্পষ্ট কিতাবের শপথ, নিশ্চয়ই আমি তা বরকতময় রাতে অবতীর্ণ করেছি। নিশ্চয়ই আমি সতর্ককারী। এই রাতে বণ্টন করে দেওয়া হয় প্রত্যেক হিকমতের কাজ।

এই আয়াতের সঠিক ব্যাখ্যা করা হয়েছে তাফসীরে জালালাইন নামক বিখ্যাত তাফসীরগ্রন্থে। এই সুবিখ্যাতগ্রন্থের ৪১০ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে: নিশ্চয়ই আমি তা বরকতময় রাতে অবতীর্ণ করেছি। আর বরকতময় রাত হলো ‘লাইলাতুল ক্বদর’ (ক্বদরের রাত) অথবা ‘লাইলাতুল নিসফি মিন শাবান’ (শাবানের মধ্যরাত তথা শবে বরাত)। কেননা, এই রাতে উম্মুল কিতাব বা পবিত্র কুরআন শরীফ সপ্তম আসমান থেকে দুনিয়ার আসমানে বা প্রথম আসমানে নাজিল হয়েছে। নিশ্চয়ই আমি সতর্ককারী।

শবে বরাত পালন করা জায়েজ হাদিস থেকে প্রমাণিত

পবিত্র ‘শবে বরাত’-সম্পর্কে আমাদের পবিত্র রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী:
হজরত আলী (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, আমাদের নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর পবিত্র বাণী হলো: “তোমাদের মাঝে যখন শাবান-মাসের ১৫তম রাতের আগমন ঘটে, তখন তোমরা রাতে কিয়াম (ইবাদত) করো, আর দিনে রোযা রাখো। নিঃসন্দেহে আল্লাহতা’আলা সূর্যাস্তের পর থেকে প্রথম আসমানে বিশেষ তাজাল্লী-বর্ষণ করেন, এবং ঘোষণা করেন কেউ কি আছো আমার নিকট ক্ষমা-প্রার্থনাকারী? আমি তাকে ক্ষমা করে দিবো। কেউ কি আছো জীবিকা-প্রার্থনাকারী? আমি তাকে জীবিকাদান করবো। কেউ কি আছো মুসিবতগ্রস্ত? আমি তাকে মুক্তিপ্রদান করবো। কেউ কি এমন আছো? কেউ কি এমন আছো? এভাবে, সূর্যোদয় হওয়া পর্যন্ত মহান আল্লাহ তাঁর বান্দাদের ডাকতে থাকেন।”

পবিত্র শবে বরাত বা লাইলাতুল বরাতের দলিল হাদিসের আলোকে

হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন, রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঘোষণা করেন: “শাবান-মাসের মধ্যবর্তী-রাতে মহান আল্লাহ রহমতের ভাণ্ডার নিয়ে তাঁর সকল সৃষ্টির প্রতি এক বিশেষ ভূমিকায় অবতীর্ণ হন এবং এই রাতে হিংসুক ও হত্যাকারী ব্যক্তি ছাড়া সকলকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়।” [-মুসনাদে আহমদ, ষষ্ঠ খণ্ড, হাদিস নাম্বার-১৬৪২, পৃষ্ঠা-২৩৮।]

হজরত আবু মুসা আশআরী (রা.) রাসুলে করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে বর্ণনা করেন: রাসুলে করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘোষণা করেন, “মধ্য-শাবানের রাত্রিতে আল্লাতা’আলা রহমতের তাজাল্লি ফরমান এবং তাঁর সমস্ত বান্দাকে ক্ষমা করে দেন। কিন্তু মুশরিক বা শত্রুতাপোষণকারী-ব্যক্তিকে ক্ষমা করেন না।” [-ইবনে মাজাহ শরীফ, পৃষ্ঠা নাম্বার-১০০, হাদিস নাম্বার-১৩৮৯; মিশকাত শরীফ পৃষ্ঠা-১১৫।]

হজরত মুয়াজ বিন জাবাল (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “শাবানের রাত্রিতে আল্লাহ দুনিয়ার আসমানে জালওয়া রাখেন, অতঃপর তাঁর সকল বান্দাকে ক্ষমা করে দেন। কিন্তু মুশরিক বা শত্রুতাপোষণকারীকে ক্ষমা করেন না।” [-ইমাম বায়হাকী “শুয়াবুল ঈমান”-এর হাদিস নাম্বার-৩৮৩৩।]

এছাড়াও ‘সিয়াহ সিত্তাহ’ বা ‘বিশুদ্ধ ছয়খানা’ হাদিসগ্রন্থের কোনো-কোনো হাদিসেও এই মহিমান্বিত রাতের বিশেষত্ব-নির্দেশক হাদিস বর্ণিত হয়েছে। অন্যান্য হাদিসগ্রন্থেও এই পবিত্র রাতের বিশেষত্বের উল্লেখ রয়েছে। এই পবিত্র রাতের কথা ইমাম তিরমিযীর বর্ণিত হাদিসেও পাওয়া যায়। আর এই হাদিসঅনুযায়ী জানা যায়: এক-রাতে ইসলামের নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের স্ত্রী আয়েশা ঘুম থেকে উঠে পড়লেন। কিন্তু তিনি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বিছানায় দেখতে পেলেন না। তিনি মুহাম্মদকে সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে খুঁজতে বের হলেন, এবং তাঁকে ‘জান্নাতুল বাকী’ নামক কবরস্থানে দেখতে পেলেন। মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, “শাবানের ১৫ তারিখ রাতে আল্লাহ সর্বনিম্ন আকাশে নেমে আসেন, এবং তিনি (আরবের) কাল্ব-উপজাতির ছাগলের গায়ের পশমের থেকে বেশি লোককে তাদের কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা করেন।” এখানে উল্লেখ্য যে, সেই সময় ‘কাল্ব-গোত্র’ ছাগলপালনে প্রসিদ্ধ ছিল, এবং তাদের প্রচুর ছাগল ছিল। তাই, এখানে ‘কালব-গোত্রে’র প্রসঙ্গ-অবতারণা করা হয়েছে। এই হাদিসের নিচে ইমাম তিরমিযী উল্লেখ করেছেন: হজরত আবু বকর সিদ্দিকও (রা.) এইরকম একটি হাদিস বর্ণনা করেছেন।

শবে বরাতে হালুয়া-রুটি খাওয়া কি জায়েজ

পবিত্র শবে বরাতে হালুয়া রুটি খাওয়া জায়েজ কিনা যদি জানতে চান তাহলে বলব অবশ্যই জায়েজ। হালুয়া-রুটি আপনি যেকোন দিন খেতে পারেন। একটি হালাল খাবার আপনি যেকোন দিনই খেতে পারেন, এটা দুষের কোন কিছু নেই। পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষ্যে যদি হালুয়া-রুটি বা অন্য কোন উৎকৃষ্ট ও পুষ্টিকর খাবার তৈরি করে আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশি, গরীব-মিশকিনদের মাঝে বিতরণ করেন তাহলে অবশ্যই ইসলামের দৃষ্টিতে বৈধ ও জায়েজ এবং অত্যন্ত সওয়াবের কাজ হবে। কারণ শবে বরাত মানেই হলো বরকতময় রজনী, আর আল্লাহ মানুষের মনকে দেখে। আপনার আল্লাহর প্রতি ভালবাসার প্রতিফলন হিসেবে যেটাই দেখবে সেটাই আল্লাহর কাছে পছন্দনীয় হবে।

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সালাম মিষ্টি পছন্দ করতেন, আত্মীয় স্বজনদের ভালবাসতে পছন্দ করতেন, পাড়া প্রতিবেশিকে ভালবাসতে পছন্দ করতেন, গরীব-মিশকিনদের ভালবাসতে পছন্দ করতেন। নবীজি (সাঃ) যা পছন্দ করতেন আল্লাহ তায়ালাও পছন্দ করতেন। যে হিসেবে হালুয়া-রুটি ভাল খাবার আল্লাহর নামে বিতরণ করা ও বরকতময় রাতকে উপলক্ষ করে খুশি হওয়া একটি সোয়াবের কাজ।

আমরা জগতের ভাললাগা বা ভালবাসার জন্য কতকি করি আর পবিত্র শবে বরাত আমাদের জন্য বরকতময় আর এই বরকতময়কে উপলক্ষ করে যদি কিছু ইসলামের ভাল আচরণ প্রদর্শন করি বা করতে চাই তাহলে কি দুষ হতে পারে আপনার মনকে জিজ্ঞাস করুন।

শবে বরাত পালন করা জায়েজ

শেষ কথা হলোঃ

পবিত্র শবে বরাত বরকতময় রাত আল্লাহ ঘোষনা করেছেন। পবিত্র রজনী শবে বরাত নবীজি (সাঃ) নিজে পালন করেছেন। আমাদেরও পালন করতে হবে। যারা শবে বরাতকে মানতে চায় না বলে ফতোয়া দেয় তারা নিজেরা গুমরাহীর মধ্যে আছে এবং সাথে অন্যদেরও গুমরাহীর দিকে নিয়ে যাচ্ছে।

কেউ পবিত্র শবে বরাত পালন করুক আর না করুক প্রকৃত মুসলমানরা ঠিকই পালন করবে। সুন্নী মুসলমানরা ঠিকই পালন করবে ও মানবে। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত ঠিকই পালন করবে।

ইসলামে শুধু শয়তানী নাজায়েজ ও হারাম। সকল ভাল কাজ আল্লাহ তায়ালার কাছে গ্রহণযোগ্য।

আল্লাহ আমাদেরকে ইসলাম বিরুধি চক্রান্ত থেকে মুক্তি দিয়ে, ইসলামের সুশীতল পথে এনে দেড়-হাজার-বছরের ইতিহাস ও ঐতিহ্য ফিরিয়ে দেওয়া হোক। আমিন।

শবে বরাত পালন করা কি জায়েজ, শবে বরাত সম্পর্কে ওয়াজ -হাসানুর রহমান হোসাইনী নক্শেবন্দী

হাসানুর রহমান হোসাইনী নক্শেবন্দী

শবে বরাতের রাতে করনীয়-বর্জনীয় | Mustafa Azhari

শবে বরাত পালন- মোস্তফা আজহারী

আরো পড়ুন-

কৃতজ্ঞতা তথ্য সূত্রে- সাইয়িদ রফিকুল হক

m.somewhereinblog.net/mobile/blog/SyeedRafiqulHaque/30135580

Quick Bangla

বাংলা তথ্যভিত্তিক ওয়েবসাইট হিসেবে পরিচালিত এই সাইটটি। তাই বাংলায় অনেক ধরনের তথ্যই এখানে পেয়ে যাবেন। আশা করি সঠিক তথ্য বিষয়বস্তু জানতে পারবেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Close

Adblock Detected

Please Turn off ad blocker